1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শঙ্কায় সিরিয়ার প্রতিবেশীরা

আন্দ্রেয়াস গোর্জেভেস্কি/এআই১০ জানুয়ারি ২০১৩

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ সেদেশের প্রতিবেশীদেরকে হুমকির মুখে ফেলেছে৷ তুরস্ক অবশ্য ‘পেট্রিয়ট’ বসিয়ে নিজেদের নিরাপদ করার বন্দোবস্ত পাকা করেছে৷ সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদলও কিছু দেশকে বিপাকে ফেলতে পারে৷

Turkish soldiers patrol in the Turkish town of Ceylanpinar near the strategic Syrian border town of Ras al-Ain on November 14, 2012. NATO is ready to help member state Turkey as the 20-month conflict in Syria is increasingly spilling across the border, the alliance's chief Anders Fogh Rasmussen said this week. AFP PHOTO/BULENT KILIC (Photo credit should read BULENT KILIC/AFP/Getty Images)
ছবি: BULENT KILIC/AFP/Getty Images

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম হবে তুরস্ক৷ ফলে খানিকটা ভারমুক্ত সেদেশ৷ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ‘পেট্রিয়ট' স্থাপনের কাজ৷ কিন্তু সিরিয়ার প্রতিবেশী বাকি দেশগুলোর দুশ্চিন্তা কাটছে না৷ ইসরায়েল ইতিমধ্যে জানিয়েছে, গোলান হাইটস সীমান্তে বেড়া দেবে সেদেশ৷ ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধের সময় সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান হাইটস দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ এখনো সেই এলাকা তাদের ‘অধিকৃত এলাকা' হিসেবে বিবেচিত৷

গৃহযুদ্ধের কারণে জর্ডানে চলে গেছে দু'লাখের মতো সিরীয়ছবি: dapd

তুরস্কের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মেহমেট আকিফ আকুর মনে করেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ তাঁর লড়াই সীমান্তের বাইরেও ঠেলে দিতে পারেন৷ যুদ্ধের পরিধি বাড়িয়ে তারা নিজেদের বিদায়ের সময়টা পিছিয়ে নিতে পারে৷ তিনি বলেন, ‘‘লেবাননের সঙ্গে সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে৷ গৃহযুদ্ধের প্রকোপ বাড়লে লেবানন সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে৷ অন্যদিকে, ইরাকের সুন্নিদের সঙ্গে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে৷ ফলে দেখা যাচ্ছে, গৃহযুদ্ধের পরিধি বাড়লে সিরিয়ার সকল প্রতিবেশীর উপরই তাঁর নেতিবাচক প্রভাব বাড়বে৷''

প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি নাগাদ তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের তুরস্কের অংশে ‘পেট্রিয়ট' স্থাপন সম্পন্ন হবে৷ আকিফ আকুর মনে করেন, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে ন্যাটো কার্যত তুরস্ককে আস্বস্ত করেছে যে, বিপদে সেদেশের পাশে থাকবে ন্যাটো৷ তবে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সে দেশকে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের হাত থেকে পুরোপুরি রক্ষা করবে এমনটা মনে করেন না আকুর৷ তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে৷ পেট্রিয়ট সব ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে তুরস্ককে রক্ষা করবে, এমনটা আমি ঠিক মনে করছি না৷ তবে এটার প্রতীকী গুরুত্ব আছে৷ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপনের মাধ্যমে ন্যাটো নিশ্চিত করলো যে তুরস্ক তাদের সহযোগী এবং সেদেশের সীমান্ত রক্ষায় ন্যাটো সহায়তা করবে৷''

সিরিয়ার আরেক প্রতিবেশী দেশ গৃহযুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যে ব্যাপক লোকসান গুনতে শুরু করে দিয়েছে৷ জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হাসান আল-মামানি এই বিষয়ে বলেন, ইউরোপে জর্ডানের সকল রপ্তানি সিরিয়া হয়ে যায়৷ গৃহযুদ্ধের কারণে জর্ডানের রপ্তানি খাত তাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷

গৃহযুদ্ধের প্রকোপ বাড়লে লেবানন সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বেছবি: Reuters

আল-মামানি মনে করেন, সিরিয়া পরিস্থিতির আরো অবনতির মানে হচ্ছে গৃহযুদ্ধের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাওয়া আর সিরিয়ার বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর পতন৷ সেক্ষেত্রেও বড় ক্ষতি হচ্ছে জর্ডানের৷ কেননা, সিরিয়ার বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর পতনের পর সেখানকার অবস্থা ‘দ্বিতীয় সোমালিয়া' হতে পারে৷ যার অর্থ হচ্ছে, সমস্ত অঞ্চলেই অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে৷

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে তুরস্ক আর জর্ডানের উপর আরেক বিপত্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে শরণার্থীর মিছিল৷ ২০১১ সালের মার্চ মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত তুরস্কে চেলে গেছে দেড় লাখ সিরীয়৷ আর জর্ডানে চলে গেছে দু'লাখের মতো মানুষ৷ শরণার্থীদের এই বহর সমলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশ দু'টি৷ মোটের উপর জাতিসংঘ জানিয়েছে, সংঘাতের কারণে সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়া প্রায় দশ লাখ মানুষের কাছে খাদ্য সাহায্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না৷ ফলে তারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় সময় কাটাচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ