খিদের জ্বালায় শ্মশান থেকে কলা কুড়িয়ে খাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। দিল্লির নিগমবোধ শ্মশানের এই মর্মান্তিক ঘটনা চমকে দিয়েছে গোটা দেশকে।
বিজ্ঞাপন
দুই দিন খাবার জোটেনি। একবেলা একটি গুরুদ্বারে কিছু খাবার পাওয়া গিয়েছিল। তাতে কি আর খিদে মেটে? তাই বেঁচে থাকার তাড়নায় ঘুরতে ঘুরতে শ্মশানে। সেখানেই শেষকৃত্য করতে আসার সময় কলা নিয়ে আসেন মৃতের পরিবার। মৃতদেহের ধর্মীয় সৎকারে যা ব্যবহার করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। ফেলে দেওয়া সেই কলা দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে খাচ্ছিলেন তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক। পচা কলা বাছাই করে ব্যাগেও ঢোকাচ্ছিলেন। এ ভাবেই লকডাউনেরআবহে প্রাণ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন দিল্লিতে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা। শ্মশানের পচা কলা খেয়ে যে বিষক্রিয়ায় তাঁরা মারা যেতে পারেন, সে বোধও এখন তাঁদের নেই। আগে পেটের আগুন নিভুক, তারপর ভাবা যাবে বাকি সব। কলা কুড়াতে কুড়াতে আলিগড় থেকে আসা এক শ্রমিকের বক্তব্য, ''কলা কয়েকদিন ঠিক থাকে। তাই কুড়িয়ে নিচ্ছি। খাওয়ার জন্য কিছু তো পাওয়া গেল!''
বিশ্ব নেতৃত্বের আদর্শ এখন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
জাসিন্ডা আর্ডার্ন৷ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থেকে তিনি এখন পরিণত হয়েছেন বিশ্বকে শান্তির পথে নেতৃত্ব দেয়ার দূত হিসেবে৷ তার উত্থানের গল্প থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/A. Wiegmann
যোগাযোগের ছাত্রী
১৯৮০ সালে জন্ম নেয়া আর্ডার্নের বেড়ে ওঠা মুরুপাড়া নামে নিউজিল্যান্ডের মাউরি আদিবাসী অধ্যুষিত একটি ছোট্ট শহরে৷ যেখানে শিশুদের পায়ে দেয়ার মতো জুতা ছিল না, এমনকি দুপুরে তারা খাবারও পেত না৷ এই ঘটনাই তাকে রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে৷ উচ্চ মাধ্যমিক শেষে আর্ডার্ন পড়াশোনা করেন যোগাযোগ বিদ্যায়৷ তার আগে ১৭ বছর বয়সেই যুক্ত হন নিউজিল্যান্ডের লেবার পার্টির রাজনীতিতে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Baker
বিশ্ব রাজনীতির পাঠ
স্নাতক শেষ করে আর্ডার্ন নিউজিল্যান্ডের লেবার পার্টির একজন সংসদ সদস্যের অধীনে গবেষক হিসেবে কাজ করেন৷ ২০০৫ সালে পাড়ি জমান ব্রিটেনে৷ আড়াই বছর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মন্ত্রীসভার দপ্তরে চাকরি করেন৷ ২০০৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব সোশ্যালিস্ট ওয়েলথের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘুরে বেড়িয়েছেন আলজেরিয়া, চীন, ভারত, ইসরায়েল, জর্ডার্ন ও লেবাননে৷
ছবি: Reuters/A. Wiegmann
জাতীয় রাজনীতির পথ চলা
২০০৮ সালে আর্ডার্ন লেবার পার্টির সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েও ১৩,০০০ ভোটে হেরে যান৷ কিন্তু দেশটির সংবিধানিক নিয়মে তিনি সংসদে যাওয়ার সুযোগ পান৷ ২৮ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে জায়গা করে নেন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে৷
ছবি: Getty Images/P. Walter
‘জাসিডামেনিয়া’
২০১৭ সালে লেবার পার্টির উপ প্রধান নির্বাচিত হন আর্ডার্ন৷ নির্বাচনের দু’মাস আগে দলটির প্রধান পদত্যাগ করলে সেই ভারও চাপে তার কাঁধে৷ নির্বাচনি প্রচারে তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হন আর্ডার্ন৷ তাকে নিয়ে এসময় দেশটিতে জনপ্রিয়তার যে ঢেউ উঠে, তা পরিচিত ‘জাসিডামেনিয়া’ নামে৷
ছবি: Getty Images/P. Walter
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রধানমন্ত্রী
মাত্র দু’মাসের নেতৃত্বে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাই দলকে নির্বাচনে বিজয়ী করেন আর্ডার্ন৷ ২০১৭ সালে ৩৮ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন৷ নিউজিল্যান্ডের ১৫০ বছরের ইতিহাসেও তিনি সবচেয়ে কম বয়সি সরকার প্রধান৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress
প্রভাবশালী নারী
আর্ডার্ন সমকামী বিবাহের সমর্থক৷ জলবায়ু পরিবর্তন, শিশু দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চকিত৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের সরকার হবে সহানুভূতিশীল৷ ২০১৮ সালে ‘ফোর্বসের পাওয়ার উইমেনের’ তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি৷ আছেন টাইম ম্যাগাজিনে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকাতেও৷
ছবি: Reuters/A. Wiegmann
সন্তান জন্ম
টিভি উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ডকে বেছে নিয়েছেন তিনি সঙ্গী হিসেবে৷ ২০১৮ সালের ২২ জুন বেনজির ভুট্টোর পর বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বকালে সন্তানের জন্ম দেন আর্ডার্ন৷ এজন্য মাত্র ছয় সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Office of the Prime Minister of New Zealand/D. Henderson
সন্তান কোলে জাতিসংঘে
বিশ্বে প্রথমবার কোনো প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের কক্ষে সন্তান নিয়ে বক্তৃতা দিতে যান৷ তিনি জাসিন্ডা আর্ডার্ন৷ গত বছর নেলসন ম্যান্ডেলা পিস সামিটে অংশ নিয়ে আর্ডার্ন বিশ্ব গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছেন৷ বক্তৃতা দেয়ার সময় সন্তান ছিল সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের কোলে৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া
ক্রাইস্টচার্চে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার পর জাসিন্ডা আর্ডার্নকে নতুন করে চেনে বিশ্ব৷ এই ঘটনার অভিযুক্তকে কোনো কার্পণ্য না করেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি৷ দ্রুত অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা দেন৷ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে জানান, নিউজিল্যান্ড মোটেও এমনটা নয়৷ এই দেশে তারা স্বাধীনভাবেই থাকতে পারবে৷
ছবি: Reuters/E. Su
হিজাবে আর্ডার্ন
জাসিন্ডা আর্ডার্ন ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর ছুটে যান নিহতদের স্বজনদের কাছে৷ তাদের জড়িয়ে ধরেন, সমবেদনা প্রকাশ করেন৷ শুধু তাই নয়, মুসলমানদের সাথে একত্মতার প্রকাশ হিসেবে তিনি একাধিক দিন হিজাব পরে বেরিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/TVNZ
সংসদে আরবি ভাষা
২০১৯ সালে ১৯ মার্চ সংসদে বক্তব্য দেন আর্ডার্ন৷ শুরুতেই সবাইকে ‘আস সালামু আলাইকুম’ বলে সম্বোন্ধন করেন তিনি৷ জানান ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় অভিযুক্তের নামও তিনি কখনও মুখে আনবেন না৷
ছবি: Getty Images/M. Tantrum
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই
করোনা প্রতিরোধে বিশ্বে যে কয়টি দেশ সাফল্য পেয়েছে তার একটি নিউজিল্যান্ড৷ আর্ডার্নের নেতৃত্বে দেশটির সরকার করোনা ভাইরাসকে কখনো হুমকি হতে দেয়নি৷ শুরুতেই সীমান্ত বন্ধ করে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার৷ সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারান্টিন, আইসোলেশনসহ বিভিন্ন নিয়মগুলো সুচারুভাবে পালন করা হয়৷ চলে বিস্তৃত পরিসরে করোনার পরীক্ষা৷ ফলাফল অন্য দেশগুলো যখন হিমশিম পরিস্থিতিতে তখন অনেকটাই নির্ভার নিউজিল্যান্ড৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Mitchell
12 ছবি1 | 12
করোনার ফলে হঠাৎ করে লকডাউন হয়ে যাওয়ার পর এই বিপন্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্টের অনেক ছবি এই কয়েক দিনে বার বার সামনে এসেছে। হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে তাঁরা পথে মারা গিয়েছেন। উত্তর প্রদেশ সরকার কিছু বাসের ব্যবস্থা করায় হাজার হাজার শ্রমিক ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘরে ফিরেছেন। নিজের বাড়িতে পরিবারের কাছে গেলে তাও বাঁচবেন। মহানগরে কে তাঁদের সাহায্য করবে? যদিও লকডাউনের প্রথম পর্বে দিল্লি সহ বেশ কিছু রাজ্যের সরকার চেষ্টা করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয় ও খাবার দিতে। শ্রমিকদের আশা ছিল ১৫ তারিখের পর তাঁরা বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। কিন্তু লকডাউন ওঠেনি। ৩ মে পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাতে কীভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে মুম্বইয়ে সে দৃশ্য দেখা গিয়েছে। সুরাত, হায়দরাবাদে হাজারো শ্রমিক বাড়ি ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন। দিল্লি দেখলো তাঁদের খিদের জ্বালা।
দিল্লিতে শ্রমিকদের অনেকগুলি শিবিরে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে একটি শিবিরে দুই জনের মধ্যে প্রবল মারপিট হয়েছে। একটি শিবিরে আগুন লেগে গিয়েছে। আশ্যারয় হারিয়েছেন অনেকে। কোথাও আবার পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে শিবিরের ভিড় এড়িয়ে রাস্তায় শুয়েছেন শ্রমিকরা। তাঁদেরই একজন বেরিলি থেকে আসা ৫৫ বছরের জগদীশ কুমার। তাঁদের পরিস্থিতির কথা জানাজানি হওয়ার পরে দিল্লি সরকার একটি স্কুলে আবার সকলকে আশ্রয় দিয়েছে। মনোসমাজবিদ মোহিত রণদীপ ডয়চে ভেলেকে এর আগে জানিয়েছিলেন, ''এই ধরনের সংকটে লোকের বেপরোয়া হয়ে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সুরক্ষার অভাববোধ থেকেই এটা হয়। প্রশাসন তাঁদের আশ্বাসবাণী শোনাচ্ছেন বটে, কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন ঘটছে না।''
দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্যাম্প
প্রায় এক সপ্তাহ ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী হওয়ার পরে সামান্য স্বস্তি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দিল্লিতে তৈরি হল অস্থায়ী ক্যাম্প।
ছবি: Surender Kumar
আর একজন শ্রমিকও রাস্তায় নেই
মঙ্গলবার সকালে দেশের সুপ্রিমকোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, দিল্লির রাস্তায় আর একজনও পরিযায়ী শ্রমিক নেই। সকলকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্পে।
ছবি: DW/S. Kumar
স্কুলেই চলছে ক্যাম্প
২১ দিনের লকডাউনে বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তেমনই বেশ কিছু স্কুলে তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্প। থাকার ব্যবস্থা তো হয়েছেই, দুই বেলা খাবারও দেওয়া হচ্ছে তাঁদের।
ছবি: DW/S. Kumar
পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
সরকারকে এ কাজে সাহায্য করতে রাস্তায় নেমেছে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারাই শ্রমিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। স্কুলগুলিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে শ্রমিকদের শোয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
ছবি: DW/S. Kumar
ড্রোন দিয়ে নজরদারি
ড্রোনের সাহায্যে শ্রমিক ক্যাম্পগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। জেনে নেওয়া হচ্ছে তাঁদের প্রয়োজন।
ছবি: DW/S. Kumar
ঘরের বাইরে শৌচাগার
ক্যাম্পের বাইরে এ ভাবেই তৈরি হচ্ছে শৌচাগার। ভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। যদিও অভিযোগ, এখনও বহু জায়গায় শ্রমিকরা আটকে আছেন। সকলকে এখনও ক্যাম্পে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।
ছবি: DW/S. Kumar
পুলিশি প্রহরা
ক্যাম্পগুলির বাইরে পুলিশের পিকেটও তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকদের প্রয়োজনের কথা তাঁরা শুনছেন। একই সঙ্গে দেখছেন, কেউ যাতে ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে না যান।
ছবি: DW/S. Kumar
এত সময় লাগল কেন
নাগরিক সমাজের প্রশ্ন, পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা সরকার আগে ভাবেনি কেন? কেন হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে মৃত্যু হল শ্রমিকদের? কেন পুলিশ লাঠি চালালো তাঁদের ওপর?
ছবি: Reuters/A. Abidi
এরপরে কী হবে
আরও একটি প্রশ্ন বার বার উঠছে। এখন না হয় ক্যাম্পে থাকবেন শ্রমিকরা। কিন্তু লকডাউন উঠে গেলে কী হবে তাঁদের? তখন কোথা থেকে খাবার আসবে তাঁদের? দাবি উঠছে, লকডাউনের মধ্যেই শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক সরকার।
ছবি: Reuters/D. Siddiqui
8 ছবি1 | 8
লকডাউন ৩ মে পর্যন্ত চললেও আগামী ২০ এপ্রিলের পর সরকার একটি সমীক্ষা চালাবে। যে সব জায়গায় করোনার প্রকোপ কম, সেখানে কিছু কিছু কাজে ছাড় দেওয়া হবে। মাঠে গিয়ে চাষের কাজ করা যাবে। শ্রমিকদের নিয়োগ করে ফসল তোলা যাবে। তা ছাড়া এসইজেড বা বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায় কারখানা চালু করা যাবে। ই-কমার্স চালুর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে। নির্মাণ ক্ষেত্রে কাজ শুরু হবে। বেশ কিছু কারখানাতেও কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা। বাড়ি ও রাস্তাঘাট তৈরির কাজ চলবে। গ্রামে গরিবদের জন্য একশ দিনের কাজ পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে। শহরগুলিতে অবশ্য আগের মতোই লকডাউনের কড়াকড়ি থাকবে। কারণ, সবকটি বড় শহরই লাল এলাকায় পড়েছে। মানে সেখানে করোনার প্রকোপ বেশি। ফলে ২০ এপ্রিলের পরও তা অবরুদ্ধ থাকবে। তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে আশার বার্তা নেই। তাঁরা অধিকাংশই বড় শহরে আটকে পড়েছেন।
ভারতে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৩৮০। মারা গিয়েছেন ৪১৪ জন। প্রতিটি রাজ্যেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় আগ্রায় ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজস্থানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় এক নম্বরে মহারাষ্ট্র। তারপরেই দিল্লি। তাই দিল্লিতে কড়াকড়ি আগের চেয়ে অনেক বাড়ানো হয়েছে।