আগামী সপ্তাহেই সংসদে পেশ হতে পারে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ তার হাত ধরেই কি দেশ জুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রক্রিয়া শুরু হবে? নাগরিক সমাজে জল্পনা তুঙ্গে৷ বিতর্কের পারদ চড়ছে সংসদেও৷
বিজ্ঞাপন
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সামনে রেখে এবার কি গোটা দেশ জুড়েই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র পরিকল্পনা করছে বিজেপি? সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কারণ, বিজেপির তরফে খবর, আগামী সপ্তাহেই সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করা হবে৷
আসামে এনআরসি পর্বে বিজেপি একাধিকবার দাবি করেছিল, এর ফলে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা যাবে৷ তবে বিরোধীদের দাবি ছিল, নাগরিকপঞ্জির আড়ালে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির৷ বস্তুত, সে সময় পশ্চিমবঙ্গে এসেও বিজেপির শীর্ষ নেতারা নাগরিকপঞ্জির প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে গিয়ে সরাসরি ধর্মীয় মেরুকরণের রাস্তায় হেঁটেছিলেন৷ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘এনআরসি করে বাংলাদেশি মুসলিমদের দেশ ছাড়া করা হবে৷’’
লোকসভায় যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করতে চলেছে, বিজেপি তাতে মূলত দু'টি পরিবর্তন রয়েছে৷ এক, ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন কিংবা খ্রিস্টানরা এ দেশে প্রবেশ করলে তাদের শরণার্থী হিসেবে দেখা হবে এবং দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷ কিন্তু মুসলিমদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে৷ দুই, শরণার্থীরা ৬ বছর এ দেশে বাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ আগে যা ছিল ১১ বছর৷ বিজেপির দাবি, নাগরিকত্ব সংশধোনী বিল পাস হলেই দেশ জুড়ে এনআরসির প্রক্রিয়া শুরু হবে৷
ভারতে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প
আসামের নাগরিক তালিকা এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ চলছে৷ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির এক বনাঞ্চলে গড়ে উঠছে প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্প৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: REUTERS/A. Hazarika
যা চায় বিজেপি সরকার
নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিতর্ক, সমালোচনার শেষ নেই৷ তারপরও এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের জন্য ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি শুরু করেছে বিজেপি সরকার৷সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, সবাইকে থাকতে হবে না, যারা নাগরিকত্ব প্রমাণ করার কাগজপত্র দেখাতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হবেন শুধু তাদেরই রাখা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে৷
ছবি: DW/P. Mani Tiwari
এনআরসির সমালোচনা
সমালোচকদের আশঙ্কা, হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি এনআরসির মাধ্যমে আসলে মুসলমানদের একাংশের নাগরিকত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়৷ ভারতের বিরোধীদলগুলো সরকারের এ উদ্যোগের সমালোচনায় মুখর৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠনও এনআরসি-র সমালোচনা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath
বন সাফ করে ডিটেনশন ক্যাম্প
চা-শিল্পের জন্য বিখ্যাত আসাম রাজ্যের গোয়ালপাড়ার পাশের বিশাল বনাঞ্চলে গাছ কেটে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ এনআরসি থেকে বাদ পড়া অনেক দরিদ্র মানুষ শ্রমিকের কাজ করছেন সেখানে৷ হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ায় শ্রম দিচ্ছেন৷
ছবি: REUTERS/A. Hazarika
কতজন থাকবেন ভারতের প্রথম ডিটেনশন ক্যাম্পে?
ডিটেনশন ক্যাম্পের শ্রমিক এবং ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে রয়টার্স জানিয়েছে, গোলাপাড়ার এই ক্যাম্পে থাকতে পারবেন তিন হাজার অবৈধ অভিবাসী৷ ইতিমধ্যে আসামের জেলে রাখা হয়েছে ৯০০ জনকে৷ প্রথমে তাদের নিয়ে আসা হবে এই ক্যাম্পে৷
ছবি: REUTERS/A. Hazarika
ক্যাম্পে যা যা থাকবে
ক্যাম্পের চারপাশে থাকবে ১০ ফুট উঁচু দেয়াল৷ ভেতরে গড়ে তোলা হবে একটি স্কুল, একটি হাসপাতাল, একটি বিনোদনকেন্দ্র এবং অবৈধ অভিবাসী আর নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আলাদা আবাসন৷ নারী এবং পুরুষ অবৈধ অভিবাসীদের জন্য গড়ে তোলা হবে আলাদা ঘর৷
ছবি: REUTERS/A. Hazarika
কাজ করতে আগ্রহী অনেকে
গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে ঠিকাদারির কাজ পেয়েছেন শফিকুল হক৷ তিনি জানালেন, ক্যাম্প তৈরির কাজে লোকের অভাব হচ্ছে না, কারণ, ‘‘আশপাশের গ্রামগুলো থেকে প্রতিদিন অনেকে এসে কাজ চাইছেন৷’’
ছবি: REUTERS/A. Hazarika
অনেকেই অশিক্ষা আর অসচেতনতার শিকার
দুই আদিবাসী নারী শেফালি হাজং এবং মালতি হাজংও সেখানে কাজ পেয়েছেন৷ এনআরসি থেকে দুজনই বাদ পড়েছেন৷ বাদ পড়ার কারণ তাঁরাও জানেন৷ দু’জনেরই জন্মনিবন্ধন হয়নি৷ নিজের বয়স বলতে পারেন না তাঁরা৷ নিজের বাড়ির দলিলও নেই তাঁদের কাছে৷ ফলে নিজেদের হাতে গড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে তাঁদেরও ঠাঁই হতে পারে৷ তা জেনেই কাজ করছেন তাঁরা৷ কেন? শেফালি হাজংয়ের উত্তর, ‘‘পেট তো ভরতে হবে আমাকে!’’
ছবি: REUTERS/A. Hazarika
7 ছবি1 | 7
এখানেই আপত্তি বিরোধীদের৷ লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি৷ ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এভাবে ধর্মভিত্তিক আইন তৈরি করা যায় না৷ কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতা করবে৷'' সোমবার লোকসভার অধিবেশনে এনআরসি সংক্রান্ত বিতর্কে অধীর বলেন, ‘‘আমিও উদ্বাস্তু, অমিত শাহ এবং লালকৃষ্ণ আদাবানিও উদ্বাস্তু৷’’
এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিলের লাগাতার বিরোধিতা করছে তৃণমূলও৷ দলের সাংসদ এবং মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েনের কথায়, ‘‘বিজেপি এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিল ব্যবহার করে হিন্দুপ্রীতি দেখানোর চেষ্টা করছে৷ কিন্তু আসামে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, এনআরসির ফলে হিন্দুরাও সমস্যায় পড়েছেন৷ এমন যে হতে পারে আমরা আগেই তা বলেছিলাম৷ সংসদে আমরা নাগরিকত্ব বিলের তীব্র বিরোধিতা করব৷’’
রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, আসামে এনআরসি করে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের যে তাস বিজেপি খেলবে ভেবেছিল, বাস্তবে তা বুমেরাং হয়ে গিয়েছে৷ ১৯ লক্ষ মানুষের যে তালিকা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ১১ লক্ষ হিন্দু৷ ফলে তড়িঘড়ি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এনে হিন্দুদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি৷ বোঝানোর চেষ্টা করছে, নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকলেও তাঁদের চিন্তার কারণ নেই৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে তাঁরা যাতে দ্রুত নাগরিকত্ব পান তার ব্যবস্থা করা হবে৷ যদিও আদৌ এ ধরনের ধর্মভিত্তিক আইন সংবিধান গ্রাহ্য কিনা, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন৷
বাম শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশে নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নাম ব্যবহার করে বিজেপি যে আইন আনতে চলেছে, তা সংবিধানবিরোধী৷ তাঁদের আরো বক্তব্য, কিসের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং কীভাবে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, সেটাই স্পষ্ট নয়৷ আসলে গোটাটাই বিজেপির সংকীর্ণ ধর্মীয় রাজনীতি৷ ডেরেকও একই কথা বলেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে যিনি এ দেশের নাগরিক ছিলেন, কেন তাঁর নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে এবং নতুন করে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হবে?’’
বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপির শরিক দলগুলির ভিতরেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে৷ উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির শরিক দলগুলি ইতিমধ্যেই তাদের বিল বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট করেছে৷ সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির এক সাংসদও দলীয় বৈঠকে নিজের আপত্তি জানিয়েছেন৷
দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ অবশ্য এখনো দাবি করছেন, যতই বিরোধিতা আসুক, সংসদের চলতি অধিবেশনেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করা হবে৷ এবং তারপর দেশ জুড়ে এনআরসির প্রক্রিয়াও চালু হবে৷
এসজি/এসিবি
৩১ আগস্টের ছবিঘরটি দেখুন...
আসামের নাগরিকপঞ্জি: কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর
ভারতের আসাম রাজ্যে শনিবার চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হয়েছে৷ রাতারাতি নাগরিকত্ব হারিয়েছেন ১৯ লাখেরও বেশি মানুষ৷ চলুন তার আগে জেনে নিই, কীভাবে এই অবস্থায় পৌঁছলো আসাম৷
ছবি: Reuters
১৯৪৭
ব্রিটিশ শাসন শেষে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়৷ ঐ ঘটনায় লাখ লাখ মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া শুরু করে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
১৯৪৮
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অবাধ যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Images/M.Desfor
১৯৫১
আসাম রাজ্যের জন্য প্রথম নাগরিকপঞ্জি তৈরি করে ভারত সরকার৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/D. Talukdar
১৯৫৫
নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হয়৷ জন্ম, উত্তরাধিকার ও নিবন্ধনসূত্রে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার নীতিমালা প্রণীত হয়৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
১৯৬১
পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষকে আসাম ছেড়ে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯৬৪
পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু-পাকিস্তান দাঙ্গার কারণে বাঙালি হিন্দুরা ভারতে চলে যান৷
ছবি: AP
১৯৬৫
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে আরও শরণার্থী আসাম হয়ে ভারতে যায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
১৯৭১
স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়৷ এই সময় নতুন করে আরও শরণার্থী ভারতে চলে যান৷
ছবি: Getty Images/AFP/
১৯৮৩
লালুঙ সম্প্রদায়ের হাতে দুই হাজারের বেশি বাঙালি অভিবাসী প্রাণ হারান৷ এক আইনে বলা হয়, যারা ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আসামে ঢুকেছে তারা দশ বছরের জন্য ভোটাধিকার হারাবে৷ যারা ২৪ মার্চ ১৯৭১ সালের মধ্যে আসামে ঢোকার প্রমাণ দিতে পারবেন না, তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে৷
ছবি: Getty Imagess/Hulton Archive/Keystone Features
১৯৮৫
আসাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ এর আওতায় ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারির পর যারা ভারতে গেছেন তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷
ছবি: Reuters
২০০৩
নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন অনুযায়ী, ১৯৫০ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে জন্ম নেয়া যে কেউ এবং ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে অন্তত একজন ভারতীয় বাবা-মার ঘরে জন্ম নেয়া শিশু ভারতের নাগরিক বলে গণ্য হবে৷
ছবি: Reuters/A. Abidi
২০১৩
সুপ্রিম কোর্ট আসামের রাজ্য কর্তৃপক্ষকে নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদ করার নির্দেশ দেন৷
ছবি: Imago/Hindustan Times/S. Mehta
২০১৫
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে রাজ্য কর্তৃপক্ষ গণনা ও নাগরিকদের ভেরিফাই করা শুরু করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Boro
২০১৬
পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Kumar
২০১৭
আসামের নতুন নাগরিকপঞ্জির প্রথম খসড়া প্রকাশ করা হয়৷ এতে আবেদন করা তিন কোটি ২৯ লাখ মানুষের মধ্যে এক কোটি ৯০ লাখের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Dutta
২০১৮
দ্বিতীয় খসড়ায় দুই কোটি ৮৯ লাখের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়৷ বাদ পড়েন প্রায় ৪০ লাখ জন৷
ছবি: DW/P. Mani Tiwari
২০১৯
৩১ আগস্ট শনিবার চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করা হবে৷ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷