1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন, মমতা আসছেন দিল্লি

১৯ জুলাই ২০২১

বাদল অধিবেশনের মধ্যেই দিল্লি আসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করতে পারেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: Prabakhar/DW

প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ভারতীয় সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। একদিকে করোনা পরিস্থিতি এবং অন্যদিকে পেগাসাস নজরদারি, এ নিয়েই এবারের সংসদে উত্তপ্ত আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তারই মধ্যে আগামী সপ্তাহে দিল্লি আসার কথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নির্বাচনে জেতার পর এটিই তার প্রথম দিল্লি সফর। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের এই আবহে মমতার দিল্লি সফরও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বাদল অধিবেশন

সোমবারই সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। রোববার রাত থেকে দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাতা মাথায় দিয়ে সংসদে প্রবেশের সময় জানিয়ে দেন, করোনা নিয়ে বিরোধীদের সমস্ত প্রশ্ন শোনা হবে। তবে সরকারকেও উত্তর দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। শুধু তাই নয়, শাসকদলের সাংসদরা কীভাবে উত্তর দেবেন, তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার রাতেই পেগাসাস-কাণ্ড সকলের গোচরে এসেছে। এই বিষয়টি নিয়েও সংসদে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাহুল গান্ধী থেকে একাধিক সাংবাদিকের। কেন এবং কীভাবে নজরদারি চলছিল, ভারত সরকারের এ বিষয়ে ভূমিকা কী? সংসদে এই বিষয়গুলি উঠতে পারে।

মমতার সফর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি দিল্লি আসবেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবারই সংসদের অধিবেশনের সময় তিনি একবার দিল্লি আসেন। করোনার জন্য এবার তা হয়নি। জুলাইয়ের শেষ দিকে দিল্লি আসার পরিকল্পনা করছেন তিনি। তৃণমূল সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুলাই মমতা দিল্লি আসতে পারেন। থাকতে পারেন ২৯ তারিখ পর্যন্ত। ৩০ তারিখ তার ফিরে যাওয়ার কথা। তবে অন্য এক সূত্রের দাবি, ২৫ তারিখও মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি আসতে পারেন। বস্তুত, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।

উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের আবহে দিল্লিতে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ শুরু হয়েছে। বিজেপি-বিরোধী জোট গড়ে তোলার একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মমতার দিল্লি আসা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধী নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে তার। আগেই কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তার ফোনে কথা হয়েছিল। ফলে দিল্লিতে এসে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে মমতা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের সময় থেকেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেতে পারে মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ