বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন ভারতের জন্য খুবই জরুরি৷ তাই আন্তরিকতার প্রলেপ দিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশে এসেছিলেন৷ এমনটাই মনে করেন দেশটির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অনিন্দ্য জানা৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের ইউটিউব চ্যানেলে ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোতে অংশ নিয়ে আজকাল পত্রিকার এই যুগ্ম সম্পাদক হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কন্নোয়নের জন্য ভ্যাকসিন বা কো-ভ্যাকসিন হিসেবে উল্লেখ করেন৷ তার মতে, ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা শ্রিংলাকে বিদেশ সচিব করার পেছনেও ভারত সরকারের এই উদ্দেশ্য থাকতে পারে৷ কেননা, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভারত বর্ষের পক্ষে খুব জরুরি৷ কারণ, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের যে সম্পর্ক (তার প্রেক্ষিতে), সীমান্ত রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো রাখা দরকার৷’’
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদী যখন ২০১৪ সালে প্রথমবার নির্বাচিত হলেন, তার শপথ অনুষ্ঠানে সার্কের সব দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন৷ এমনকি পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বাড়িতেও তিনি গিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোট যখন বিপুলভাবে নির্বাচিত হয়ে এলো তখন এমন একটি বার্তা প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে যাচ্ছে যে, ভারত ‘বড়দাসুলভ’ মনোভাব দেখাতে চাইছে৷ সেই ধারণাটা ভাঙা বা আন্তরিকতার প্রলেপ দেয়া ভারতের জন্য জরুরি বলে মনে করেন অনিন্দ্য জানা৷
ভারতীয় তথ্য সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৯০ মিনিট ধরে শ্রিংলা বৈঠক করেছেন৷ একজন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে একজন বিদেশ সচিবের ৯০ মিনিটের বৈঠক খুব খেলো কথা নয় এই পরিস্থিতিতে৷ বৈঠকের সময়কাল দিয়েই অনেক কিছু নির্ধারিত হয়৷’’
অনুষ্ঠানে সহ-আলোচক হিসেবে ছিলেন ঢাকার জি-নাইন-এর সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত৷ তার মতে, ভারতকে বাংলাদেশ যতটা দিয়েছে, ভারত ততটা দেয়নি৷ সিডরের সময় ভারত চালের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা দেয়নি৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারত সফরে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি হয়েছিল, যা আজও বাস্তবায়ন হয়নি৷ ‘‘ভারত শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়৷ বাংলাদেশের পক্ষে আক্ষরিক অর্থে সহমর্মাতা নিয়ে যা করা প্রয়োজন তা করে না বলে বঞ্চনার অভিযোগ আমাদের রয়েছে,’’ বলেন তিনি৷ তার অভিযোগ, ভারতের সরকার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷
আরেক প্রশ্নের জবাবে অনিন্দ্য জানা বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে ভারতে যা হচ্ছে তাতে মুসলিম সংল্যাঘুদের শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ রাম মন্দিরে যখন শিলান্যাস হলো, করোনার মধ্যেও যখন এত জাঁকজমকভাবে হলো, তখন তাদের আরো শঙ্কিত হওয়ার কারণ রয়েছে৷ এতে তারা মনে করছেন, সংবিধানে যা-ই থাক না কেন ভারতবর্ষকে ভার্চুয়ালি একটি হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷’’
সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা উচিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত বলেন, ‘‘রাষ্ট্রের কোনো ধর্মের প্রয়োজন আছে বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না৷ রাষ্ট্রের মধ্যে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করবে এবং যে যার ধর্ম পালন করবে, সেখানে রাষ্ট্র নিজে একটা ধর্মের পক্ষ নিয়ে নেবে এটা আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না থাকা উচিত৷’’ তিনি মনে করেন, উপমহাদেশে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে তারা নিজেদের সুবিধার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন৷
এফএস/এসিবি
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ইতিবৃত্ত
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন? এক কথায় তার মূল্যায়ন কঠিন৷ বাংলাদেশের সাথে প্রতিবেশী দেশটির সম্পর্ক মধুর যেমন বলা চলে, তেমনি আবার কিছু তিক্ততাও আছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad
বিপদের বন্ধু
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অকৃত্রিম বন্ধুর ভূমিকায় ছিল ভারত৷ ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি তাঁর সরকারের পূর্ণ সমর্থন দেন৷ পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে বাঙ্গালীদের জন্য খুলে দেয়া হয় দেশটির সীমান্ত৷ নভেম্বরে গঠন হয় মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যৌথ কমান্ড, যার পথ ধরে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা৷
ছবি: Getty Images/AFP/
মৈত্রী চুক্তি
দুই দেশের শান্তি ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী৷ আঞ্চলিক অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মোট ১২ টি ধারা ছিল এতে৷ ১৯৯৭ সালের ১৯ মার্চ মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিটি আর নবায়ন হয়নি৷
ছবি: Getty Images/G. Crouch
বন্ধনে সংস্কৃতি
ভারতের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে অবিচ্ছেদ্য এক সাংস্কৃতিক সম্পর্ক৷ এক সময় পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশ ছিল একই অঞ্চল৷ দুই বাংলার মানুষের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিতেও আছে মিল৷ আছে পারস্পরিক যোগাযোগ৷ দুই দেশের মধ্যে সরকারিভাবে সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তিও রয়েছে৷
ছবি: Getty Images
যোগাযোগে মৈত্রী
ভারতের সাথে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু আছে বহুদিন থেকে৷ কলকাতা-ঢাকা, শিলং-ঢাকা এবং ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতা নিয়মিত বাস যাতায়াত করে৷ ৬টি রেল লাইন ছাড়াও দু’টি ব্রডগেজ রেল সংযোগ আছে দুই দেশের মধ্যে৷ কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে 'মৈত্রী এক্সপ্রেস' চলে সপ্তাহে চারদিন৷ ২০১৭ সালে চালু হয়েছে খুলনা-কলকাতা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’৷ এছাড়া বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রেলযোগাযোগ চালুর কাজও চলছে৷
ছবি: DW/P. Mani
ভারসাম্যহীন বাণিজ্য
দুই দেশের বাণিজ্যের আকার ৯১৪ কোটি ডলার৷ ২০১৭-১৮ অথর্বছরে ভারত থেকে ৮৪৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ আর রপ্তানি করেছে মাত্র ৬৮ কোটি ডলারের পণ্য৷ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশিরভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পেলেও ভারতের বিরুদ্ধে অশুল্ক বা শুল্কবহির্ভূত বাধা তৈরির অভিযোগ রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta
বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ
২০১৭ সালে বাংলাদেশে ভারতের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ডলার৷ টেলিযোগাযোগ, ঔষধ, অটোমোবাইলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা আছে৷ এছাড়া ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় ভারতের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের ১৩টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. U. Ekpei
বিদ্যুৎ আমদানি
বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ৷ ভারতের জাতীয় তাপবিদ্যুৎ কর্পোরেশন (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)-র অংশীদারিত্বে রামপালে নির্মিত হচ্ছে বিতর্কিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র৷ এছাড়াও ২০১৭ সালের এপ্রিলে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ৩৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও অর্থায়ন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Malukas
জ্বালানি সহযোগিতা
বাংলাদেশে যেসব দেশের প্রতিষ্ঠান পরিশোধিত তেল সরবরাহ করে তার একটি ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড৷ সেখান থেকে ডিজেল আমদানির জন্য শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে দুই দেশের সরকার৷ ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে এর উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী৷
ছবি: Reuters/E. Gaillard
সমুদ্র বিরোধের নিষ্পত্তি
বঙ্গোপসাগরে ২৫,৬০২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধ ছিল৷ তার মধ্যে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে নেদারল্যান্ডসের স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়ে ১৯,৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পেয়েছে বাংলাদেশ৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/Str
ছিটমহল বিনিময়
২০১৫ সালের জুলাইতে দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন হয়৷ ভারতের ১১১টি ছিটমহল যুক্ত হয় বাংলাদেশের সাথে আর সেখানকার বাসিন্দারা পায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব৷ একইভাবে ভারতের অভ্যন্তরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলও লীন হয়ে যায় দেশটির সাথে৷
ছবি: AFP/Getty Images
প্রাণঘাতী সীমান্ত
দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও সীমান্তে দেশটির আচরণে তার প্রতিফলন নেই৷ গত ১০ বছরে ২৯৪ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ৷ সীমান্ত পারাপারে অস্ত্র ব্যবহার করবে না দুই দেশ, ২০১১ সালে বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে এমন চুক্তি হলেও বন্ধ হয়নি সীমান্ত হত্যা৷
ছবি: AP
ফারাক্কা বাঁধ
গঙ্গা নদীতে বাংলাদেশ সীমান্তের ১৮ মাইল উজানে ফারাক্কা বাঁধ তৈরি করে ভারত৷ ১৯৬১ সালে শুরু হয়ে কাজ শেষ হয় ১৯৭৫ সালে৷ শুস্ক মৌসুমে বাঁধের গেট বন্ধ রেখে বাংলাদেশে পানি প্রবাহে বাধা তৈরি করে ভারত৷ অন্যদিকে বর্ষায় খুলে দেয়া হয় সবগুলো গেট, যার ফলে উত্তরাঞ্চলে দেখা দেয় বন্যা৷
তিস্তা চুক্তি
১৯৮৭ সালের পর থেকে তিস্তার পানি নিয়ে ভারতের সাথে কোনো চুক্তি নেই বাংলাদেশের৷ একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দেশটি৷ ফলে বাংলাদেশ অববাহিকায় পানিসংকট চলছে৷ ২০১১ সালের ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফরে এই বিষয়ে চুক্তি সই হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি৷
ছবি: DW/A. Chatterjee
রোহিঙ্গায় পাশে নেই
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে নেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি৷ শুরু থেকেই এ বিষয়ে মিয়ানমারের অবস্থানকেই বরং সমর্থন জানিয়ে আসছে দিল্লি৷ এমনকি সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক ভোটাভুটিতেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটি৷
ছবি: Getty Images/P. Bronstein
নতুন জটিলতা এনআরসি
সম্প্রতি হালনাগাদ নাগরিকঞ্জি প্রকাশ করে ভারতের আসাম রাজ্য৷ তাতে রাতারাতি নাগরিকত্ব হারিয়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগ মুসলিম৷ বাদ পড়াদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলে আসছে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath
ক্রিকেটের উত্তেজনা
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটের সম্পর্কটাও রাজনীতির মতোই ঐতিহাসিক৷ টাইগাররা ঢাকায় প্রথম টেস্ট খেলেছিল ভারতের বিপক্ষেই, ২০০০ সালে৷ তবে ভারতে টেস্ট খেলার সুযোগের জন্য ১৭ বছর অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে৷ দুই দলের মধ্যে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্ট অবশ্য হয়েছে অনেক৷ সেখানে বেশ কিছু টানটান উত্তেজনার ম্যাচও হয়েছে৷ আগামী নভেম্বরে এই প্রথম দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল৷