সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিতর্কের উত্তাপ বাড়ছে
২৫ মার্চ ২০১১সংবিধানই কি শেষে রাজনৈতিক বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে? ভোরের কাগজের ভাষ্যে সেই রকমই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে৷ পত্রিকাটি লিখছে: ‘মূলত মহাজোট সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় সংবিধান৷ সংবিধান সংশোধন, '৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া, রাষ্ট্রধর্ম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম থাকবে কিনা - এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে সংশ্লিষ্ট মহলে৷ সংবিধান সংশোধন বিষয়ে সরকার বিশেষ কমিটি করলেও আজো এর সুরাহা হয়নি৷... আগামীতে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷'
সংবিধানে দৃশ্যত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তো বহালই রাখা হচ্ছে৷ যদিও সব মহল তা নিয়েসন্তুষ্ট নয়৷ কালের কণ্ঠ তো একে সরাসরি রাজনৈতিক কৌশল আখ্যা দিয়েছে৷ তবে এ'ও জানিয়েছে যে, এই সরকারব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে৷ বিশেষ করে অন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে৷ বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সর্বাধুনিক মন্তব্য ছাড়াও, কালের কণ্ঠ কমিটির সূত্রে জানাচ্ছে যে, নানা প্রশ্ন ও বিতর্ক থাকলেও বিশেষ কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে৷
যুদ্ধাপরাধের বিচার কতোদিনে? এ' প্রশ্ন তো সারা জাতির৷ এবং ঠিক সেই প্রশ্নই তুলেছে সমকাল৷ তাদের এবং অন্যান্য বহু পত্রিকার প্রতিবেদনেই ঐ একই বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে: জনবল ও কারিগরি সহযোগিতার অভাবে এক বছর পরেও গতি পায়নি ট্রাইব্যুনাল এবং তদন্ত সংস্থার কাজ৷ তদন্ত সংস্থা অন্তত ২০ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আশা করছে, বলে জানিয়েছে প্রথম আলো৷ তবে সমকালের খবর, ট্রাইব্যুনাল আপাতত বিচার শুরুর সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে নারাজ৷
ইউনূস ইস্যুর সমাধান নাকি আসন্ন৷ সরকার সমঝোতার নয়া ফর্মুলা খুঁজছেন, বলে খবর দিয়েছে দৈনিক জনকণ্ঠ৷ দৃশ্যত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেকের ঢাকা সফরের পরেই নাকি সরকারের শীর্ষ মহলের কঠোর অবস্থানে নমনীয়তা দেখা দিয়েছে৷ তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস খুব সম্ভবত আর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে ফিরে যেতে পারবেন না৷ পরিবর্তে তাঁকে হয়তো চেয়ায়ম্যান করা হতে পারে৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার