1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেঙেন চুক্তি মানছে না জার্মানি

১২ নভেম্বর ২০১৯

শেঙেন চুক্তির কারণে ইউরোপের ২৬টি দেশে বাধাহীনভাবে যাতায়াত করা যায়৷ তবে শরণার্থী ইস্যুকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে গত চার বছর ধরে সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু রেখেছে জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ৷

ছবি: imago/J. Gruber

কিন্তু এটি বৈধ নয়, বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় সংসদের সদস্য তানিয়া ফায়োন৷ কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বর্তমান ‘শেঙেন বর্ডার কোড’ অনুযায়ী, একটি দেশ সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু রাখতে পারে৷

২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে শরণার্থী আসা শুরু হলে প্রথম দেশ হিসেবে জার্মানি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ শুরু করে৷ এরপর অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক ও নরওয়েতেও এই ব্যবস্থা চালু হয়৷ আর ঐ বছরেরই নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর সন্ত্রাসবাদের হুমকির কথা উল্লেখ করে ফ্রান্সও সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ বসায়৷

সেই থেকে চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ঐ ছয় দেশের সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু আছে৷ বুধবার আবারও ছয় মাসের জন্য এই ব্যবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে৷

ব্রাসেলসভিত্তিক থিংক-ট্যাংক ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টারের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ইভেস পাসকুয়াও বলছেন, ‘‘২০১৫ থেকে ২০১৭, এই দুই বছর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের বৈধ কারণ ছিল৷ কিন্তু এরপর থেকে তা ভিত্তিহীন হয়ে পড়েছে৷’’

সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ বলতে এমন নয় যে প্রতিটি মানুষের পাসপোর্ট দেখা হচ্ছে৷ জার্মানির ক্ষেত্রে শুধু অস্ট্রিয়া সীমান্তে কয়েকটি স্থানে নজরদারি করা হচ্ছে৷ সুইডেনও ২০১৭ সালের পর থেকে ডেনমার্ক সীমান্তে আর প্রত্যেক মানুষকে চেক করছে না৷ এর পরিবর্তে ‘টার্গেটেড' নিয়ন্ত্রণ ও স্বয়ংক্রিয় নজরদারি ব্যবস্থা চালু করেছে৷

শেঙেন চুক্তি না মানা প্রসঙ্গে জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, ‘শেঙেন বর্ডার্স কোডে যে সময়সীমার কথা বলা হয়েছে তা দিয়ে প্রতিটি আলাদা নতুন অর্ডারের কথা বলা হয়েছে৷’ অর্থাৎ শেঙেন চুক্তিতে যে সময়সীমার কথা বলা হয়েছে, সেটি ছয় মাস মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিটি সিদ্ধান্তের সঙ্গে নতুন করে শুরু হবে৷

তবে ইউরোপীয় সংসদের সদস্য তানিয়া ফায়োন জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঐ কর্মকর্তার ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত নন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং এটা বৈধ নয়৷’’

গত জুনে জার্মানির বাম দলের কয়েকজন সাংসদ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চারটি কারণের কথা উল্লেখ করে৷ এগুলো হলো, জার্মানিতে অননুমোদিত প্রবেশ সংখ্যা ‘এখনও অনেক বেশি’, অস্ট্রিয়া সীমান্তে পাচারকারীদের উপস্থিতি, আশ্রয় আবেদনের সংখ্যাএবং ‘ভূমধ্যসাগরের পূর্বদিকের রুট দিয়ে সম্ভাব্য অভিবাসন’৷

তবে পরিসংখ্যান বলছে, গতবছর জার্মানিতে অবৈধভাবে প্রবেশের সংখ্যা ২০১৪ সালের তুলনায় কমেছে৷ এছাড়া আশ্রয় আবেদন ও পাচারকারীর সংখ্যাও কমেছে৷

কিরা শাখট/জেডএইচ

২০১৮ সালের মে মাসের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ