1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেয়ারবাজারে মনোযোগ দিন, প্রধানমন্ত্রী!

১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পত্রপত্রিকাগুলো বলছে দেশের শেয়ারবাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে৷ বুধবার আবারও বড় ধরনের দরপতনে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নীচে নেমে এসেছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক৷

Symbolbild Kopfschmerzen Migräne
প্রতীকী ছবিছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic

এ সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ডিএসইএক্স কমেছে ৭৫ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে৷ অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৪ পয়েন্ট৷

টানা ছয় দিন দরপতনের পর গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিএসইএক্স ৫ হাজার পয়েন্টের নীচে নেমে আসে৷ দরপতন ঠেকাতে টেনে তোলা হলো শেয়ারবাজারের সূচক৷ পরদিন ৫ সেপ্টেম্বর ও চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববার সূচক কিছুটা বাড়ে৷ সোমবার থেকে আবার সূচক কমতে থাকে৷

বাজার বিশেষজ্ঞরা শেয়ারের দাম টানা কমতে থাকার কোনো উপযুক্ত অর্থনৈতিক কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এমনটা আমার চোখে পড়েনি৷ একাধিক বিশ্লেষক বলছেন, কারসাজি ছাড়া বাজারের এ হঠাৎ পতনের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই৷ কেউ কেউ বলছেন বিদেশি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন বলে বাজারে ক্রেতার অভাব৷ এর পাশাপাশি টানা পতনে ভয় পেয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বেচে দিচ্ছেন৷ এর ফলে বাজারে টানা দরপতন চলছে৷

খালেদ মুহিউদ্দীন, প্রধান, ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগছবি: DW/P. Böll

গত কয়েক বছর ধরেই শেয়ারবাজার স্থিতিশীল নয়, যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই কিছুদিন পরপর বাজার উঠছে বা নামছে৷ কোনো কোনো সময় এমনও মনে হচ্ছে কোনো একটি গোষ্ঠী বাজার নামাচ্ছেন বা ওঠাচ্ছেন৷ কম দামে শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷ আবার কিছুদিন পর দাম বাড়িয়ে বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়া হচ্ছে৷

পুঁজিবাজার ভবিষ্যৎমুখী বিনিয়োগ বলে তারাই সবার আগে অর্থনৈতিক মন্দার আগমনধ্বনি শুনতে পান৷ কোনো কারণে বিনিয়াগকারীরা বুঝতে পারছেন যে, দেশে বিনিয়োগ বা ব্যবসা পরিস্থিতি আশাপ্রদ নয়৷ তাই তারা বাজার থেকে মূলধন তুলে নিচ্ছেন৷ ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার দফায় দফায় কমানো হলেও তারা বাজারে টাকা রাখতে বা নতুন করে ঢালতে সাহস পাচ্ছেন না৷

কারসাজি ঠেকাতে আর আস্থা ফেরাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের দিকে নজর দিন৷ আপনার একজন অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি শেয়ারবাজার বোঝেন না৷ এখনকার জন বোঝেন বলেই আমরা জানতাম৷ না বুঝলে আপনি বুঝিয়ে দেন৷ শেয়ারবাজার ঠিক করতে উদ্যোগ নিন৷

উন্নয়নের মহাসড়কের কথা শুনছি আমরা৷ কিন্তু ওই উন্নত পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেয়ে এত ঝাঁকুনি লাগছে যে, আমাদের মনে হচ্ছে, এই রাস্তা থেকে প্রাণ নিয়ে নেমে পড়ি৷ অন্যদিকে, এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঝাঁকুনি থেকে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে৷

খালেদ মুহিউদ্দীন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত।
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ