1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে জোট সরকার গড়ায় অগ্রগতির লক্ষণ

৪ নভেম্বর ২০২১

৬ই ডিসেম্বর জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নিতে পারেন ওলাফ শলৎস৷ সরকার গঠনের লক্ষ্যে তিন দলের আলোচনায় মতপার্থক্যের খবর সত্ত্বেও বিরোধ মিটিয়ে নেবার চেষ্টা চলছে৷

G20 Gipfel in Rom
ছবি: Oliver Weiken/dpa/picture alliance

করোনা সংকট থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কার মতো একাধিক গুরুতর বিষয় সামলাতে হবে জার্মানির নতুন জোট সরকারকে৷ অর্থাৎ ক্ষমতায় এসে সবকিছু গুছিয়ে নেবার জন্য যথেষ্ট সময় হাতে থাকবে না৷ তাই সময় নষ্ট না করে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি, উদারপন্থি এফডিপি ও সবুজ দলের প্রতিনিধিরা নিজস্ব সময়সূচি অনুযায়ী জোট সরকার গড়ার লক্ষ্যে পুরোদমে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ গোপনীয়তার বেড়াজালে চলা সেই প্রক্রিয়ার শেষে সরকার গড়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলেও কিছু সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷

প্রাথমিক ঐকমত্যের পর বেশ কিছু খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে তিন দলের মতপার্থক্য তীব্র হয়ে উঠছে৷ বিশেষ করে জলবায়ু সংরক্ষণ, আর্থিক নীতি, শরণার্থী নীতি, পোল্যান্ডের সাম্প্রতিক আচরণের প্রেক্ষিতে জার্মানির অবস্থান ও মার্কিন পরমাণু অস্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিরোধ এখনো মিটছে না৷ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মধ্যস্থতাকারী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, যে ২২টি বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রায় ৩০০ রাজনীতিকই ভালোভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বুধবার তারা বিরতি নিয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন৷ প্রথমে তিন দলের মধ্যে সেই ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে৷ তারপর তিন দলের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখা হবে বলে জানা গেছে৷

এসপিডি ও এফডিপি দল আগামী জোট সরকারে নিজস্ব অবস্থান জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও পরিবেশ সংক্রান্ত নীতির প্রশ্নে সবুজ দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কথা শোনা যাচ্ছে৷ অর্থাৎ ত্রিপাক্ষিক সরকারে অংশ নেবার খাতিরে দল পরিবেশ নীতির ক্ষেত্রে কতটা আপোশ মেনে নিতে প্রস্তুত, সে বিষয়ে মতপার্থক্য তুঙ্গে উঠছে৷ সবুজ দলের একাধিক নেতা এমন বিতর্কের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ পরিবেশবাদী সংগঠনগুলিও সবুজ দলের উপর চাপ দিচ্ছে৷ দলের যুব শাখার মধ্যেও অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে৷

তিন দলই ২২টি বিশেষজ্ঞ কমিটিকে মতপার্থক্য দূর করার দায়িত্ব দিয়েছে৷ তার পরেও যে বিষয়গুলির ক্ষেত্রে মীমাংসা সম্ভব হবে না, শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপোশের চেষ্টা চালাবেন৷ আগামী সপ্তাহেই তাদের সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানানো হবে৷ সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎস ৬ই ডিসেম্বর জার্মানির আগামী চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন৷

শুধু বিষয় নয়, মন্ত্রণালয় বণ্টনকে কেন্দ্র করেও তিন দলের মধ্যে দরকষাকষি চলছে৷ বিশেষ করে এফডিপি নেতা ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার ও সবুজ দলের নেতা রোব্যার্ট হাবেক অর্থমন্ত্রী হবার ইচ্ছা স্পষ্ট করে দেওয়ায় প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে৷ শলৎস নাকি দুই নেতাকেই নিজেদের মধ্যে দ্রুত মীমাংসার দায়িত্ব দিয়েছেন৷ বিদায়ী সরকারে শলৎস নিজে অর্থমন্ত্রী হিসেবে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, আগামী সরকারেও বাজেট ঘাটতি ও বাড়তি ঋণের প্রশ্নে সেই পদ যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ