1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘শেষ পর্যন্ত আর্থিক সংস্কারে রাজি হন সোনিয়া গান্ধী’

২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২

আর্থিক সংস্কারে গোড়া থেকেই অমত ছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং নতুন অর্থমন্ত্রী দলনেত্রীকে বোঝালেন, প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী হার ঠেকাতে সংস্কার ছাড়া পথ নেই৷ না হলে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে৷

ছবি: Reuters

আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে ভাটা, বৃষ্টিপাতে ঘাটতি এবং একাধিক দুর্নীতিতে মনমোহন সিং সরকার যখন জেরবার, তখন দলের মনোবল বাড়াতে আসরে নামলেন জোট-সরকারের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী৷ ঘুরে দাঁড়িয়ে পাল্টা মার দিতে বললেন বিরোধীপক্ষকে৷ যদিও সোনিয়া গান্ধীর সরকারি ক্ষমতা নেই, কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রী এবং গান্ধী পরিবারের মশাল বাহক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ নীতির ক্ষেত্রে তাঁর মতই শেষ কথা৷ শুরুতে আর্থিক সংস্কারে তাঁর মত ছিল না৷ তাঁর কাছে আর্থিক সংস্কারের আগে সামাজিক কল্যাণ৷

বৃহস্পতিবার জোট-সরকারের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে হালের আর্থিক সংস্কারে শরিক দলগুলির একটা চাপা অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে৷ বিশেষ করে ডিএমকে এবং এনসিপি'র৷ তারা চান ডিজেলের দাম কিছুটা কম করা হোক এবং ভরতুকি দামে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পরিবার পিছু ৬টার বদলে ১২টা করা হোক৷ শেষ পর্যন্ত শরিক দলগুলি নিমরাজি হয় তা মেনে নিতে৷ কারণ ঐ একটা - ভোট ব্যাংক৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধী...ছবি: AP

সোনিয়ার অন্দরমহলের ডজন খানেক নেতাব্যক্তি এবং কর্মকর্তারা সোনিয়া গান্ধীকে বোঝাতে থাকেন, সংস্কারের পথে না গেলে ১৯৯১ সালে ভারতের যখন দেউলিয়া অবস্থা হয়েছিল, সেই রকম পরিস্থিতি আবারও হতে পারে৷ ভালো অর্থনীতির অপর নাম ভালো রাজনীতি৷ এই নিয়ে বারংবার আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং হার্ভাড-প্রশিক্ষিত নতুন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷

খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি, রান্নার গ্যাসে ভরতুকি তুলে নেয়া, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে গরিব মানুষদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব হবে, তার অভিঘাত পড়তে পারে দলের ওপর ২০১৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে৷ দলের ভবিষ্যত চিন্তা করে গোড়ার দিকে সংস্কারে দ্বিধা ছিল সোনিয়া গান্ধীর৷

সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় একসময় সোনিয়া গান্ধীকে বুঝিয়ে ছিলেন, আমূল সংস্কারে দলের ভোট ব্যাংকে টান পড়তে পারে৷ তাই সামাজিক কল্যাণ আগে৷ এবার প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ব্যাখ্যা করলেন, সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচির জন্য দরকার বিপুল অর্থ৷ বিদেশি বিনিয়োগ এলে কল্যাণ প্রকল্পের জন্য অর্থেরও অভাব হবেনা৷ আর তার ডিভিডেন্ট দল পাবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে, এমনটাই আশা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ