1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ মুহূর্তে ব্রেক্সিট চুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চলছে

১৬ অক্টোবর ২০১৯

ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ব্রেক্সিট চুক্তি সম্ভব করতে ব্রিটেন ও ইইউ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তবে এ ক্ষেত্রে সাফল্য এলেও ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রবল বিরোধিতার মাঝে সেই চুক্তি অনুমোদন করা কঠিন হবে৷

ব্রেক্সিট নিয়ে জটিলতা এখনো কাটছে না
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/F. Seco

পারষ্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার সারা রাত ধরে আলোচনা করেছেন৷ ইইউ প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্যে চূড়ান্ত সমঝোতা না হলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি বিবেচনা করা সম্ভব হবে না৷ সে ক্ষেত্রে ৩১শে অক্টোবর চুক্তিসহ ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে পড়বে৷

বুধবার সকালেও চূড়ান্ত সমাধানসূত্র সম্ভব না হলে আগামী সপ্তাহে আলোচনা আবার শুরু করা যেতে পারে৷ তারপর সমাধানসূত্র পাওয়া গেলে ইইউ-র জরুরি শীর্ষ সম্মেলন ডেকে ইইউ স্তরে ঠিক সময়ে চুক্তি অনুমোদন করা হতে পারে৷

দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির উল্লেখ করছেন৷ তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মতপার্থক্য দূর করা সম্ভব হয়েছে৷ মঙ্গলবার মিশেল বার্নিয়ে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জানিয়েছিলেন, যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সমঝোতা বাকি রয়েছে৷ অসমর্থিত সূত্র অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী আয়ারল্যান্ডে দুই পক্ষের স্থলসীমান্তে নিয়ন্ত্রণ এড়াতে ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশকে কোনোভাবে ইইউ-র শুল্ক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্গত রাখার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের জন্য আলাদা বন্দোবস্ত মেনে নিলে কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি  শিবির ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের জোটসঙ্গী ডিইউপি দল প্রবল বিরোধিতার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ সে ক্ষেত্রে শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে ব্রেক্সিট চু্ক্তি অনুমোদনের জন্য জনসনকে বিরোধী পক্ষের উপর আরও বেশি নির্ভর করতে হবে৷ দলের ‘বিদ্রোহী' সদস্যদের বহিষ্কার করে এমনিতেই তিনি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, জনসনের পূর্বসূরি টেরেসা মে ইইউ-র সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনায় শুধু উত্তর আয়ারল্যান্ডের জন্য ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার পথে অগ্রসর হয়েছিলেন৷ কিন্তু ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের ঐক্য ও অখণ্ডতার স্বার্থ বজায় রাখতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে গোটা দেশের জন্য সেই ব্যবস্থা মেনে নিতে হয়৷

সংসদে বিচ্ছেদ চুক্তি অনুমোদন করাতে না পারলে আইন অনুযায়ী বরিস জনসনকে ব্রেক্সিটের সময়সীমা পেছানোর আবেদন করতে হবে৷ এখনো পর্যন্ত তিনি এই পদক্ষেপের ঘোর বিরোধিতা করে এসেছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ