বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় হাসিনা সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার প্রতি পূর্ণ আস্থা ব্যক্ত করেছে ভারত৷ একটি সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷
বিজ্ঞাপন
সুষমা স্বরাজ জানান, মোদী সরকারের এই ইতিবাচক বার্তায় দু'দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না৷
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক চোরাগোপ্তা জঙ্গি হামলা রোধে শেখ হাসিনা সরকারের পাশে থাকবে ভারত৷ শুধু তাই নয়, এ রকম হামলা দমনে ভারত সব রকম সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত৷ ভারত মনে করে, শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া ব্যবস্থার সবথেকে ইতিবাচক দিক হলো, এই কাজে দেশের বৃহত্তর জনমত এবং ইসলাম ধর্মীয় গুরুদের সমর্থন আদায় করতে পেরেছে৷ তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদকে মাথা তুলতে দিলে দেশের সমূহ বিপদ৷ একে অঙ্কুরেই বিনাশ করা জরুরি৷ ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের মতো এক আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থাকে হুমকি দিয়ে চিঠি দেবার ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন তিনি৷ ভারত ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় স্তরে বিষয়টি নিয়ে আরও কথাবার্তা চলছে৷ জঙ্গি কার্যকলাপ দমনে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই যে সর্বাত্মক চালিয়েছেন তা প্রশংসনীয়, বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷
মালোপাড়ার হিন্দুদের কান্না থামেনি
বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয়াকে ঘিরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার মালোপাড়ায় ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার পাশাপাশি লুটপাটও করা হয়৷
ছবি: DW
নেই নিরাপত্তাকর্মীর সাড়া
যশোরের অভয়নগরের চাপাতলী গ্রামের প্রবেশপথে পুলিশের সতর্ক অবস্থান৷ গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের দিন এই গ্রামের নিম্নবর্ণের হিন্দু অধ্যুষিত মালোপাড়ায় বসবাসরতদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে৷ আক্রান্তরা জানান, ঘটনাস্থলের মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে থানার অবস্থান হলেও অনেক ফোন করেও সে সময়ে পুলিশ কিংবা কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সাড়া মেলেনি৷
ছবি: DW
‘নদী ঠাকুর’
দুর্বৃত্তদের হামালায় লণ্ডভণ্ড মায়া রানি বিশ্বাসের একমাত্র মাথা গোঁজার ছোট্ট নিবাস৷ সেদিন হামলা শুরু হলে পাশের বুড়ি ভৈরব নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ওপারে উঠে প্রাণে বেঁচে যান বিধবা এই নারী৷ তাঁর ভাষায় ‘নদী ঠাকুর’ সেদিন না থাকলে জানটা হয়ত থাকতো না৷
ছবি: DW
প্রাণ বাঁচাতে নদীতে
নিজের ঘরের ভাঙা আসবাব, টেলিভিশনের পাশে মালোপাড়ার গৃহবধু উজ্জ্বলা বিশ্বাস৷ হামলাকারীদের ভয়াবহ রূপ সামান্য দেখেছিলেন তিনি৷ প্রাণ বাঁচাতে তিনিও ঝাঁপ দেন বুড়ি ভৈরবে৷ হামলার সময়ে তাঁর মনে হয়েছিল যে ভগবান সেদিন পাশে ছিলেন না৷
ছবি: DW
বই-পত্র পুড়িয়ে দিয়েছে
কলেজ পড়ুয়া মঙ্গলা বিশ্বাসের বই-পত্র, এমনকি সার্টিফিকেটও পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা৷
ছবি: DW
সুন্দর স্বপ্নে চির
হামলাকারীদের ভেঙে দেয়া আয়নায় কলেজ পড়ুয়া মঙ্গলা বিশ্বাসের প্রতিবিম্ব৷ বাড়ির দেয়ালে টাঙানো এই ভাঙা আয়নার মতোই মঙ্গলার সুন্দর স্বপ্নেও চির ধরিয়েছে হামলাকারীরা৷ মঙ্গলার আক্ষেপ, তাঁর বই-পত্র আর সার্টিফিকেট কী দোষ করলো?
ছবি: DW
আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয়
হামলার ছয় দিন পরে এঁরা ফিরছেন বাড়িতে৷ হামলার সময় পার্শ্ববর্তী গ্রামে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা৷
ছবি: DW
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী
৮৬ বছর বয়সি মৃত্যুঞ্জয় সরকার সেদিনের হামলার প্রত্যক্ষদর্শী৷ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও দেশ ছাড়েননি তিনি৷ কিন্তু হামলার পর তাঁর মনে হচ্ছিল যে, সে সময়ে ছেড়ে যাওয়াটাই উচিত ছিল তাঁর৷
ছবি: DW
গাছও রেহাই পায়নি
বাড়ি-ঘরের পাশাপাশি মালোপাড়ার গাছও জ্বালিয়ে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: DW
পলাতক জামায়াত নেতা
মালোপাড়ায় হামলার পরে চাপাতলী গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বালিয়াডাঙ্গায় স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর থানা আমীর মাওলানা আব্দুল আজিজের বাড়ি ভাঙচুর করে যৌথবাহিনী৷ ঘটনার আগে থেকেই পলাতক রয়েছেন এ জামায়াত নেতা৷
ছবি: DW
আক্রান্তদের অভিযোগ
জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুল ওহাব৷ মালোপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য জামায়াত শিবির ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলকেও দায়ী করেছেন অনেকে৷ সাবেক এই সাংসদ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন৷ সেখানে নতুন প্রার্থী হিসেবে রণজিৎ রায় মনোনয়ন পাওয়ায় এই দুই জনের সমর্থকদের মাঝে বেশ উত্তেজনা ছিল পুরো নির্বাচনের সময়টায়৷
ছবি: DW
গণধর্ষণ
যশোরের আরেক ভয়াল জনপদ মনিরামপুর উপজেলার হাজরাইল গ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা অনারতী দাস৷ ৭ জানুয়ারি রাতে তাঁর সামনেই অস্ত্রের মুখে একদল দুবৃত্ত গণধর্ষণ করে পুত্রবধু মনিমালা দাস আর ভাতিজি রূপালী দাসকে৷
ছবি: DW
ভয়াবহ দৃশ্যের প্রত্যক্ষদর্শী
কার্তিক দাসকেও সেদিন রাতে সেই ভয়াবহ দৃশ্যের প্রত্যক্ষদর্শী হতে হয়েছিল৷ দাসপাড়ায় গণধর্ষণের শিকার নিম্নবর্ণের হিন্দু মনিমালা দাসের শ্বশুর ও রূপালী দাসের চাচা তিনি৷
ছবি: DW
বাড়িঘর ছেড়েছেন
দাসপাড়ায় গণধর্ষণের শিকার হওয়া পরিবার দুটি আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়েছেন৷
ছবি: DW
শুধুই আতঙ্ক
দাসপাড়ার এক নারী৷ দাসপাড়ার নারীদের এখন নির্ঘুম রাত কাটে আতঙ্কে৷
ছবি: DW
14 ছবি1 | 14
তবে দিল্লির বিদেশ মন্ত্রণালয়ের অন্দর মহলে অনেকের মনে প্রশ্ন, হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর পর পর জঙ্গি হামলা কি পরিকল্পিত একটা ছক? এর পেছনে কি আছে কোনো রাজনৈতিক চক্রান্ত? যদি থাকে তাহলে সেটা কী? এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক ইমন কল্যাণ লাহিড়ি মনে করেন, ‘‘পারস্পরিক স্বার্থে ভারত-বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকা একান্ত জরুরি৷ বিদেশ নীতি এবং অর্থনীতি উভয় দিক থেকেই৷ সেখানে ফাটল ধরাতে দেবে না উভয় দেশই৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ইসলামিক স্টেট-এর ধর্মীয় মৌলবাদ বেছে বেছে ধর্মনিরপেক্ষ মানুষদের হত্যা করছে৷ রামকৃষ্ণ মিশনকে ইসলামিক স্টেট-এর হুমকি দেওয়া চিঠি সব ভারতীয়দের ভাবাবেগকে আঘাত করেছে৷ বাংলাদেশের বিরোধী শক্তিগুলি তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে, অতীতেও সেটা করেছে৷ যত শীঘ্র সম্ভব এর সমাধান করা দরকার৷ এক্ষেত্রে ভারতের সাহায্য নেওয়া উচিত হবে শেখ হাসিনার, এমনটা মনে করেন অধ্যাপক লাহিড়ি৷
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা চালালে ভারতে হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবারকে ক্ষেপিয়ে তোলা সহজ হবে৷ দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনার বাতাবরণ তৈরি হবে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষিয়ে উঠবে৷ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক তথা সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে৷ ক্ষমতা দখলে এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইবে বিরোধী বিএনপি ও জামাত৷ দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মাটিতে ইসলামি মৌলবাদী জঙ্গিবাদের উত্থানে দেশের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হবে৷ আর এইসব দিক মাথায় রেখেই মোদী সরকার কোনো বিরূপ মন্তব্য করেনি৷ রাজনৈতিক চক্রান্তের ফাঁদে পা বাড়াননি৷ শুধু তাই নয়, হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবারকে পর্যন্ত কোনো আগ্রাসী প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেননি মোদী সরকার এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব৷
নাগরিক সমাজের গৈরিকপন্থিদের কেউ কেউ অবশ্য টিপ্পনী কেটে বলছেন, ভারতের যেসব বুদ্ধীজীবীরা গো-মাংস বা বিজেপির কথিত ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে সরব হয়েছেন, পুরস্কার ফেরত দিয়েছেন, বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন কেন? এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক লাহিড়ি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ভারতে বুদ্ধিজীবীরা অনেক নিরাপদ, কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের হত্যায় তাঁরা ভীত৷ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না৷ তবে ভারতের বুদ্ধিজীবী মহলের উচিত সরব হওয়া৷''
পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি কটাক্ষ করে বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সম্পর্ক তো ঘনিষ্ট, তবু তিনি নীরব দর্শক হয়ে আছেন কেন? এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক লাহিড়ির বলেন, ‘‘এর হয়ত একটা রাজনৈতিক দিক থাকতে পারে৷ তবে মমতা বন্দোপাধ্যায় নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে এসেছেন৷ তাই তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়নেও সক্রিয় হয়ে উঠছেন৷''
উল্লেখ্য, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আবার এই নিয়ে আলোচনা শুরু হতে চলেছে৷ কারণ ভারত, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ঐকমত্যে আসতে হবে৷ নতুন দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলি ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনকে দেওয়া জঙ্গিদের হুমকি এবং তিস্তা চুক্তি নিয়ে দু'দেশের সরকারের মধ্যে কত দূর কী আলোচনা হয়েছে, সেবিষয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে অবহিত করেন৷
সংখ্যালঘু হত্যাকে কেন্দ্র করে কি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আবারো ভাঙন দেখা দিতে পারে? আপনার মতামত জানান নীচের ঘরে৷
যে দেশগুলোতে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিবছর যেসব দেশে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে আছে তার তালিকা প্রকাশ করে৷ ছবিঘরে ২০১৫ সালের জুলাইতে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য থাকছে৷
ছবি: DW
প্রথম: সিরিয়া
সুন্নিপ্রধান দেশ সিরিয়ায় শিয়া, বিশেষ করে আলাউইট সম্প্রদায়ের লোকজন সহ খ্রিষ্টান, কুর্দ, ফিলিস্তিনি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা হুমকির মুখে রয়েছে৷ আইএস, হিজবুল্লাহ ছাড়াও সিরিয়ার শাসকপন্থি গ্রুপ সাবিহা এ সব হুমকির অন্যতম কারণ৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’ হুমকি বলতে গণহত্যা, রাজনৈতিক হত্যা ও সহিংস দমননীতি বুঝিয়েছে৷
ছবি: Reuters/SANA
দ্বিতীয়: সোমালিয়া
সরকারের সঙ্গে আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর সংঘাত এখনও চলছে৷ আর এর শিকার হচ্ছে বান্টু (বেশিরভাগ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী) ও বেনাদিরি (বেশিরভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী) গোষ্ঠীর মানুষজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Y. Warsame
তৃতীয়: সুদান
দেশটির দারফুর অঞ্চলে বসবাসকারী নন-আরব মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর খার্তুম সরকারের নিপীড়নের অভিযোগে দু’টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ২০০৩ সালে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে৷ সেটি এখনও চলছে৷ ফলে দারফুরে বসবাসকারী ফুর, জাঘাওয়া, মাসালিট সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষদের জীবন সংকটে রয়েছে৷
ছবি: GetttyImages/AFP/C. Lomodon
চতুর্থ: আফগানিস্তান
বিদেশি সৈন্য চলে যাবার পর সেখানে আবারও তালেবানের শক্তি বেড়েছে৷ ফলে হাজারা, পশতুন, তাজিক, উজবেক, তুর্কমেন, বেলুচি সহ অন্যান্য গোষ্ঠীর মানুষের উপর নির্যাতনের আশঙ্কা বাড়ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Aref Karimi
পঞ্চম: ইরাক
দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত৷ তারপরও সেখানে শিয়া গোষ্ঠীর লোকজনের জীবন বিপদমুক্ত নয়৷ সংকটে রয়েছে সুন্নি, কুর্দ, তুর্কমেন, খ্রিষ্টান, ইয়াজিদি, শাবাক, বাহাই, ফিলিস্তনি সহ অন্যান্যদের জীবনও৷
ছবি: Reuters/T. Al-Sudani
ষষ্ঠ: ডিআর কঙ্গো
স্থানীয় মায়ি-মায়ি মিলিশিয়া, উগান্ডা ও রুয়ান্ডার বিদ্রোহী এবং কাতাঙ্গান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কারণে মানুষের প্রাণ যাওয়া অব্যাহত আছে৷ ফলে সংকটে আছে হেমা, লেন্ডু, হুতু, লুবা, লুন্ডা, টুটসি, বাটওয়া সহ আরও কয়েকটি গোষ্ঠীর জনগণ৷
বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের হামলায় সংকটে রয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজন৷ এছাড়া কচিন, কারেনি, কারেন, মন, রাখাইন, শান, চিন এবং ওয়া জাতির জনগণও ভালো নেই সেখানে৷
ছবি: Reuters
বাংলাদেশ, ভারতের অবস্থান
‘মাইনোরিটি রাইটস গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল’-এর তালিকায় বাংলাদেশ ৪১তম আর ভারত ৫৪তম অবস্থানে আছে৷ বাংলাদেশে আহমদিয়া, হিন্দু সহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী উপজাতির লোকেদের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ আর ভারতে আসামিজ, বোড়ো, নাগা, ত্রিপুরা সহ অন্যান্য উপজাতি এবং কাশ্মিরী, শিখ, মুসলিম ও দলিতরা হুমকির মুখে আছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে (+) চিহ্নে ক্লিক করুন৷