তৈরি পোশাক খাতের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সাম্প্রতিক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা ও মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারকে আহবান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷
বিজ্ঞাপন
সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোকেও এসব অভিযোগের তদন্ত ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধে উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মনে করে সংস্থাটি৷
মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, এইচআরডাব্লিউ৷ শ্রমিক নেতাদের তথ্য দিয়ে সংস্থাটি বলছে, জানুয়ারিতে সংঘটিত বিক্ষোভের জেরে অন্তত সাড়ে সাত হাজার শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করা হয়৷ তাদের একটি অংশের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটতরাজের অভিযোগ আনা হলেও তা সঠিক নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেন ,‘‘শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকার করেছে৷ কিন্তু শ্রমিকরা যখন বাঁচার মতো মজুরির দাবিতে ধর্মঘট করছে, তখন সেই প্রতিশ্রুতি সরকার রক্ষা করতে পারছে না৷''
শ্রমিকদের সম্মিলিত প্রতিবাদের কণ্ঠ রোধ করতে মিথ্যা ফৌজদারি অভিযোগ কিংবা গণহারে ছাঁটাই করা কারখানাগুলোর উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
যা ঘটেছিল
গেল বছর তৈরি পোশাক খাতের জন্য ন্যূনতম মাসিক মজুরি ৫,৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮,০০০ টাকায় উন্নীত করে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার৷ শ্রমিক ও ইউনিয়ন নেতারা দাবি করেন, এতে নতুন নিযুক্ত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে মজুরি বাড়লেও উপরের স্তরে মজুরি তেমন একটা বাড়েনি৷ এ নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে গেল বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ঢাকা, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুরের প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বিক্ষোভ করে৷
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের জাতীয় নির্বাচনের আগে এধরণের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখা হলে গ্রেপ্তার ও গুম করা হতে পারে বলে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদের হুমকি দেয়া হয়৷ জানুয়ারিতে আবারো শ্রমিকরা প্রতিবাদে নামার পর পুলিশ তাদের উপর জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে৷ এতে একজন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়৷
শ্রমিক ছাঁটাই ও কালো তালিকা
জানুয়ারির এই বিক্ষোভের পর এখন পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার শ্রমিককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শ্রমিক সংগঠনগুলো৷ পুলিশের বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, কারখানাগুলো ৪,৮৯৯ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে৷ শ্রমিক নেতারা বলছে অন্য কোনো কারখানায় যাতে চাকরি না পায় সেজন্য ১,৭০০ শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে৷ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হলেও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে কারখানাগুলো তাদের নোটিশে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ দেয়নি৷
‘ফাস্ট ফ্যাশন’ ও তার অন্ধকার দিক
আজকাল সস্তায় নিত্যনতুন পোশাক কেনার ধুম পড়েছে৷ কিন্তু এ সব পোশাক তৈরির পেছনে যাঁদের কষ্ট, ত্যাগ রয়েছে, তাঁদের কথা ভাবেন কি? জানেন পোশাক শিল্পের অন্ধকার দিকগুলোর কথা? হ্যাঁ, কোলনের এক প্রদর্শনীতে সেসব কথাই তুলে ধরা হয়েছে৷
ছবি: DW/N. Sattar
শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কেউ ভাবেন না
যে সব দেশ ‘ফাস্ট ফ্যাশন’ বা সস্তার তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত, সে সব কেউ-ই তেমন করে পরিবেশগত মান এবং শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে ভাবে না৷ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিশেষভাবে স্থান পেয়েছে কোলনের রাউটেনস্ট্রাউখ নামের মিউজিয়ামটিতে৷ এই প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গত বছরের ১২ অক্টোবর, আর চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷
ছবি: Helena Waldmann
সাগরের পানি দূষণ
‘ফাস্ট ফ্যাশন’ বা দ্রুত ফ্যাশনের পোশাকের দাম কম ঠিকই, তবে এর জন্য পরিবেশ যে মূল্য দেয় তা কিন্তু বিশাল৷ সামগ্রিকভাবে টেক্সটাইল উত্পাদনের কারণে বছরে এক বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমণ হয় এই বিশ্বে৷ বলা বাহুল্য, বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার সাগরের পানি দূষণও করে৷
ছবি: Greenpeace/Gigie Cruz-Sy
পোশাক শ্রমিক ক্রিশান্তি যা বলছেন...
‘‘প্রতিদিন ১০-১২ ঘণ্টা কাজ করি৷ এমনকি রবিবার বা ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়৷ কিন্তু বেতন হিসেবে যা হাতে আসে, তা দিয়ে জীবনের মৌলিক চাহিদাই মেটাতে পারি না৷’’
ছবি: DW/N. Sattar
নারী শ্রমিকদের বেশি কষ্ট
কর্মক্ষেত্রে নারী পোশাক শ্রমিকদের সবসময়ই নানাভাবে উত্তক্ত্য করে তাঁদের ম্যানেজার বা অন্যান্য পুরষ সহকর্মীরা৷ এ সত্য শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অন্যত্রও চোখে পড়ে৷ যেমন জানিয়েছেন চীনের এক পোশাক শ্রমিক৷ তাছাড়া হন্ডুরাসের সাবেক এক পোশাক শ্রমিকের দুঃখ বলে বলেন, ‘‘সস্তায় কেনা পোশাকের জন্য কতই না ত্যাগ স্বীকার করি আমরা৷ কিন্তু সেকথা কি ক্রেতারা কখনো জানতে পারবেন?’’
ছবি: DW/N. Sattar
যেসব দেশ স্থান পেয়েছে
‘ফাস্ট ফ্যাশন’ প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা হামবুর্গের শিল্পকলা ও বাণিজ্য বিষয়ক একটি মিউজিয়াম৷ এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, হন্ডুরাসসহ আরো বেশ কিছু দেশ৷
ছবি: Daniel Bark/Deutsches Hygiene-Museum
পোশাক শ্রমিকের মূল্য কত?
একটি টি-শার্টের মূল্য এক কাপ কফির চেয়ে কম৷ একটি জামা আইসক্রিমের সমমূল্যে৷ আবার একটি সিনেমার টিকেটের চেয়ে কম দামে পেয়ে যাবেন একটি প্যান্ট! হ্যাঁ, এটাই ছিল এই প্রদর্শনীর স্লোগান৷ তবে যাঁরা এ সব পোশাক তৈরি করছেন তাঁদের ন্যায্যমূল্য কত? সে খবর কি কেউ রেখেছেন?
ছবি: Taslima Akhter/Hygienemuseum Dresden
সস্তা বলেই এত অপচয়!
আর সেরকমই হয়েছে জার্মানিতে৷ একটি সমীক্ষায় দেখে গাছে গড়ে প্রায় এক বিলিয়ন পোশাক জার্মানদের বাড়ির আলমারিতে ঝুলছে৷ আর সেগুলো কেনা হলেও কখনো পরাই হয়নি, শুধুমাত্র নাকি কম দাম বলে৷
ছবি: DW/J. Collins
ছবিটি কি সহজে ভোলা যাবে?
রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে ১১৩৪ জন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল৷ ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী সাভারে ঘটেছিল সেই ঘটনা৷ তসলিমা আক্তারের তোলা এই ছবিটি কি কেউ সহজে ভুলে যেতে পারবেন?
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah
হাজারো স্বপ্নের মৃত্যু!
তাদের এসব দাবি কি কখনো পূরণ হবে ?
ছবি: Taslima Akhter
‘স্লো ফ্যাশন’
প্রদর্শনীটিতে ‘ফাস্ট ফ্যাশন’ প্রাধান্য পেয়েছে বটে, তবে ‘স্লো ফ্যাশন’ বা টেকশই, স্টাইনধর্মী ফ্যাশনও স্থান পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kahnert
চরকায় সূতো বুনছেন মহাত্মা গান্ধী
মহাত্মা গান্ধীর এই ছবিটিও প্রদর্শীতে স্থান পেয়েছে, যা কিনা ‘স্লো ফ্যাশন’-এর উদাহরণ হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে৷
ছবি: Getty Images/Hulton Archive
11 ছবি1 | 11
মামলা ও গ্রেপ্তার
জানুয়ারির বিক্ষোভের ঘটনায় ৫৫১ শ্রমিকের নামে ও কমপক্ষে তিন হাজার অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে ২৯টি মামলা করা হয়েছে৷ যার মাধ্যমে পরবর্তীতে আরো শ্রমিককে ছাঁটাই করা হতে পারে বলেও শংকা প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি৷ ইউনিয়ন নেতাদের বরাত দিয়ে সংস্থাটি বলছে, সবশেষ ৪ মার্চ পর্যন্ত ৫২ শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যাদের ১১ জনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে৷ কমপক্ষে দুইজনকে আসামি করে ৩০৭ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
ব্র্যান্ড ও সরকারের করণীয়
শ্রমিক হয়রানির অভিযোগ নিয়ে গেল ৭ ফেব্রুয়ারি এইচঅ্যান্ডএম একটি বিবৃতি প্রকাশ করে৷ সেখানে তারা নিয়মিত ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনার পাশাপাশি আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিবাদ মেটানোর জন্য সব পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছে৷ এইচঅ্যান্ডএম, কিক, চিবো, ম্যাংগো, নেক্সট, মাতালান, ভিএফ, টাক্কো, আলডি, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, এসপ্রিট, ওয়ালমার্ট, জেসি পেনি এবং টেসকোকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব নিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে আহবান জানিয়েছে৷ শ্রমিক ছাঁটাই যাতে বন্ধ করা হয় সেজন্য চাপ প্রয়োগের পন্থা অবলম্বন করা উচিত বলেও মনে করছে সংস্থাটি৷
এইচআরডাব্লিউ কর্মকর্তা রবার্টসন বলেন, পুলিশ শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে, তাদের উপর রাবার বুলেট ছুড়ছে৷ ‘‘ব্যাপারটি বিদঘুটে শোনালেও বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এমন আচরণই করছে,'' বলে জানান তিনি৷ রবার্টসন আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারের উচিত এমন ব্যবস্থা নেয়া যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ক্রেতাদের কাছে প্রতীয়মান হয় যে শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তায় তারা প্রতিশ্রুতিশীল৷''
এফএস/জেডএইচ (এইচআরডাব্লিউ)
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি: অতীত-বর্তমান
বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে পোশাক খাত থেকে৷ পোশাক খাতই দেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল শিল্প খাত৷ অথচ এই খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে বারবার নামতে হয় রাস্তায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শুরুতে মাত্র ৬৩০ টাকা
পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য ১৯৮৪ সালে প্রথম মজুরি ঘোষণা করা হয়৷ ওই সময় শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ৬৩০ টাকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
দশ বছরে বাড়ে ৩০০ টাকা
১৯৯৪ সালে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ন্যূনতম মজুরি করা হয় ৯৩০টাকা৷ এরপর ১২ বছর এই খাতে কোনো বেতন কাঠামো ঘোষিত হয়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. uz Zaman
দুই দশক পর হাজারের ঘরে বেতন!
গত ৪০ বছর ধরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের বাইরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আয়ই প্রধান৷ অথচ এই খাতে মজুরি এখনো কম৷ ২০০৬ সালে ন্যূনতম বেতন হাজারের ঘর স্পর্শ করে৷ ১৯৯৪ সালের ঘোষিত ৯৩০ টাকা ২০০৬ সালে বেড়ে হয় ১ হাজার ৬৬২ টাকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রায় দ্বিগুণ, কিন্তু অপ্রতুল
২০১০ সালে মজুরি বাড়িয়ে করা হয় তিন হাজার টাকা৷ কিন্তু তখন ন্যূনতম ৮ হাজার টাকার দাবি ছিল শ্রমিকদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa
২০১৩ সালেও প্রত্যাশার চেয়ে কম
২০১৩ সালের জুন মাসে গঠিত মজুরি বোর্ড পোশাক শ্রমিকদের মূল মজুরি নির্ধারণ করে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা৷ দ্রব্যমূল্য বাড়লেও শ্রমিকরা ২০১০ সালের দাবি অনুযায়ীও মজুরি পায়নি৷
ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan
২০১৮ সালে ১১ গ্রেডের বেতন কাঠামো
গত বছর নতুন করে পোশাক শ্রমিকদের বেতনের ১১টি গ্রেড করা হয়৷ এর মধ্যে শ্রমিকদের জন্য সাতটি ও কর্মচারীদের জন্য নির্ধারণ করা হয় চারটি গ্রেড৷ শ্রমিকদের প্রথম গ্রেডে মজুরি ধরা হয় ১৭ হাজার ৫১০ টাকা৷ এর মধ্যে শিক্ষানবিশ গ্রেডও রয়েছে৷ শিক্ষানবিশ শ্রমিকরা মাসে পাঁচ হাজার ৯৭৫ টাকা পাবেন৷
ছবি: bdnews24.com
কী হয় এ বেতনে!
শ্রমিকদের সপ্তম গ্রেডে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার টাকা৷ এর মধ্যে মূল মজুরি চার হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া দুই হাজার ৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা৷ তবে বলা বাহুল্য, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে ন্যূনতম মজুরি বা বর্তমান মজুরি কাঠামোকে পোশাক শ্রমিকরা সঙ্গতিপূর্ণ মনে করছেন না৷
ছবি: Taslima Akhter/Hygienemuseum Dresden
টাকার অংকে মজুরি বেড়েছে মাত্র ২৭১ টাকা
বাংলাদেশ মজুরি বোর্ডের আইন অনুযায়ী মূল মজুরি প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বাড়ে৷ পাঁচ বছর পরপর মজুরি কাঠামো পর্যালোচনার আইনও রয়েছে৷ সে অনুযায়ী সপ্তম গ্রেডের শ্রমিকদের ২০১৩ সালের মূল ছিল ৩ হাজার ৮২৯ টাকা৷ আর এখন নতুন মূল মজুরি ঘোষিত হলো ৪ হাজার ১০০ টাকা৷ অর্থাৎ, এই গ্রেডের মজুরি বেড়েছে ২৭১ টাকা মাত্র!
ছবি: bdnews24.com/M.Z. Ovi
অন্য খাতের মজুরি
২০১৮ সালে চামড়া খাতে নতুন যে মজুরি কাঠামো ঘোষিত হয়েছে তাতে সর্বনিম্ন গ্রেডের শ্রমিকদের মোট মজুরি ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা৷ শিপব্রেকিং খাতে সর্বনিম্ন মজুরি ১৬ হাজার টাকা৷ অ্যালুমিনিয়াম ও অ্যানামেল শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ৮ হাজার ৭০০ টাকা৷ পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি তার চেয়ে অনেক কম৷