1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংকটের সময় গির্জা আছে

ক্রিস্টফ স্ট্রাক/এসি১৭ এপ্রিল ২০১৫

বিমান দুর্ঘটনার স্মৃতিতে আজ কোলোন ক্যাথিড্রালে প্রার্থনাসভা ও রাষ্ট্রীয় স্মারক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা থেকে সামাজিক সংকটে গির্জার ভূমিকা আরো স্পষ্ট করে বোঝা যায় – বলছেন ক্রিস্টফ স্ট্রাক৷

Deutschland Trauerfeier für Germanwings-Opfer im Kölner Dom
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Vennenbernd

একজনের মানসিক বিকারের কারণে ১৪৯ জন নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কিছু স্কুলের ছাত্রছাত্রী – এবং একটি শিশু৷ শত শত শোকগ্রস্ত আত্মীয়স্বজন, পরিবার, বন্ধুবান্ধব - তাদের জীবনও আর একরকম থাকবে না৷ জার্মান জাতি এবার কিছুক্ষণের জন্য আত্মস্থ হয়ে জার্মানউইংস দুর্ঘটনায় নিহতদের কথা স্মরণ করবে: কোলন ক্যাথিড্রালের প্রার্থনাসভায় এবং তার সঙ্গে যুক্ত একটি সংক্ষিপ্ত রাষ্ট্রীয় স্মারক অনুষ্ঠানে৷

এ ধরনের একটি বিমান দুর্ঘটনা সমাজকে নাড়া দিতে পারে কিন্তু রাষ্ট্রকে নয় – কাজেই রাষ্ট্রীয় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে৷ কিন্তু ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্ট গির্জার এই যৌথ প্রার্থনাসভায় বস্তুত কারো আপত্তি নেই৷ সমাজতত্ত্ববিদরা আজ বহু দশক ধরে ধর্মীয় ঐতিহ্যের অবক্ষয়ের কথা বলেছেন বটে, কিন্তু সেই ধর্মীয় ঐতিহ্য আজও বেঁচে আছে, যেমন তার হয়তো প্রয়োজনও আছে: এই সংবিধান শাসিত, যুক্তিবাদী, আধুনিক রাষ্ট্রেও৷

ক্রিস্টফ স্ট্রাকছবি: DW

বিপর্যয়ের পর প্রার্থনা

প্রার্থনাসভাটি হবে বড় আকারের কিন্তু গাম্ভীর্যপূর্ণ, এই সিদ্ধান্তের একটা পটভূমি আছে৷ ২০০৯ সালের পয়লা জুন একটি এয়ার ফ্রান্স বিমান ব্রাজিল থেকে ফ্রান্স যাবার পথে অতলান্তিক মহাসাগরের অতলে হারায় – মোট ২২৮ জন আরোহী নিয়ে, যাদের মধ্যে ২৮ জন ছিলেন জার্মান৷ সেই দুর্ঘটনার পর ড্যুসেলডর্ফের ইওহানেস গির্জায় যে স্মারক প্রার্থনাসভাটি অনুষ্ঠিত হয়, তাতে যোগ দিয়েছিলেন সারা জার্মানি থেকে আসা শোকগ্রস্তেরা৷

২০১০ সালের জুলাই-তে ডুইসবুর্গের লাভ প্যারেডে ভিড়ের চাপে ২১ জন মানুষ প্রাণ হারানোর পর শহরের প্রোটেস্টান্ট সালভাটোর গির্জাতে শোকার্ত মানুষজন সমবেত হতে পেরেছিলেন৷ ২০০৯ এবং ২০১০, উভয় ক্ষেত্রেই গির্জায় প্রার্থনাসভা ও স্মারক অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের সরকার এবং উভয় ক্ষেত্রেই গির্জার কাছে অনুরোধ যায় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে৷

একক আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, এমনকি আবেগপীড়িত অপরিচিত মানুষদের শোক ও সাধারণ বিমূঢ়তা প্রকাশের জন্য একটি যথোপযুক্ত আঙ্গিক খোঁজেন সরকারি কর্মকর্তারা৷ একসঙ্গে বেদনা সহ্য করা, সেই সঙ্গে দুঃসহ নানা প্রশ্ন, সেটাই হল আসল কথা – দুঃখের অনুভূতির উপর ভক্তির সহজ প্রলেপ নয়৷

ছবি: picture-alliance/dpa/Ole Spata

গির্জায় প্রার্থনা ও স্মারক অনুষ্ঠান শুধু নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের জন্য নয়, যে সব রাজনীতিকরা দুর্ঘটনার অকুস্থলে গিয়ে বলার মতো কথা খুঁজে পাননি, অথচ তাদের চোখেমুখে সেই প্রশ্নই ফুটে উঠেছে: কেন? এই প্রার্থনাসভা সেই রাজনীতিকদের জন্যও, এছাড়া ত্রাণকর্মী, মনোবিদ, চ্যাপলেন, সকলের জন্য৷

শোক এবং অনুযোগের স্থান

সেই স্থানটি মানুষজন খুঁজে পান গির্জায় – আগের মতোই৷ গতিশীল, সাফল্যে মত্ত সমাজ; রাষ্ট্রের কাজ হল সচল থাকা; ব্যক্তিবর্গের জন্য অসীম সম্ভাবনা৷ অপরদিকে খ্রিষ্টীয়-ইহুদি ঐতিহ্যের মুক্তি, ত্রাণ, ঈশ্বর৷ সেই ঐতিহ্যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে নালিশ করা যায়৷ আবার এই শুক্রবারে যারা কোলোন ক্যাথিড্রালের সামনের সিঁড়িতে মোমবাতি জ্বালাবেন, তারাও বস্তুত একটি ধর্মীয় প্রথাকে ধর্মনিরপেক্ষ বাস্তবের উপযোগী করে তুলবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ