মিয়ানমার
২২ এপ্রিল ২০১২
মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপয়িদ-তে সোমবার সংসদ অধিবেশন শুরু হচ্ছে৷ গত পহেলা এপ্রিল উপ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া অং সান সুচি এবং তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি-র আরও ৩৬ জনের শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে৷ তবে রোববার সুচির দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁরা এই শপথ অনুষ্ঠানে থাকবে না৷ শপথে বর্ণিত একটি শব্দের ব্যাপারে মতপার্থক্য থাকায় তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিলো৷
বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সুচির আপত্তি শপথে বর্ণিত সংবিধান ‘রক্ষা' শব্দটি নিয়ে৷ ‘রক্ষা'র পরিবর্তে তিনি ‘সম্মান' শব্দটি ব্যবহার করার অনুমতি চেয়েছেন প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের কাছে৷ তবে প্রেসিডেন্ট সেইন জাপান সফরে থাকায় সেই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি৷ ফলে সংসদে আপাতত যাচ্ছেন না সুচি এবং তাঁর দলের নেতারা৷ উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে এনএলডি সংবিধান ‘সম্মান' করার কথা বলেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধীত হয়েছিলো৷ সেই সময় প্রেসিডেন্ট সেইন এনএলডিকে অনুমতি দিয়েছিলেন৷ এবারও তারা সেই আশা করছে৷
সংসদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে না গেলেও পরে যোগদানের আশ্বাস দিয়েছেন এনএলডির মুখপাত্র নিয়ান উইন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা নিশ্চিত যে আমরা সোমবার যাচ্ছি না৷ তবে তার পরের দিনগুলোর ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই৷ আমার বিশ্বাস এটার একটা সুরাহা হবে৷'' নিয়ান উইন আরও বলেন, ‘‘সংসদে যাবে বলেই এনএলডি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে৷ আমরা সংসদে যাবো৷ এই ইস্যুটি আইনগতভাবে সুরাহা হতে পারে৷'' সংসদে যোগ না দিয়ে অং সান সুচি সদস্যপদ হারানোর ঝুঁকি নিলেন কিনা এই ব্যাপারে তার দলের মুখপাত্র উইন বলেন, ‘‘তিনি ঝুঁকি নিচ্ছেন না৷ আমরা কেবল আমাদের নীতিতে বহাল থাকছি৷''
উল্লেখ্য, সুচি বলেছিলেন যে তার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে মিয়ানমারের সংবিধানে পরিবর্তন আনা৷ বিগত ২০০৮ সালে সাবেক সেনা সরকার প্রণীত এই সংবিধানে সংসদের এক চতুর্থাংশে অনির্বাচিত সেনা কর্মকর্তাদের রাখার বিধান রয়েছে৷ মিয়ানমারে দীর্ঘ প্রায় চার দশক সেনা স্বৈরশাসনের পর ২০১০ সালের নভেম্বরে বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় আসে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম (এএফপি, ডিপিএ)
সম্পাদনা: জাহিদুল হক