1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রকেট ক্যাট’

৯ মার্চ ২০১৪

১৫৩০ সালের একটি জার্মান কেতাব, যার বিষয়বস্তু হলো গোলন্দাজি ও দুর্গ অবরোধ৷ সেখানেই দেখা যাচ্ছে একটা বেড়ালের ছবি, যার পিঠে ছুঁচোবাজির মতো বারুদের পোঁটলা বাঁধা! যেন বিংশ শতাব্দীর কোনো কমিক৷

Rocket Cat Illustration 16.Jahrhundert
ছবি: picture alliance/AP Photo

শুধু বেড়ালের পিঠে কেন, পায়রার পিঠে বাঁধা রকেট, এমন ছবিও আছে সমরশিক্ষার বইটিতে৷ মূল লেখা জার্মানে, তবে সাথে যে ছবিগুলো দেওয়া আছে, সেগুলি সত্যিই চমকপ্রদ৷ বেড়ালের পিঠে বারুদের থলে বাঁধা, পায়রার পুচ্ছ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে৷ পাশের ভাষ্যে সামরিক অধিনায়কদের প্রতি পরামর্শ, তা-ও আবার জার্মান ভাষায়: ‘‘(এগুলো ব্যবহার করে শত্রুর) কোনো দুর্গ অথবা শহরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সম্ভব''৷

ষোড়শ শতাব্দীর এই জার্মান ম্যানুয়াল ও তার ‘কমিকোপযোগী' অলঙ্করণ আবিষ্কৃত হয়েছে এক অদ্ভুত পন্থায়৷ ছবিগুলি অস্ট্রেলিয়ার একটি ‘বুক ব্লগ', অর্থাৎ বই নিয়ে ব্লগ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিচ ফ্রাসের নজরে আসে৷ ফ্রাস-ই আজব কেতাবটি ডিজিটাইজ করার ব্যবস্থা করেন৷ তবে বেড়ালের পিঠে রকেট বাঁধাটা যে বিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তির সঙ্গে তুলনীয় নয়, সেটা ফ্রাস নিজেই বলেছেন৷

জার্মানির কোলোন শহরের বাসিন্দা এবং গোলন্দাজির ওস্তাদ ফ্রানৎস হেল্ম এই কেতাবের রচয়িতা৷ হেল্ম স্বয়ং দক্ষিণ ও মধ্য ইউরোপে তুর্কিদের বিরুদ্ধে নানা যুদ্ধে সামিল ছিলেন৷ সময়টা যোড়শ শতাব্দীর সূচনা, যখন বারুদের আবিষ্কার যুদ্ধের ধারাপ্রকৃতিই বদলে দিচ্ছে৷ হেল্মের গোলন্দাজির ম্যানুয়াল ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং বহু শিল্পী তার অলঙ্করণে হাত লাগান৷ অথচ হেল্মের ম্যানুয়াল যে ‘শান্তিপ্রিয়', এমন অপবাদ তাঁর অতি বড় শত্রুও দিতে পারবে না৷ লোহার টুকরো ভরা বোমা থেকে শুরু করে পেরেক ভরা বিস্ফোরক রকেট, সব কিছুই পাওয়া যাবে তাঁর কেতাবে৷

রকেট ক্যাট

হেল্ম তাঁর বইতে ব্যাখ্যা করেছেন, কিভাবে ছোট ছোট জন্তু-জানোয়ার ব্যবহার করে আগুনে বোমা পাঠানো যায়: ‘‘শহর অথবা দুর্গ থেকে একটা বেড়াল যোগাড় করার চেষ্টা করো৷ তার পিঠে বারুদের থলিটা বেঁধে তা-তে আগুন ধরিয়ে দাও৷... বেড়ালটা শহর কিংবা দুর্গে ঢুকে কোথাও একটা লুকনোর চেষ্টা করবে, যেমন খড়ের গাদায়... যা-তে আগুন ধরে যাবে৷''

ভাগ্যের কথা, হেল্মের আজগুবি আইডিয়া বাস্তবে কোনোদিন পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল কিনা, ফ্রাস তার কোনো হদিশ পাননি৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ