1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবাদে গুজব, জলবায়ু পরিবর্তন ও গণমাধ্যমের এক্তিয়ার

১৯ জুন ২০২৪

বর্তমান শতাব্দীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন ও গুজব, বলেছেন ডয়চে ভেলের বার্ষিক সম্মেলন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে যোগদান করা বিশিষ্ট গণমাধ্যমকর্মীরা৷

গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘিরে গুজব ছড়ালে কী হয়? এই প্রশ্নটিই এবার ডয়চে ভেলের বার্ষিক সম্মেলন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে বারবার আলোচিত হয়েছেছবি: Philipp Böll/DW

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিবেদনগুলিতে বলে, বর্তমান বিশ্বে চ্যালেঞ্জ মূলত দুটি ভাগে বিভক্ত: জলবায়ু পরিবর্তন ও গুজব৷

ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের সাথে নকল ছবি দিয়ে গুজব ছড়ানোকে সাংবাদিকতার পরিভাষায় বলা হয় ‘ফেক নিউজ'৷ এই ফেক নিউজ গণতান্ত্রিক চর্চায় আঘাত করে ও সামাজিক বিভেদকে আরো গভীরে প্রোথিত করে৷

অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন যেভাবে পৃথিবীর পরিবেশকে ধ্বংস করছে, তা এক সময় এই গ্রহে মানবজীবনকে সংকটের মুখে ফেলবে৷

সমস্যার বিচারে গুজব বা ফেক নিউজকে স্বল্পমেয়াদী বলে ধরা হয়, উলটো দিকে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের মেয়াদ দীর্ঘ৷

এই দুই একসাথে ঘটলে যা হয়

এই প্রশ্নটিই ডয়চে ভেলের বার্ষিক সম্মেলন গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে বারবার আলোচিত হয় এবছর৷ মার্কিন অর্থায়নে কাজ করা সংস্থা ইন্টারনিউজের রিসার্চ ম্যানেজার ইসাবেল শ্লেপফার বলেন যে জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘিরে ছড়ানো গুজব খুবই বড় সমস্যা৷ জুন মাসে তার সংস্থা সাংবাদিকতা ও পরিবেশ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ ‘কভারিং দ্য প্ল্যানেট' শিরোনামের এই প্রতিবেদনের জন্য ৭০০জন সাংবাদিকের সাথে কথা বলা হয়৷

ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘৪৫ শতাংশেরও বেশি সাংবাদিক মনে করছেন, গুজব বেড়েছে মূলত সোশাল মিডিয়াকে ঘিরেই৷ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনাকে বিকৃত করে, সাধারণ মানুষের জীবনে এর প্রভাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে আলোচনা সরিয়ে নিয়ে যায়৷''

বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে পারে সরকারি নীতি৷ কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় সাথে নেওয়া উচিত সাধারণ জনগণকেও৷ তাই গুজবের বাড়াবাড়ি অত্যন্ত সমস্যাজনক৷''

জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘অস্বীকার'

কখনো কখনো জলবায়ু পরিবর্তন ও তাকে ঘিরে চলা ফেক নিউজকে অস্বীকার করাটাও রাজনৈতিক প্রচারের অংশ হতে পারে, বা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীও তা ছড়াতে পারে৷ যেমন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নতুন পরিবেশনীতির বিরোধিতা করা কিছু কৃষক সংগঠন৷

আবার কারো কারো মতে জলবায়ু পরিবর্তন বলে কিছু নেই, কারণ, তাদের মতে, খরা বা চরম আবহাওয়ার ঘটনা পৃথিবীর স্বাভাবিক প্রাকৃতিক চক্রের অংশ৷

কিন্তু জানুয়ারি মাসে ব্রিটিশ সংস্থা সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট তাদের প্রতিবেদনে জানায় যে, জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্বীকার করার মধ্যেও কিছু নতুন ধরন দেখা যাচ্ছে, যা সাংবাদিকদের মাথায় রাখা উচিত৷ এর নাম দিয়েছেন তারা ‘নিউ ডিনায়াল'৷ লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের গবেষকরা তাকে বলছেন ‘ডিলেইজম' হিসাবে৷

গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে যোগ দেওয়া পরিবেশকর্মী আনা নানু বলেন, ‘‘ছয় বছর আগে এমন নিউ ডিনায়াল ইউটিউবে জলবায়ু পরিবর্তনকে অস্বীকার করা কন্টেন্টের ৩৫ শতাংশ ছিল, এখন এমন কন্টেন্টই ৭০ শতাংশ৷ গুজবের ধরন সোজাসুজি অস্বীকার করা থেকে বদলেছে৷ বর্তমানে, তাদের নজর জলবায়ু পরিবর্তনের সমাধানকে আক্রমণ করার দিকে, যা বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক সমাধান দুটোকেই অস্বীকার করে৷''

সম্মেলনে যোগ দেওয়া বেশিরভাগ অংশগ্রহণকারীই বলেন, এই সমস্যা মোকাবিলায় অস্ত্র করতে হবে সঠিক তথ্য ও বিজ্ঞানকেই৷ কেউ কেউ বললেন এমন তথ্যকে সহজ ভাষায় সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও বকিজ্ঞানকে সহজলভ্য করার প্রয়োজনীয়তার কথাও৷ দু'টি সমস্যার সার্বিক প্রভাব যে মানুষের ওপরেই এসে পড়ছে, তাই সমাধান ভাবনার কেন্দ্রেও রাখতে হবে মানুষকেই, বলেন রয়টার্স ইন্সটিটিউট অপ দ্য স্টাডি অফ জার্নালিজমের পরিচালক, মিতালি মুখার্জি৷

ক্যাথরিন শেয়ার/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ