1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ পর্যন্ত চেয়ার ছাড়ছেন ট্রাম্প!

২৪ নভেম্বর ২০২০

জিএসএ চিঠি দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার কথা জানালো বাইডেন শিবিরকে। টুইট করলেন ট্রাম্প। জানালেন, জিএসএ-র যা করণীয়, তা করুক।

ছবি: Adam Schultz/Biden for President/ZUMAPRESS/picture alliance

ডনাল্ড ট্রাম্প কি শেষ পর্যন্ত হার স্বীকার করে নিলেন? সোমবার মার্কিন জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিএসএ) একটি চিঠি ঘিরে এই আলোচনা শুরু হয়েছে। জিএসএ প্রধান জো বাইডেন শিবিরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, এ বার ধীরে ধীরে প্রশাসনিক কাজ হস্তান্তর করা হবে। এত দিন ট্রাম্প এ কাজ করতে দেননি। কারণ, তিনি হার স্বীকার করেননি। জিএসএ-র এই ঘোষণার পরে ট্রাম্প টুইট করে বলেছেন, জিএসএ-র যা করণীয়, তা করা হোক। তবে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।

জিএসএ প্রধান এমিলি মরফি। তিনি ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। দুই সপ্তাহ আগে নির্বাচনের ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, জো বাইডেন জয়ী। কিন্তু তার পরেও জিএসএ তাঁকে জয়ী ঘোষণা করেনি। বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে কিছু জানানোও হয়নি।

জিএসএ মার্কিন প্রশাসনের একটি গুরুত্ব বিষয়। প্রেসিডেন্টের যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম এরাই করে। প্রেসিডেন্টকে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফিং দেওয়া থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক খুঁটিনাটি-- সমস্ত বিষয় জিএসএ-র মাধ্যমেই হোয়াইট হাউসে পৌঁছয়। সাধারণত, নির্বাচন হয়ে গেলে নতুন প্রেসিডেন্টকে কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয় এই সংস্থা। আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন। তারপরেই সরকারি ভাবে তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট।

কিন্তু মধ্যবর্তী দুই মাস হলো ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়। পুরনো প্রেসিডেন্টের অফিসের সঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্টের অফিসের সমন্বয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়। এই কাজটি করে জিএসএ। সে জন্য প্রথমেই তাদের ভাবী প্রেসিডেন্টের কাছে একটি চিঠি পাঠাতে হয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে জিএসএ সেই কাজটি করেনি। অনেকেই মনে করেছিলেন, এমিলি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলেই তিনি বাইডেনকে চিঠি পাঠাচ্ছেন না। ট্রাম্প হার স্বীকার না করা পর্যন্ত জিএসএ বাইডেনকে চিঠি পাঠাবে না বলেও মনে করেছিলেন অনেকে।

সোমবার সেই চিঠি পৌঁছেছে বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের কাছে। এ দিকে জিএসএ চিঠি দেওয়ার পরেই ট্রাম্প স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে টুইট করেছেন। তাতে লিখেছেন, এমিলি এবং তাঁর অফিসের সকলের প্রতি তিনি শুভকামনা জানাচ্ছেন। তাঁদের যা করণীয়, তা তাঁরা করুন। তবে লড়াই চলবে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ট্রাম্পের সুর আগের চেয়ে অনেক নরম হয়েছে। তিনি বুঝে গিয়েছেন, তাঁর পক্ষে আর কিছু করা সম্ভব নয়। ফলে এক পা এক পা করে পিছিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ দিনের টুইটেও সে ইঙ্গিত আছে। বস্তুত, মিশিগানের সরকারি ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে ট্রাম্প সুর নরম করতে বাধ্য হলেন বলেও কেউ কেউ মনে করছেন।

এ দিকে বাইডেন-হ্যারিসের অফিস জানিয়ে দিয়েছে, প্রথমেই তারা করোনা প্যানডেমিক নিয়ে কাজ করতে চায়। ফলে জিএসএ যেন সে বিষয়ে সমস্ত তথ্য দেয়। এত দিন হোয়াইট হাউস থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্রিফিং পাচ্ছিলেন না বাইডেন। এ বার তাও তিনি পেতে শুরু করবেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ