1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিরোধী দলনেতা নিয়ে বিতর্ক

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৩ মে ২০১৪

ভারতের ষোড়শ সংসদে বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কপালে ভাঁজ৷ কারণ সংসদীয় বিধিনিয়ম অনুসারে বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতির জন্য সংসদের মোট আসন সংখ্যার ১০ শতাংশ পেতে হবে সেই দলকে, যা কংগ্রসের নেই৷

ছবি: UNI

সফল সংসদীয় গণতন্ত্রের শর্তই হলো কার্যকর বিরোধী দল৷ কিন্তু ভারতের নব নির্বাচিত ষোড়শ সংসদে বিরোধী দলগুলির কোমর একেবারে ভেঙে গেছে৷ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় মাত্র ৪৪টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের মর্যাদা হারাতে বসেছে প্রধান জাতীয় দল কংগ্রেস৷

১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রচলিত বা প্রথাগত নিয়ম হলো, কোনো দলকে বিরোধী দলনেতার মান্যতা পেতে হলে তাকে লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের এক-দশমাংশ, অর্থাৎ ৫৪টি আসন পেতে হবে৷ এক্ষেত্রে কংগ্রেসের তা নেই৷ অথচ সংসদে বিরোধী দলনেতা ছাড়া সংসদীয় কাজকর্ম চলতে পারে না৷ কারণ সংসদীয় আইনে এমন অনেক সংস্থান আছে, যেখানে বিরোধী দলনেতার অনুমোদন প্রয়োজন৷ এই যেমন কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর প্রধানের নিযুক্তি বা লোকপাল নিয়োগ৷ বিশেষ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অবশ্য নির্ধারিত আইন সংশোধন করা চলতে পারে৷

নিয়ম হলো, কোনো দলকে বিরোধী দলনেতার মান্যতা পেতে হলে লোকসভার মোট ৫৪৩টি আসনের এক-দশমাংশ আসন পেতে হবেছবি: UNI

এছাড়া আর বিকল্প কী হতে পারে? বিরোধী দলগুলির কোয়ালিশন? কংগ্রেসকে সরিয়ে রেখে প্রধান প্রধান আঞ্চলিক দলগুলি এক জোট হয়ে বিরোধী দলের স্থান নিতে চেষ্টা করছে৷ যেমন আসন সংখ্যার ভিত্তিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার এআইএডিএমকে-র হাতে আছে ৩৭ জন সাংসদ, তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূলের হাতে আছে ৩৪টি আসন এবং ওড়িষার নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দলের ঝুলিতে আছে ২০টি আসন৷ অর্থাৎ মোট ৯১টি আসনের জোট৷

বলা বাহুল্য, এদের মধ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ‘ফ্লোর কোঅর্ডনেশন'-এর আলোচনা৷ তৃণমূল চেষ্টা করছে বিরোধী দলনেতার পদ, ডেপুটি স্পিকার এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির মতো ইস্যুগুলি নিয়ে একটা সমঝোতায় আসতে৷ যদি সার্থক সমন্বয়ের মাধ্যমে লোকসভায় যৌথভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা নিতে পারে এই জোট, তাহলে সেটা হবে বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য বিকল্প৷

সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কাশ্যপ অবশ্য মনে করেন, কোনো একটি দল যদি লোকসভার ১০ শতাংশ আসন পায় তাহলে সেই দলের নেতা বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতি পেতে পারেন৷ প্রাক-নির্বাচনি কিংবা নির্বাচন-পরবর্তী কোনো জোটের নেতাকে এটা দেয়া যায় না৷ বড়জোর তাদের বিরোধী জোটের নেতা বলা যেতে পারে, কিন্তু বিরোধী দলনেতা বলা যাবে না৷

এই যুক্তি খণ্ডন করে কংগ্রেস তরফে বলা হয়েছে, এতে সেরকম কোনো আইনগত বাধা নেই৷ স্পিকার ইচ্ছা করলে তা করতে পারেন৷ ১০ শতাংশের শর্ত পালন বাধ্যতামূলক নয়৷ কংগ্রেসের বিদায়ী আইন মন্ত্রীর মতে, বৃহত্তম দলের নেতাকেই বিরোধী দলনেতার পদ দেয়া যেতে পারে৷ উল্লেখ্য, ১৯৫২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত প্রথম পাঁচটি সংসদীয় নির্বাচনে কোনো বিরোধী দলনেতা ছিলেন না৷ আর চতুর্থ লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ