ফ্রাংকফু্র্টকে এককালে বলা হতো ব্যাংকফুর্ট, কেননা এখানে অনেক বড় বড় ব্যাংকের অফিস৷ শহরটির আরেক নাম ছিল মাইন-হ্যাটান, ম্যানহ্যাটানের অনুকরণে, কেননা এখানে স্কাইস্ক্রেপারের ছড়াছড়ি৷
বিজ্ঞাপন
আগে ছিল ‘ব্যাংকফুর্ট’, এখন সংস্কৃতির শহর ফ্রাংকফুর্ট
04:26
কিন্তু ফ্রাংকফুর্টের একটা সাংস্কৃতিক সত্তাও আছে৷
ফ্রাংকফুর্ট আম মাইন, মাইন নদীর তীরে ফ্রাংকফুর্ট বলতেই স্কাইস্ক্রেপার, বড় বড় ব্যাংক আর ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরের কথা মনে হয়৷ কিন্তু সেই সঙ্গে প্রাচীন এক ফ্রাংকফুর্ট আছে, ‘ব়্যোমার’ নামের পৌরভবনটি যার একটা নমুনা৷ সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রাংকফুর্ট জার্মানির অন্যান্য বড় শহরের চেয়ে কোনো অংশে কম যায় না৷ প্রতি বছর এই শহরে বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়৷ সে ঐতিহ্য অনেকদিনের৷ ফ্রাংকফুর্টে ৫০০ বছর আগেও একটি বইমেলা ছিল৷ ইয়োহানেস গুটেনব্যার্গ কাছের মাইনৎস শহরে ছাপাখানা আবিষ্কার করার কিছু পরেই ঐ বইমেলা চালু হয়৷
জার্মানির সবচেয়ে দর্শনীয় আটটি গ্রন্থাগার
গ্রন্থাগার বলতে শুধু বই রাখার জায়গা নয়৷ একটি সমাজ বা সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে দেশের বড় বড়, নামকরা গ্রন্থাগারগুলিতে, যেমন জার্মানিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্টুটগার্টের মিউনিসিপাল লাইব্রেরি
২০১১ সালে তৈরি একটি সুবিশাল, এগারো তলা উঁচু কিউব৷ বাইরে ধূসর কংক্রিট, তার ওপর বসানো সারি সারি কাচের ইট৷ ভেতরটা শুধু সাদা৷ আলোয় ভাসা পাঁচতলা গ্যালারির তাক জুড়ে বই আর বই৷ রাত্রে লাইব্রেরি বিল্ডিংটির ওপর নানা রঙের আলো ফেলা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Weißbrod
ডাচেস আনা আমালিয়া লাইব্রেরি
ভাইমার শহরের এই ছোট্ট রত্নটি পুরনো বই, মানচিত্র, সংগীতের স্বরলিপি আর পুরনো বংশলতিকায় ভর্তি৷ ১৭৬৬ সালে রাজকীয় পুস্তক সংগ্রহটি এই রকোকো শৈলীর গ্রন্থাগারে আনার ব্যবস্থা করেন ডাচেস আনা আমালিয়া৷ তাঁরই নামে লাইব্রেরি৷ ২০০৪ সালে একটি বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মূল্যবান সংগ্রহটির একাংশ বিনষ্ট হয়৷ সারানোর পর গ্রন্থাগারটি আবার খোলা হয় তিন বছর পরে৷ লাইব্রেরিটি ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
হ্যার্ৎজোগ আউগুস্ট লাইব্রেরি
জার্মানির ভোল্ফেনব্যুটেল শহরের বিবলিওথেকা আউগুস্তা, অর্থাৎ ডিউক অগাস্টের লাইব্রেরি বিশ্বের প্রাচীনতম গ্রন্থাগারগুলির একটি, অথচ এই গ্রন্থাগারের সুবিখ্যাত সংগ্রহের কোনোদিন কোনো ক্ষতি হয়নি৷ ডিউক অগাস্ট (১৫৭৯-১৬৬৬) বই সংগ্রহ করতে ভালোবাসতেন৷ এভাবে তাঁর সংগ্রহ ইউরোপের তৎকালীন গ্রন্থাগারগুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে ওঠে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Hollemann
ফস্টার লাইব্রেরি
দেখতে মানুষের মস্তিষ্কের আকারের হওয়ায় বার্লিনের মানুষ ভবনটির নাম দিয়েছে ‘দ্য ব্রেন’৷ বার্লিনের ফ্রি ইউনিভার্সিটির দর্শন ও কলাবিদ্যা বিভাগগুলির গ্রন্থাগার এই ফস্টার লাইব্রেরিতে৷ ভবনটি শীঘ্রই রাজধানীর একটি দর্শনীয় বস্তুতে পরিণত হয়৷ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি নরম্যান ফস্টার লাইব্রেরি ভবনটির নকশা করেন৷ উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Andree/Helga Lade
ওবারলাউসিট্জ লাইব্রেরি অফ সায়েন্সেস
পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে গ্যোরলিট্জ শহরে অবস্থিত এই গ্রন্থাগারটি নির্মিত হয় ১৮০৬ সালে৷ প্রাচীন গ্রিক-রোমক স্থাপত্যের অনুকরণে অষ্টাদশ শতাব্দীর ক্লাসিসিজম নামের শৈলীর একটি চমকপ্রদ নিদর্শন হলো লাইব্রেরি অফ সায়েন্সেস-এর হলগুলি৷ ড্রেসডেন থেকে পুবের ব্রেসলাউ বা ভ্রকসুয়াভ অবধি এলাকাটির ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও সমাজ সংক্রান্ত এক লক্ষ চল্লিশ হাজার বই রাখা আছে এই লাইব্রেরিতে৷
ছবি: picture-alliance/ZB/M. Hiekel
ইয়াকব অ্যান্ড ভিলিয়াম গ্রিম সেন্টার
প্রখ্যাত রূপকথা সংগ্রাহকদের নামে সৃষ্ট এই কেন্দ্রটি বার্লিনের হুমবোল্ট ইউনিভার্সিটির অঙ্গ, তৈরি হয় ২০০৯ সালে৷ এখানে আছে একটি লাইব্রেরি ও হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার ও মিডিয়া পরিষেবা৷ রিডিং রুমটি (ছবিতে) ভবনের কেন্দ্রস্থলে৷ সুবিশাল, সুউচ্চ, যেন পাঠকরা খোলা আকাশের নীচে অধ্যয়ন করছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
বাভেরিয়ান স্টেট লাইব্রেরি
মিউনিখের এই লাইব্রেরিটি বস্তুত বাভেরিয়া রাজ্যের গ্রন্থাগার৷ ষোড়শ শতাব্দী থেকে শুরু করে আজ অবধি দশ লাখেরও বেশি বই সংগৃহীত হয়েছে এই প্রামাণ্য সংগ্রহে৷ বর্তমান ভবনটি উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নির্মিত হয়, তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷ লাইব্রেরিটি সারিয়ে তুলতে বহু বছর সময় লেগে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
7 ছবি1 | 7
গুটেনব্যার্গের স্মৃতিসৌধ মহাকবি ইওহান ভল্ফগাং ফন গ্যোটের মূর্তির অদূরে৷ জার্মানির প্রখ্যাততম কবির জন্ম ১৭৪৯ সালে এই ফ্রাংকফুর্ট শহরে৷ গ্যোটে ভবনের লাইব্রেরির পরিচালকইওয়াখিম সেং জানালেন, ‘‘অষ্টাদশ শতাব্দীতে, অর্থাৎ গ্যোটের জন্মের সময় ফ্রাংকফুর্টের জনসংখ্যা ছিল ৩০ হাজার৷ তা সত্ত্বেও জার্মানদের হোলি রোমান এম্পায়ারের সম্রাটের অভিষেক হতো এই ফ্রাংকফুর্ট শহরে৷ জার্মান রাইশ-এর শহর হিসেবেও নাম ছিল ফ্রাংকফুর্টের৷ এছাড়া ফ্রাংকফুর্ট চিরকালই ছিল ব্যবসা-বাণিজ্যের শহর৷’’
গ্যোটের জন্মের বাড়িটি আজ একটি মিউজিয়াম৷ মহাকবি গ্যোটে তাঁর জীবনের ২৫ বছর কাটিয়েছিলেন এখানে৷ বছরে প্রায় এক লাখ মানুষ আসেন এই মিউজিয়াম দেখতে৷ গ্যোটের চিঠির আকারে লেখা উপন্যাস ‘ভ্যায়র্টার' এখানেই রচিত হয়৷ ইওয়াখিম সেং বললেন, ‘‘ভ্যায়ার্টার লিখে তিনি জার্মান উপন্যাসের ধারা বদলে দিয়েছেন; তাঁর সেসেনহাইমার কবিতাগুচ্ছ দিয়ে তিনি জার্মান কবিতার ভোল পাল্টে দিয়েছেন; শেষমেষ তাঁর ‘গ্যোৎস’ নাটকটি দিয়ে তিনি জার্মান নাটকে বিপ্লব এনেছেন – ‘গ্যোৎস’-ও এই ফ্রাংকফুর্টে লেখা হয়েছিল৷’’
২০১৬ সালে জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি পর্যটন স্থান
জার্মানির পর্যটন বোর্ড বিদেশি পর্যটকদের তাঁদের দৃষ্টিতে সেরা পর্যটন স্থান নির্বাচন করতে আহ্বান জানিয়েছিল৷ ছবিঘরে থাকছে শীর্ষ ১০ স্থানের কথা৷ আশ্চর্যের বিষয় এর মধ্যে বার্লিন নেই!
ছবি: Mapics/Fotolia
নম্বর ১০: ড্রেসডেন শহরের পুরনো অংশ
এলবে নদীর পাশে অবস্থিত এই অংশে গেলে রেনেসাঁ, বারোক ও উনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবনের দেখা পাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নম্বর ৯: কোলন ক্যাথিড্রাল
প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো মানুষ এই গির্জা দেখতে যান৷ সাত শ’ বছরেরও বেশি পুরনো কোলন ডোম তৈরিতেও প্রায় একইরকম সময় লেগেছে৷ ১৯৯৬ সালে এটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Baeck
নম্বর ৮: উল্ম শহরের গির্জা
এই গির্জার টাওয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু - ১৬১.৫৩ মিটার৷ ১২৬ বছর আগে এই গির্জার নির্মাণকাজ শেষ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Carsten Schmidt
নম্বর ৭: মানহাইমের বারোক শৈলীর প্রাসাদ
এই প্রাসাদের একটি অংশ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷
ছবি: Landesmedienzentrum Baden-Württemberg/ Staatliche Schlösser und Gärten Baden-Württemberg
নম্বর ৬: লেক কন্সটান্স অঞ্চল
জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার আল্পস পর্বতমালা এলাকায় এই লেকটি অবস্থিত৷
ছবি: Imago/bodenseebilder.de
নম্বর ৫: রথেনবুর্গ অব ডেয়ার টাওবার
জার্মানির বিখ্যাত ‘রোম্যান্টিক রোড’এর অংশ রথেনবুর্গে গেলে এখনও মধ্যযুগের ঐতিহ্যের দেখা পাওয়া যায়৷
ছবি: Fotolia/Frank Merfort
নম্বর ৪: নয়শোয়ানশ্টাইন দুর্গ
প্রতিবছর ১৪ লাখের মতো মানুষ দুর্গটি দেখতে যান৷ ১৮৬৯ সালে এটি তৈরি করেন রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ৷
ছবি: picture-alliance
নম্বর ৩: রুস্ট শহরের ইউরোপা পার্ক
প্যারিসের ডিজনিল্যান্ডের পর রুস্ট শহরের এই থিম পার্কটিই ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ জার্মানির সবচেয়ে বড় থিম পার্কও এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger
নম্বর ২: হাইডেলব্যার্গ ক্যাসেল ও পুরনো শহর
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Wittek
নম্বর ১: হামবুর্গের মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘মডেল রেললাইন’ এটি৷ ভিডিও দেখতে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Miniatur Wunderland Hamburg
10 ছবি1 | 10
গ্যোটে ভবন থেকে মাত্র কিছুটা দূরে সেন্ট পলস চার্চ৷ ১৮৪৮ সালের মে মাসে এখানেই ফ্রাংকফুর্টের জাতীয় সম্মলনের বৈঠক বসে, যাকে জার্মান গণতন্ত্রের জন্মমুহূর্ত বলে গণ্য করা হয়৷ জার্মান পুস্তক শিল্পের শান্তি পুরস্কারও প্রতিবছর এখানেই প্রদান করা হয়ে থাকে৷
ফ্রাংকফুর্ট তার মিউজিয়ামগুলির জন্যও বিখ্যাত৷ অধিকাংশ মিউজিয়ামই মাইন নদীর ধারে৷ তাদের মধ্যে স্টেডেল মিউজিয়াম হলো সবচেয়ে নাম-করা৷ স্টেডেল মিউজিয়ামে ইউরোপীয় শিল্পকলার ৭০০ বছরের ইতিহাসের একটা আন্দাজ পাওয়া যায় – চতুর্দশ শতাব্দীর সূচনা থেকে হাল আমল পর্যন্ত শিল্পকলার নমুনা৷
স্টেডেল মিউজিয়ামের উপপরিচালক প্রফেসর ড. ইয়খেন সান্ডার জানালেন, ‘‘ফ্রাংকফুর্টের বিত্তশালী ব্যাংকার ইওহান ফ্রিডরিশ স্টেডেল-এর উইল থেকে ২০১ বছর আগে এই মিউজিয়ামের সৃষ্টি৷ স্টেডেল নিজেও শিল্পকলা সংগ্রহ করতেন, সে আমলে যার খুব চল ছিল৷ শিল্পকলাকে উচ্চবিত্তদের ঘর সাজানোর জন্য অপরিহার্য বলে মনে করা হতো৷ ওদিকে ফ্রাংকফুর্টে রাজারাজড়ারা বা বিশপরা কেউ থাকতেন না বলে এখানে বুর্জোয়া মহলেরই দাপট ছিল, তারাই ফ্রাংকফুর্টের স্টাইল নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন৷ ফ্রাংকফুর্ট আজও বুর্জোয়া, আর এই নাগরিকদের সাহায্যেই আজও স্টেডেল ফাউন্ডেশনের কাজ চলেছে৷’’
শ্যারন ব্যারকাল/এসি
জার্মানির কিছু আকর্ষণীয় সেতু
আকর্ষণীয়, মজার, ঐতিহাসিক – জার্মানিতে রয়েছে এমনই কিছু ব্রিজ৷ ছবিঘরে থাকছে সে সবের কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবচেয়ে প্রাচীন
জার্মানির সবচেয়ে প্রাচীন এই সেতুটি ট্রিয়ার শহরে মোজেল নদীর উপর অবস্থিত৷ শুরুতে এটা কাঠের তৈরি ছিল৷ এরপর রোমানরা সেটাতে পাথর আর শিলার ব্যবহার করে৷ ছবিতে যে পাথরের পিলারগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো প্রায় ১,৯০০ বছর আগের! আর উপরের অংশটায় প্রথম সংস্কার করা হয় আটশো বছর আগে আর দ্বিতীয়বার প্রায় দুশো বছর আগে৷
ছবি: imago/ARCO IMAGES
সেতুর নীচে বিস্ফোরক!
এই ব্রিজটি জার্মানির মূল ভূখণ্ডকে বাল্টিক সাগরে অবস্থিত ফেমান দ্বীপের সঙ্গে যুক্ত করেছে৷ ১৯৬৩ সালে শীতল যুদ্ধের সময় সেতুটি নির্মাণ করা হয়৷ সে সময় সম্ভাব্য আক্রমণের কথা মাথায় রেখে ব্রিজের নীচে বিস্ফোরক জমা করে রাখা হয়েছিল৷
ছবি: Fotolia/Pascal Walz
ব্রিজের সড়কের দুপাশে দোকান
এয়ারফুর্ট-এর পায়ে হাঁটা এই সেতুর দুপাশে রয়েছে গ্যালারি আর বিভিন্ন শিল্পকর্ম বিক্রির দোকান৷ প্রতিটি দোকানের অর্ধেক অংশ কাঠের তৈরি৷ প্রায় আটশো বছর আগে যখন ব্রিজটি তৈরি হয় তখন সেখানে মুদি দোকানিরা পণ্য বিক্রি করতেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেতুর সড়কে ছাদ!
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ১২৭২ সালে তৈরি এই কাঠের ব্রিজটিতে ছাদ রয়েছে৷ সে সময় নির্মিত অনেক কাঠের সেতুতেই নিরাপত্তাজনিত কারণে এমনটা করা হতো৷ মজার ব্যাপার হলো এই সেতু পাড়ি দিয়ে আপনি জার্মানি থেকে সুইজারল্যান্ডে চলে যেতে পারবেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বের সবচেয়ে বড়
স্যাক্সনি ও বাভারিয়া রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত এই ব্রিজটি ইট দিয়ে তৈরি৷ এখনো পর্যন্ত ইটের তৈরি এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু৷ ১৮৫১ সালে নির্মিত হওয়ার সময় ব্রিজটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বাও ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রকৃতির মাঝে সেতু
ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই ব্রিজের অবস্থানটা কোথায়৷ ১৮৫১ সালে তৈরি হওয়া এই সেতুর কারণে পর্যটকরা এমন সব পাহাড়ি এলাকায় যেতে পারছেন না যেটা এমনিতে সম্ভব হত না৷
ছবি: Fotolia/Seewald
উপরে ট্রেন, নীচে গাড়ি
১৯৬১ সালে যখন বার্লিন প্রাচীর তৈরি হয়েছিল তখন এই ঐতিহাসিক ওবারবাউম ব্রিজটি শহরকে পূর্ব আর পশ্চিমে বিভক্ত করা সীমান্তের একটা অংশে পরিণত হয়েছিল৷ এই ব্রিজে দুটো রাস্তা রয়েছে৷ উপর দিয়ে চলে ট্রেন আর নীচ দিয়ে গাড়ি৷
ছবি: Fotolia/Marco2811
পানি ব্রিজ!
ফেসবুকের কল্যাণে অনেকের কাছেই পরিচিত এই ছবিটি৷ এটি মাগডেবুর্গ ওয়াটার ব্রিজ৷ পানির ওপর স্থাপিত এই সেতুর রাস্তাও পানির! অর্থাৎ এই সেতু দিয়ে চলে জাহাজ৷ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০৩ সালে৷ মূলত পণ্যবাহী জাহাজের রুট সংক্ষিপ্ত করতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে৷
ছবি: AP
সেতু এক, দেশ তিন!
নাম ‘থ্রি কান্ট্রিস ব্রিজ’৷ বুঝতেই পারছেন তিন দেশে এই সেতুর অবস্থান৷ জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড৷ ২৪৮ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটি শুধু পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেল চালিয়ে পার হওয়া যায়৷ কোনো ধরনের গাড়ির প্রবেশ নেই সেখানে৷