তানজানিয়ায় ভিক্টোরিয়া লেকের তীরে মোয়াঞ্জা শহর৷ সেখানে পরিবেশ দূষণ ক্রমেই সমস্যা হয়ে দেখা দিচ্ছে - আর তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে এক ষোলো বছরের কিশোরী – একা নয়, সকলকে সাথে নিয়ে৷ রেডিও-র মাইক্রোফোন তার হাতিয়ার৷
ছবি: DW
বিজ্ঞাপন
ছোটদের নিয়ে কাজ করা
04:15
This browser does not support the video element.
তানজানিয়ার একটি ছোট্ট শহরের নাম মোয়াঞ্জা, প্রখ্যাত লেক ভিক্টোরিয়া বা ভিক্টোরিয়া হ্রদের চারপাশের পাহাড়গুলোর গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে৷ শহরের স্থানীয় বেতারকেন্দ্র থেকে সম্প্রতি একটি নতুন কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে, গার্ট্রুড ক্লিমেন্ট-এর কণ্ঠ৷ ষোড়শী গার্ট্রুড তার বন্ধুদের নিয়ে একটি পরিবেশ সংক্রান্ত সাপ্তাহিক পরিবেশনা করে থাকে৷ গার্ট্রুড বলে, ‘‘অনুষ্ঠানটা ছোটদের জন্য৷ আমাদের প্রোগ্রামের নাম হল ‘সায়ারি ইয়া ওয়াটোটো'৷ আজ অনুষ্ঠানের দু'টি অংশ ছিল: প্রথমে ছোটদের জন্য খবর, তারপর আলোচনা৷ আলোচনায় আমরা পানিসম্পদ রক্ষা নিয়ে কথা বলেছি৷''
লোকে শুনছেও৷ মাত্র এক ঘণ্টায় ৭০টি মেসেজ পেয়েছে গার্ট্রুড৷ গার্ট্রুড জানাল, ‘‘আমার শ্রোতারা রাস্তাঘাটে যা দেখছে, তা বদলানোর চেষ্টা করবে বলে আমার ধারণা৷ আমাদের প্রোগ্রাম শুনে৷ যেমন পরিবেশ সুরক্ষা, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, পানিসম্পদ রক্ষা৷'' আলোচনার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ – কেননা এলাকাটি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত হলেও, তলায় তলায় সমস্যার কোনো কমতি নেই৷ হ্রদের জল বিশেষভাবে দূষিত, মাছও ফুরিয়ে আসছে৷
প্রতি সপ্তাহে গার্ট্রুড সেই সব মানুষদের কথা শোনায়, যারা রোজ পরিবেশজনিত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন৷ গার্ট্রুড শোনাল,‘‘মোয়াঞ্জার এই এলাকার এক জেলের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম৷ তাঁর নাম কিরুম্বা মালোনি৷ ওখানে যে ঘাস দেখছেন, তার কথা বলছিলেন উনি – আর মানুষজন কীভাবে লেকে তাদের ময়লা ফেলছে৷'' গার্ট্রুডের রিপোর্টিং এতো কার্যকরী যে তা জাতিসংঘেরও নজরে পড়েছে৷ নিউ ইয়র্কের একটি শীর্ষবৈঠকে শিশুদের হয়ে কথা বলেছিল গার্ট্রুড৷
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে শিক্ষার আলো পেতে শিশুদের অনেক দুর্গম পথ পার হতে হয়৷ পাহাড়ে উঠে, পানিতে ভিজে, ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে, বিপজ্জনক সব রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় তারা৷ তেমনই কিছু ছবি দেখে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: Senator Film Verleih, Berlin
কী ভয়ঙ্কর!
পুরনো একটি গাড়ির চাকায় হাওয়া ভরে ছোট্ট দুই শিশু পানির ওপরে ভেসে যাচ্ছে৷ চাকার মধ্যে জড়ো হয়ে বসে এভাবেই তারা প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে৷ এতে স্কুলের ইউনিফর্ম যতই ভিজুক না কেন, রাতের মধ্যে তা শুকাতেই হবে৷ কারণ পরেরদিন সকালে যে আবার ঐ পোশাকই ওদের পরতে হবে!
ছবি: picture-alliance/dpa/D. M. Sabagan
৮০০ মিটার উঁচু খাড়া পাহাড় পেরিয়ে স্কুলে...
চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার একটি পাহাড়ি গ্রাম আটুলের৷ সেখানকার এই রাস্তাটাই হচ্ছে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম পথ৷ প্রতিদিন ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের এই পথ দিয়ে পাহাড়ে উঠে বহু কষ্টে যেমন করে স্কুলে যেতে হয়, তেমনি ফিরতেও হয় ঐ একই পথ ধরে৷
ছবি: picture alliance/AP Images/Chinatopix
নীচে তাকালেই যে বিপদ!
ঝুলন্ত দড়ির মই বেয়ে প্রতিদিন ৯০ মিনিট ধরে স্কুলে যেতে হয় এই শিশুদের৷ শিশুদের জন্য এভাবে পথ চলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ৷ এর জন্য এ অঞ্চলে আগে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, মারাও গেছে অনেকে৷ তবে আশার কথা, এতদিনে সিচুয়ান প্রদেশের টনক নড়েছে৷ শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই এখানে একটি পাতের সিঁড়ি তৈরি করা হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Imaginechina Tao ge
কাঠের রাস্তা
দক্ষিণ চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াংশির একটি গ্রামের শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য রোজ নংইয়ং পর্যন্ত যেতে হয়৷ এর জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কাঠের সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠতে হয় তাদের৷ শুধু তাই নয়, কাঠের এই সিঁড়িগুলোতে কোনো রেলিং পর্যন্ত নেই!
ছবি: picture alliance/Photoshot/H. Xiaobang
তারের সেতু
ইন্দোনেশিয়ার লেবাক অঞ্চলের শিশুদের স্কুলে যেতে হলে একসময় তারের এই ঝুলন্ত সেতুটির ওপর দিয়ে যেতে হতো৷ নীচেই নদী, তাই এ পথও ছিল যথেষ্ট দুর্গম৷ এখন অবশ্য এখানে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
ভেলায় চড়ে স্কুলে যাওয়া
শুনলেই রোমাঞ্চকর মনে হতে পারে৷ কিন্তু ফিলিপাইন্সের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের এমনটা প্রতিদিন করতে হয় প্রয়োজনে, সাধ করে নয়৷ হ্যাঁ, গ্রাম থেকে রিজাল প্রদেশে যেতে ভেলায় চড়ে রোজ নদী পার হতে হয় তাদের৷ সেখানেই রয়েছে এলাকার একমাত্র স্কুলটি৷ তাই লাখো শিশু এভাবেই ভেসে ভেসে স্কুলে যায় প্রতিদিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. M. Sabagan
শিক্ষার আলো পেতে পাহাড়ে ওঠো!
মরক্কোয় স্কুলে যাওার এই রাস্তাটা চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার মতো এতটা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও, কষ্টকর বটে৷ জাহিরা নামের ছোট্ট এই মেয়েটিকে স্কুলে যাতায়াতের জন্য প্রতিদিনই অন্তত চার ঘণ্টা পাথর বিছানো এই উঁচু-নীচু পথে হাঁটতে হয়, তাও আবার দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার৷
ছবি: Senator Film Verleih, Berlin
7 ছবি1 | 7
ছোটদের কাছে বড়দের শেখা
কীভাবে পরিবর্তন আনতে হয়, ছোটরা বড়দের তা শেখাতে পারে বলে গার্ট্রুডের ধারণা৷ আজ তার দল ফটো তুলছে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সমস্যার একটি মানচিত্র তৈরির কাজে৷ গার্ট্রুডের প্রজন্ম কীভাবে সক্রিয় হতে পারে, তা দেখাতে চান ওদের প্রশিক্ষক৷ পরিবেশ আন্দোলনকারী ব্রাইটিয়াস টাইটাস বললেন, ‘‘ছোটদের একটি বড় ভূমিকা আছে, কারণ ছোটরা পরিবর্তনের দূত হতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস৷ ছোটরা অন্যান্য বাচ্চাদের শেখাতে পারে, হয় তারা রেডিও-টেলিভিশনে যে প্রোগ্রাম করছে, তার মাধ্যমে; নয়তো স্কুলে, যেখানে সকলের দেখাসাক্ষাৎ হয়৷''
স্কুলেও গার্ট্রুড খুব মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনো করে৷ তার স্বপ্ন হল পড়াশুনা শেষ করে সে একজন পেশাদারি সাংবাদিক হবে৷ কিন্তু বড় হওয়ার পরেও সে ছোটদের কথা ভুলবে না৷ সে বলে, ‘‘বড় হয়ে আমি ছোটদের প্রতিভা নিয়ে কাজ করতে চাই৷ কেননা দেখছেন তো, আমাদের দেশে ছোটদের প্রতিভা সম্পর্কে কারো কোনো আগ্রহ নেই, বিশেষ করে যে সব ছেলেমেয়ে দার-এস-সালামের বাইরে থাকে, গ্রামে থাকে, অন্যান্য এলাকায় থাকে৷ সে সব জায়গার ছেলেমেয়েদেরও নানা প্রতিভা আছে, কিন্তু তাদের সাহায্য করার মতো কেউ নেই, যাতে তারা তাদের স্বপ্ন সফল করতে পারে৷ আমি সেই সব ছেলেমেয়েদের সাহায্য করতে চাই৷''
তাদের বয়স যতই কম হোক না কেন, শিশুদের হাতেই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বলে গার্ট্রুডের ধারণা৷
জলবায়ু সংরক্ষণে আমরা কী অবদান রাখতে পারি?
গোটা বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশের উৎস কয়লা, তেল ও গ্যাস৷ বাকি এক-চতুর্থাংশের জন্য কৃষি ও কাঠ কাটার কাজ দায়ী৷ ১০টি উপায়ে আমরাও কার্বন নির্গমন এড়িয়ে চলতে পারি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কয়লা, তেল ও গ্যাসের কম ব্যবহার
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কল-কারখানা ও পরিবহণ ক্ষেত্রই মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী৷ শীতের দেশে ঘরবাড়ি গরম রাখতে প্রায় ৬ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করা হয়৷ তাই পরিবেশ সংরক্ষণ করতে কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আরও দক্ষতার সঙ্গে জ্বালানি ব্যবহার করা উচিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘ক্লিন এনার্জি’ নিজেই উৎপাদন করুন
বিদ্যুতের জন্য আর কয়লা, তেল বা গ্যাস-ভিত্তিক জ্বালানি কেন্দ্রের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে না৷ বিকল্প জ্বালানি ইতোমধ্যে আরও সস্তা হয়ে উঠেছে৷ নিজস্ব উদ্যোগে জ্বালানি উৎপাদন করে চাহিদা মিটিয়ে প্রায়ই কিছু উদ্বৃত্ত থেকে যায়৷ ছাদের উপর সৌর প্যানেলের জন্য যথেষ্ট জায়গা আছে৷ এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিরও যথেষ্ট উন্নতি ঘটছে৷
ছবি: Mobisol
ভালো আইডিয়ার প্রতি সমর্থন চাই
পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে ও ‘ক্লিন এনার্জি’ বিক্রি করছে৷ যেমন জার্মানির সাবেক শহরের সোলার পার্ক৷ জনসংখ্যা মাত্র ৭,২০০৷ চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আদর্শ হয়ে উঠেছে এই ছোট্ট শহরটি৷ এক মার্কিন প্রতিনিধিদল সেই সাফল্যের রহস্য বুঝতে এসেছে৷
ছবি: Gemeinde Saerbeck/Ulrich Gunka
জলবায়ুর ক্ষতি করলে কোম্পানির লোকসান
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিমা কোম্পানি, বিশ্ববিদ্যালয়, পৌর কর্তৃপক্ষ – সবাই জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি থেকে বিনিয়োগের অর্থ সরিয়ে নিচ্ছে৷ জার্মানির ম্যুনস্টার শহর কর্তৃপক্ষ সবার আগে এই ‘ডাইভেস্টমেন্ট’ আন্দোলনে শামিল হয়েছে৷ গোটা বিশ্বে মোট ৫৭টি পৌর কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত একই পথ বেছে নিয়েছে৷
ছবি: 350.org/Linda Choritz
গাড়ি ছেড়ে সাইকেল, ট্রাম-বাস, ট্রেন
সাইকেল, ট্রাম-বাস ও ট্রেন ব্যবহার করলে অনেক কার্বন সাশ্রয় করা যায়৷ গাড়ির তুলনায় বাস ৫ গুণ বেশি পরিবেশবান্ধব – ইলেকট্রিক ট্রেন ১৫ গুণ বেশি৷ আমস্টারডাম শহরের বেশিরভাগ মানুষই সাইকেল চালান৷ শহর কর্তৃপক্ষ সাইকেলের জন্য চওড়া পথ তৈরি করেছে৷
ছবি: DW/G. Rueter
বিমানযাত্রা এড়িয়ে চলুন
বিমানযাত্রা পরিবেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে৷ হিসেব অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকে বছরে গড়ে ৫.৯ টনের বেশি কার্বন নির্গমন করলে চলবে না৷ অথচ বিমানে চেপে বার্লিন ও নিউ ইয়র্ক করলেই যাত্রী প্রতি ৬.৫ টন কার্বন নির্গমন করা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Huguen
কম মাংস খান
পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কৃষিক্ষেত্রও সমস্যা সৃষ্টি করে৷ ধানচাষের ফলে এবং গরু, ভেড়া ও ছাগলের পেটের মধ্যে জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর মিথেন সৃষ্টি হয়৷ একদিকে সারা বিশ্বে মাংস খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে৷ অন্যদিকে গবাদি পশুপালনের কারণে পশুখাদ্য হিসেবে সয়াবিনের চাহিদাও বেড়ে চলেছে৷
ছবি: Getty Images/J. Sullivan
অরগ্যানিক খাদ্য কিনুন
লাফিং গ্যাস জলবায়ুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ গ্রিনহাউস এফেক্টের প্রায় ৬ শতাংশ এই গ্যাসের কারণে ঘটে৷ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ইঞ্জিনের পাশাপাশি বিশাল মাত্রার কৃষিকাজে কৃত্রিম সারের কারণে এই গ্যাস সৃষ্টি হয়৷ অরগ্যানিক খামারে এই বস্তুটি নিষিদ্ধ৷
ছবি: imago/R. Lueger
টেকসই নির্মাণ ও ভোগ
ইস্পাত ও সিমেন্ট উৎপাদনের ক্ষেত্রেও প্রচুর কার্বন নির্গমন ঘটে৷ অন্যদিকে কাঠ ও বাঁশের ক্ষেত্রে সেই ক্ষতির আশঙ্কা নেই৷ নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক উপকরণ বাছাই করে পরিবেশের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব৷ ভোক্তা হিসেবেও সবার মনে রাখা উচিত, যে প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করলে পরিবেশের কত ক্ষতি হয়৷
ছবি: Oliver Ristau
দায়িত্বশীল হবার পালা
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে গ্রিনহাউস গ্যাস পরিহার করতে হবে৷ স্কুলের এই ছাত্রছাত্রীরা ‘ক্লিন এনার্জি’ সম্পর্কে অত্যন্ত উৎসাহী৷ ভবিষ্যতের জন্য তারা এটাকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে৷ তাদের এই স্বপ্ন পূরণ করতে সবাই সাহায্য করতে পারে৷