শোক পালন করলো নিউজিল্যান্ডের মানুষ
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১গত মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ক্রাইস্টচার্চে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়৷ এরপর থেকে চার লাখ অধিবাসীর এই শহরটিতে বিরাজ করছে শোক এবং আতংক৷ রোববার গোটা দেশে নিহতদের স্মরণে শোক পালন করা হয়েছে৷ গির্জাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ প্রার্থনা৷ গোটা দেশই যেন শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে স্মরণকালের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে৷
এদিকে ক্রাইস্টচার্চে এখনও চলছে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মানুষগুলোর উদ্ধার কাজ৷ যদিও গত বুধবারের পর থেকে জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি, তবুও শহরের মেয়র বব পার্কার আশা ছাড়তে রাজি নন৷ রোববার তিনি জানান, জীবিত কাউকে উদ্ধারের জন্য তারা শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন৷ জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে চীন, জাপান এবং তাইওয়ানের অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা এসেছিল ইংরেজি শেখার উদ্দেশ্যে৷ এছাড়া আরও অনেক নিহতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও কত মানুষ পড়ে আছে সেটাও সুনির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না৷ দমকল বাহিনীর প্রধান স্টুয়ার্ট ব্ল্যাক জানান, তারা ধসে পড়া ভবনগুলোর ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছেন যদি কাউকে জীবিত পাওয়া যায় সেই আশায়৷ তবে যতই সময় যাচ্ছে ততই সেই আশা কমে আসছে৷
এদিকে ক্রাইস্টচার্চ শহরের আশেপাশে বহু মানুষ এখন বিপন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে৷ তাদের কাছে খাবার এবং পানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা৷ ভূমিকম্পের কারণে শহরের অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেগুলো যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে৷ এদিকে উদ্ধার তৎপরতা এবং শহরের পুনর্গঠনের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কি ছয় বিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলারের একটি তহবিলের ঘোষণা দিয়েছেন৷ এছাড়া নিউজিল্যান্ডের ভূমিকম্প কমিশনের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়ানোরও কথা জানিয়েছেন জন কি৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক