1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেয়ারে গাড়ি চালানো

মিশায়েল হার্টলেপ/এআই১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজনীতিবিদ ইয়ান ব্যোনিংকে প্রায়ই পুরো বার্লিন চক্কর দিতে হয়৷ এ জন্য তিনি গাড়ি ব্যবহার করেন৷ তবে গাড়ি তাঁর নিজের নয়৷ আরো চল্লিশজনের সঙ্গে গাড়ি শেয়ার করেন ব্যোনিং৷

Mit 300 Wagen der Marke Smart wird in Amsterdam das Carsharing-Projekt car2go mit Elektroautos umgesetzt. *** eingestellt im Juni 2012
ছবি: picture-alliance/ dpa

৩৩ বছর বয়সি ইয়ান ব্যোনিং গাড়ি শেয়ার করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমার কখনোই নিজের গাড়ি ছিল না৷ তবে মাঝেমধ্যে নানা কারণে গাড়ি দরকার হয়৷ বিশেষ করে কেউ যখন জিনিসপত্র বহন করতে চায়৷ সাইকেল এবং রাকস্যাক ব্যবহার করে তা সম্ভব না৷ এজন্য গাড়ি প্রয়োজন৷ এখন আমি নিয়মিতই শেয়ারে গাড়ি ব্যবহার করি৷''

সহজে পাওয়া যায়

আগে শেয়ার করা গাড়ি নির্দিষ্ট সময়ে পিকআপ পয়েন্টে রেখে আসতে হতো৷ কিন্তু এখন যে কোনো জায়গাতেই এসব গাড়ি রাখা যায়৷ আর স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করে সবচেয়ে কাছে থাকা গাড়ি খুঁজে নেয়া যায়৷ এরপর পরীক্ষা করতে হয় আগের চালক সবকিছু ঠিকভাবে রেখে গেছেন কিনা৷ সব ঠিক থাকলে গাড়িটি প্রয়োজনমত চালাতে আর কোনো সমস্যা নেই৷

এভাবে শেয়ারে গাড়ি ব্যবহার করতে ব্যোনিং এর মিনিট প্রতি ত্রিশ সেন্টের মতো খরচ হয়৷ তবে গাড়ির তেল, গাড়ি পরিষ্কার বা মেরামত করা কিংবা পার্কিং এর খরচ নিয়ে তাঁকে ভাবতে হয়না৷ এসবের দিকে নজর রাখে গাড়ি শেয়ারিং কোম্পানি৷ গাড়ি পার্ক করার পর দায়িত্ব শেষ৷ ব্যোনিং বলেন, ‘‘রাতে যদি আমি বিয়ার পানের জন্য বের হই, তাহলে গাড়ি নিয়ে পানশালা অবধি যেতে পারি৷ এরপর গাড়ি সেখানে রেখে ট্রেনে ফিরতে পারি৷ পরের দিন সকালে আমার আর গাড়ি ফেরত আনতে যেতে হয় না৷ আমি বরং বাসার বাইরে গিয়ে আরেকটি শেয়ার কার খুঁজে নেই৷''

পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের প্রয়োজনমত গাড়িও বেছে নিতে পারেন ব্যোনিং৷ কার শেয়ারিং ক্রমশ নজর কাড়ছে৷ জার্মানিতে গত তিন বছরে শেয়ারে গাড়ি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণ৷ পাঁচ লাখের বেশি মানুষ এখন গাড়ি শেয়ারে আগ্রহী৷ গাড়ি বিশেষজ্ঞ ফ্রাংক ভল্টার মনে করেন, ব্যক্তি পর্যায়ে গাড়ির মালিক হওয়ার গুরুত্বও ক্রমশ বদলে যাচ্ছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রজন্মের কাছে গাড়ির মালিক হওয়ার গুরুত্ব কমে গেছে৷ বরং তাদের কাছে গাড়ি ব্যবহারের সুযোগটাই আসল কথা৷''

বর্তমান তরুণ প্রজন্ম গাড়ি কেনার চেয়ে ভ্রমণ কিংবা নতুন স্মার্টফোন কেনায় টাকা খরচে আগ্রহী৷ যদি কিনতেই হয়, বয়স বাড়লে সে কথা ভাবা যাবে৷ সুতরাং গাড়ি কোম্পানিগুলোও এখন গাড়ি বিক্রির চেয়ে গাড়ি শেয়ারের মতো ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে৷ এভাবে তারা নিজেদের ব্র্যান্ডের প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করতে চাচ্ছে৷ ফলে গাড়ির মালিক হওয়ার গতানুগতিক ধারা বদলে যাচ্ছে৷

তবে এখন অবধি কার শেয়ারিং শুধুমাত্র বড় শহরের বাসিন্দাদের জন্য সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে৷ যারা প্রতিদিন গাড়ি চালান এবং লম্বা দূরত্বে যাত্রা করেন, তাদের জন্য গাড়ি শেয়ারিং পদ্ধতি ব্যয়বহুল৷ তবে ব্যোনিং এর জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সমাধান: সহজ, সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ