1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবিধান সংশোধনে তুরস্কে গণভোট সম্পন্ন

১২ সেপ্টেম্বর ২০১০

সংবিধান সংশোধনের জন্যে তুরস্কের জনগণ আজ রবিবার গণভোটে অংশ নিচ্ছে৷ বর্তমান সংবিধানের খসড়া তৈরি হয়েছিল ১৯৮০-র দশকে সামরিক শাসকের আমলে৷ দেশটির সংবিধানকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমপর্যায়ে নিয়ে আসতে চাচ্ছে তুরস্কের সরকার৷

বিচার বিভাগের কাঠামো পরিবর্তন এবং সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা হ্রাস করে সাংবিধানিক বিধিমালা সংস্কার করাই মূলত এই গণভোটের লক্ষ্য৷ তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে৷ তারা বলছে, রক্ষণশীল মুসলিমপন্থি সরকারি দল, বিচার বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণের মাত্রা আরো বাড়াতেই এই গণভোটের আয়োজন করেছে৷ বিরোধী দলগুলো তাদের সমর্থকদের ‘না' ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে৷ এছাড়া গণভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল, কুর্দি পার্টি৷

সংবিধানের ২৬ ধারা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিমালার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ৷ তাই জনসমর্থন কিছুটা বেশি পাওয়ার আশায় সংবিধানের ২৬ ধারাকেই ভোটারদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে৷ আসলে তুরস্কে গণভোটের মাধ্যমে প্রতিদন্দ্বিতা চলছে রক্ষণশীল মুসলিমপন্থী ক্ষমতাসীন দল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ প্রার্থী দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী সংস্কারপন্থী বিরোধীদলের মধ্যে৷

তবে সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, সরকারি প্যাকেজগুলোর দিকেই জনসমর্থনের পাল্লা ভারী৷ সংবিধানের সংশোধনগুলোকেই সমর্থন দিচ্ছেন ভোটারা৷ সেখানেই বিচার বিভাগের ওপর ক্ষমতাসীন দলের নিয়ন্ত্রণ আরোপের ব্যাপারগুলো রয়েছে৷

এই গণভোট প্রধানমন্ত্রী রেচেপ তায়েপ এর্দোয়ানের জন্যে এক ধরনের পরীক্ষাও বটে৷ ২০০২ সালে দলটি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের ডাক দিয়ে যাচ্ছে৷ তবে তাদের সংস্কারের এই ডাক, দেশকে আরো রক্ষণশীল করে তুলবে বলে বিরোধী দলগুলোর দাবী৷ এদিকে আগামী বছরের জুলাই মাসে তুরস্কে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তৃতীয় মেয়াদে এর্দোয়ানের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের সম্ভাবনা কতোটা রয়েছে, তুরস্কে বিনিয়োগকারীরা এখন থেকেই সেদিকে চোখ রেখেছেন৷

এদিকে প্রধানমন্ত্রী এর্দোয়ান বলছেন, ঠিক ৩০ বছর আগে তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের পর, ১৯৮০-র দশকে তৈরি সংবিধানের খসড়ার পরিবর্তন দেশে গণতন্ত্র জোরদার এবং তুরস্ককে ইউরোপীয় নীতিমালার কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্যে খুবই জরুরি একটি বিষয়৷

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল বলেছেন, গণভোটের পরে সম্ভাব্য সব ধরনের ফলাফলই পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং প্রাপ্তমনস্ক মূল্যবোধ দিয়ে বিবেচনা করা উচিত৷ তিনি বলেন, আগামীকাল এর শুরু এবং ভবিষ্যতেও তুর্কিদের অবশ্যই একে অপরকে আলিঙ্গন করতে হবে৷

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ