1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংক্রমণের পূর্বাভাষ দিতে পারে ডিজিটাল মডেল

মারিয়া লেসার/এসবি২৪ নভেম্বর ২০১৪

ইবোলা ভাইরাস পশ্চিম আফ্রিকা থেকে বিশ্বের অন্যান্য কিছু প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ছে৷ ফলে এই ঝুঁকির মাত্রা জানতে সব দেশই আগ্রহী৷ জার্মান বিজ্ঞানীরা এক মডেলের সাহায্যে সংক্রামক রোগ প্রসারের পূর্বাভাষ দেয়ার চেষ্টা করছেন৷

Vorstellung und Prüfung der Isolationszellen
ছবি: Sanitätsdienst Bundeswehr/Marcel Mattern

কীভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে, তা জানতে হলে অতীতের দিকে তাকাতে হবে৷ বার্লিনের হুমবল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ ডিয়র্ক ব্রকমান এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অতীতে ছোঁয়াচে রোগ এক নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা জুড়ে ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়তো, কারণ মানুষ খুব বেশি ভ্রমণ করতো না৷ আজ পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গেছে৷ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ করে, বিমানে করে অনেক দূরে চলে যায়৷ ফলে আজ রোগের প্রসারের গতি-প্রকৃতি একেবারে বদলে গেছে৷''

কারণ বছরে আজ প্রায় ৩৫০ কোটি মানুষ বিমানে ভ্রমণ করেন৷ ফলে জীবাণুও তাদের সঙ্গে সঙ্গেই ছড়িয়ে পড়ে৷ দুটি স্থানের মধ্যে দূরত্ব দীর্ঘ হলেও বিমান যোগাযোগের দৌলতে তারা পরস্পরের আরও কাছে চলে আসছে৷ ব্রকমান বলেন, ‘‘এর উপর ভিত্তি করে আমরা এক মডেল তৈরি করেছি, যার সাহায্যে বিমান চলাচল নেটওয়ার্কের কারণে নতুন সংক্রামক রোগের প্রসার বোঝা যায়৷ এর সাহায্যে পূর্বাভাষও দেওয়া যায়৷ ফলে রোগের উৎসের ভিত্তিতে তা কতদূর ছড়িয়ে পড়বে, তা বোঝা যায়৷''

২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু-র ক্ষেত্রে দেশটি ছিল মেক্সিকো৷ কীভাবে তার জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছিল, এই মডেলে তা দেখা যায়৷ গবেষকরা বিমান যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ করে দেখাতে পেরেছেন কীভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান পরস্পরের কাছাকাছি এসে গেছে৷ তবে তাতে এটাও দেখা যাচ্ছে যে, আজকের মহামারিও ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়ে৷

বিজ্ঞানীরা ইবোলা ভাইরাস প্রসার পূর্বাভাষের এক মডেল তৈরি করেছেন৷ এর সাহায্যে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে ‘ইম্পোর্ট'-এর সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়৷ ব্রকমান বলেন, ‘‘প্রায় ১০০ মানুষ ইবোলা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানে উঠলে তাদের মধ্যে একজনের জার্মানিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে৷ অর্থাৎ এই ঝুঁকির মাত্রা এক শতাংশের মতো৷ অথচ ফ্রান্সে সেই ঝুঁকির মাত্রা প্রায় ১০ শতাংশ৷''

এর কারণ, গিনির মতো দেশ থেকে বেশিরভাগ ফ্লাইটই প্যারিস যায়৷ অর্থাৎ জার্মানির তুলনায় ফ্রান্সেই ঝুঁকির মাত্রা বেশি৷ এই মুহূর্তে বিভিন্ন দেশ গবেষকদের কাছে জানতে চাইছে, ইবোলার জন্য তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে কিনা৷ ব্রকমান বলেন, ‘‘অনেকেই আমার কাছে জানতে চাইছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘ইম্পোর্ট রিস্ক' কত বেশি৷ সেখানে ইবোলার ভয়ে পর্যটকদের সংখ্যা অনেক কমে গেছে৷ অথচ দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ঝুঁকির মাত্রা আসলে ফ্রান্সের মতো দেশের তুলনায় কম৷ আগে যেখানে শুধু অনুমান বা আন্দাজের ভিত্তিতে ভাবতে হতো, আজ আমরা সেখানে নির্দিষ্ট সংখ্যা নিয়ে কাজ করছি৷''

মহামারির ক্ষেত্রে জীবাণুর প্রসার সফলভাবে বন্ধ করতে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে কী হবে, ডিয়র্ক ব্রকমান তাঁর মডেলের সাহায্যে সেটাও বার করতে পারেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ