1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা!

৮ মে ২০১৮

লেবাননে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে হেজবুল্লাহ জিতেছে৷ নিজ দেশের জনগণকে জিম্মি করে দলটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়াবে বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের কার্স্টেন ক্নিপ৷ 

ছবি: Getty Images/AFP/M. Zayyat

 জীবন মাঝে মাঝে অদ্ভুত৷ সিরিয়ার যুদ্ধে লেবাননের রাজনৈতিক ও সংসদীয় দল হেজবুল্লাহর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল, যা লেবাননেও প্রভাব ফেলেছে৷ আর লেবানিজরাও পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে এমন ভরসায় হেজবুল্লাহর দিকেই ঝুঁকেছে৷

প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী হেজবুল্লাহ ও তাদের জোটের সমমনা দলগুলো লেবাননের সংসদে অর্ধেকের বেশি আসন পেয়েছে৷    

‘হেজবুল্লাহ' এর বাংলা অর্থ দাঁড়ায় আল্লাহর দল৷ মনে হচ্ছে এই দলটি সব বাধা দূর করে নিরঙ্কুশভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে এগোচ্ছে৷ লেবাননে আশ্রয় নেওয়া ১৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীর সঙ্কট মোকাবেলা করে একটি আশু সমাধান বের করার ব্যাপারে দলটি জোর দিচ্ছে৷

লেবাননের জনসংখ্যা ৬০ লাখ৷ এর সাথে সিরিয়ার ১৫ লাখ শরণার্থী যোগ হওয়ায় দেশটিতে বাসস্থান, খাদ্য এবং শ্রমবাজারের উপর চাপ পড়ছে৷ এত বেশি সংখ্যক শরণার্থী সামলানোর ক্ষমতা লেবাননের নেই৷

কয়েক লাখ শরণার্থী এর মধ্যে লেবানন ছাড়লেও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ইঙ্গিত হচ্ছে, স্বেচ্ছায় নয় তাদের বরং জোর করে লেবাননছাড়া করা হয়েছে৷  

Lebanese Defense Minister discusses controlling Hezbollah

05:27

This browser does not support the video element.

লেবাননে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে অনেক ভোটারই হেজবুল্লাহকে ভোট দিয়েছেন৷ তাঁরা মনে করছেন, দুর্নীতির সংকট উত্তরণে হেজবুল্লাহর একটি বড় ভূমিকা থাকবে৷ কিন্তু শরণার্থী অনুপ্রবেশই এখন দেশটির জন্য বড় সমস্যা৷

কিন্তু সেই বিবেচনায় লেবানিজরা হেজবুল্লাহকে নির্বাচিত করে শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা দিয়েছে বলা যেতে পারে৷ শরণার্থী হিসেবে আসা বেশিরভাগ সিরীয়ই প্রাথমিকভাবে ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসী তৎপরতায় দেশ ছেড়েছে৷ এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে হেজবুল্লাহ তার শত শত যোদ্ধা দিয়ে লড়াইয়ে সহায়তা করেছে৷

ফলে শরণার্থী সঙ্কট আশু নিরসনের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷  

ইরানের কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ

মধ্যপ্রাচ্যের নানা অন্ধকার অধ্যায়ের সাথে হেজবুল্লাহর সংযোগ রয়েছে৷ দলটি ইরানের কাছে কৃতজ্ঞতাবদ্ধ৷ ইরানের কাছ থেকে দলটি বছরে ৮০ কোটি ডলার সহযোগিতা পায়৷

কার্স্টেন ক্নিপ, ডয়চে ভেলে

 আর অবশ্যই এই টাকা ‘ফাও' খরচ করছে না ইরান৷ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মোল্লাতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতেই হেজবুল্লাহকে মদদ দিচ্ছে ইরান৷

পারমাণবিক শক্তি দিয়ে ইরান নতুন ক্ষমতাবলে বলীয়ান৷ দেশটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেজবুল্লাহকে সাথে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে চাচ্ছে৷

আজব ব্যাপার এই যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ লেবানিজরা এমন একটি দলকে ভোট দিয়েছে, যার গঠনমূলক বৈদেশিক নীতিমালার ক্ষেত্রে কোনও সত্যিকার অবস্থান নেই৷

অন্যদিকে,  হেজবুল্লাহর দলগত মার্চে বিপুল সংখ্যক শিশুকে সামরিক ইউনিফর্ম পরে অংশগ্রহণ করতে দেখে মনে হতে পারে তারা একটি বড়সড় আদর্শিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে৷ আসলে এরকম কর্মসূচি ইঙ্গিত দেয়, ভবিষ্যৎ খুব একটা সুখকর নয়৷

কয়েকজন ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ইতিমধ্যে বলেছেন, যে, তাঁরা লেবানন ও হেজবুল্লাহকে এক করে দেখেন এবং আগের মতোই দেখেন৷

বলা যায়, লেবানিজরা তাঁদের নিজেদের ভবিষ্যৎকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বড় সশস্ত্র বাহিনীর হাতে সঁপে দিয়েছে যার ফল মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ভয়ঙ্কর৷

কারস্টেন ক্নিপ/এইচআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ