1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংগীতের তালে গণিতশিক্ষার মজা

৮ নভেম্বর ২০১৭

স্কুলে থাকতে অংকের নামেই আতঙ্ক হতো, এমন মানুষের অভাব নেই৷ বিমূর্ত সেই জটিল জগতে সহজে প্রবেশের চাবিকাঠি হতে পারে সংগীত৷ জার্মানির এক শিক্ষাবিদ স্কুল পড়ুয়াদের গানের তালে অংক শেখানোর চেষ্টা করছেন৷

Symbolbild Aktionsrat Bildung fordert mehr echte Ganztagsschulen
ছবি: picture alliance/dpa

ইয়োহান বয়রিশ-এর অংক নিয়ে গানটি ইন্টারনেটে যাকে বলে হিট৷ এভাবে এমনকি পিথাগোরাসের উপপাদ্যও সহজে বোঝা যায়৷ সংগীতের জাদু অংক শিখতে সাহায্য করবে, এটাই উদ্দেশ্য৷ ইউটিউবের এই হিট গানকে ক্লাসঘরে আনতে চান মারকুস স্লভইয়েচেক৷ তাঁর প্রকল্পের নাম ‘গণিতশাস্ত্রের দিশায় সাংগীতিক পথ'৷ মারকুস বলেন, ‘‘অন্যান্য বিষয়ের ক্লাসেও সংগীত নিয়ে এলে সেটা জাদুর মতো কাজ করে৷ বিষয়টি অনেক ঝকমকে ও ইন্টারেস্টিং হয়ে ওঠে৷ শিশুরা তখন সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে৷''

  গণিত ও সংগীত আসলে ভাইবোন৷ ছন্দ, অ্যাকর্ড ও ঐকতান গণিতের নিয়ম মেনেই চলে৷ সংগীতের নেপথ্যে সংখ্যাগুলি ঠিক হলেই আমরা তা সুন্দর বলে উপভোগ করি৷ এই জাপানি গানের মতো জটিল সংগীতসৃষ্টির ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম খাটে৷ বিশেষ এক ছন্দ অংকের ক্লাসে এক পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত৷

গান গাওয়ার সময় সুইজারল্যান্ডের এই স্কুল পড়ুয়ারা যা শুনছে, তা মনে মনে তাদের কল্পনা করতে হবে৷ অর্থাৎ বাস্তবে তারা যে সব শব্দ ও তাল শুনছে, তার প্যাটার্ন কাগজে লিখতে হবে৷ সংগীত নয়, হরফ ও সংখ্যার মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে হবে৷ স্কুল পড়ুয়ারা এখানে যা করছে, তাকে ‘ম্যাথামেটাইজ' বা ‘গণিতিকরণ' বলা হয়৷

‘‘ম্যাথামেটাইজ করার অর্থ, দৈনন্দিন জীবনের কোনো পরিস্থিতিকে অ্যাবস্ট্র্যাক্ট বা বিমূর্ত রূপে তুলে ধরা৷ বর্তমান কোনো পরিস্থিতিকে উপড়ে ফেলে নিয়মের জালে তা শনাক্ত করা৷''

গণিত ও সংগীত ওতোপ্রতোভাবে জড়িত

04:52

This browser does not support the video element.

এই রং এক বিরতি প্রকাশ করছে৷ কাটাকাটি করে অংশগুলি তৈরি করা হয়েছে৷

 মারকুস বলেন, ‘‘দারুণ৷ উপরে একটি ক্যাপশন রয়েছে, এটাও একটা কৌশল৷ যে কোনো চিহ্ন তৈরি করে বলা যায়, নীল হলো আরও গভীর, গোলাপী আরও উঁচু এবং লাল বিরতি, সবুজ আরও উঁচু৷''

এই অনুশীলনের ক্ষেত্রেও সংগীতের সাহায্যে গাণিতিক চিন্তার নাগাল পাবার চেষ্টা চলছে৷ গোটা ক্লাসকে দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে৷ একদল গোল হয়ে বসে তালি দিয়ে এক থেকে ত্রিশ পর্যন্ত গুনছে৷ তবে তিন দিয়ে সব সংখ্যার ক্ষেত্রে তিনের বদলে ‘পিং' বলতে হচ্ছে৷ তারপর চারের পালা৷

অন্য দলটি বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে সেই কলরব শুনে তার প্যাটার্ন বা নক্সা বোঝার চেষ্টা করছে৷ তাদের মধ্যে রয়েছে সেভেরিন চেভেটলি৷ সে বললো, ‘‘প্যাটার্ন চিনতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায়, যে তার মধ্যে নিশ্চয় একটা নিয়ম রয়েছে৷ খেলার সময় তিনের ঘরে সহজে বোঝা যায়, যে একই মানুষ সেটা বলছে৷ চারের ঘরে ব্যাপারটা বদলে যায়৷'' তারই সহপাঠী রনইয়া মায়ার বলেন, ‘‘এক্সপেরিমেন্টটা আমার ভালো লেগেছে৷ সংগীত ও অংককে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা যাচ্ছে, এটা দারুণ ব্যাপার৷ একদিকে তালে তালে ঠিকমতো হাততালি দিতে হয়৷ অন্যদিকে কোন সারিতে আছি, সেটাও ভাবতে হয়৷''

হয়তো অদূর ভবিষ্যতে গণিতসংগীত নামের নতুন এক বিষয় সৃষ্টি হবে৷ ততদিন পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়ারা ইয়োহান বয়রিশ-এর গান শুনে অংক শিখতে পারবে৷

আন্টন হুগ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ