ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক সদ্য জন্মানো শিশু। হাজার হাজার মানুষ তাকে দত্তক নিতে চায়।
বিজ্ঞাপন
এও এক মিরাকেল। সোমবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ার জিনদায়েরিস শহরে উদ্ধার হয়েছিল এক শিশুকন্যা। একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে তাকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখনো তার মায়ের আমবিলিকাল কর্ড তার শরীরের সঙ্গে যুক্ত। উদ্ধারকারীরা যখন তাকে পায়, তখন ওইশিশুর গোটা দেহ নিথর। পাশেই ছিল তার বাবা এবং মায়ের মৃতদেহ। উদ্ধারকারীরা ওই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি বেঁচে আছে।
তুরস্কে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে
প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃতদেহ মিলছে তুরস্ক এবং সিরিয়া থেকে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দুই দেশ।
ছবি: OZAN KOSE/AFP
মৃতের সংখ্যা বিশ হাজার ছাড়ালো
তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। এখনো পর্যন্ত ২০ হাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ছবি: BULENT KILIC/AFP
তুরস্কেই ১৭ হাজার
শুধু তুরস্কেই ১৭ হাজারের উপর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সিরিয়ায় মিলেছে তিন হাজার ১৬২টি দেহ।
ছবি: AFP
প্রবল ঠান্ডা
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ধ্বংসস্তূপে আটকে এখনো বহু মানুষ। প্রবল ঠান্ডায় মৃত্যু হচ্ছে অনেকের।
ছবি: ADEM ALTAN/AFP
এর্দোয়ানের পরিদর্শন
বৃহস্পতিবার ভূমিকম্প বিধ্বস্ত শহর গাজিআনটেপে গেছিলেন প্রেসিডেন্ড এর্দোয়ান। শুধু এই শহরেই ছয় হাজারের উপর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত প্রায় হাজার।
ছবি: BULENT KILIC/AFP
অ্যামেরিকার সাহায্য
বৃহস্পতিবার অ্যামেরিকা ৮৫ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে। তুরস্ক এবং সিরিয়া দুই দেশকেই এই অর্থ পাঠানো হবে।
ছবি: Stoyan Nenov/REUTERS
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি
বিশ্ব ব্যাংক বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তুরস্ক এবং সিরিয়াকে এক দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার সাহায্য করা হবে।
ছবি: Kamran Jebreili/AP/picture alliance
বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া
১৯৯৯ সালে তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তারপর বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন আইন তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ সেই নিয়ম মেনে তুরস্কে বাড়ি তৈরি হয়েছে কি না! সরকার অবশ্য এখন এ বিষয়ে আলোচনা করতে নারাজ।
ছবি: DHA/AFP
7 ছবি1 | 7
বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সরকার জানিয়েছে, শিশুটির অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো। সে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছে।
এদিকে ওই শিশুকে উদ্ধারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বহু মানুষ ওই শিশুটিকে দত্তক নিতে চেয়েছেন। এক কুয়েতি টেলিভিশনের অ্যাঙ্কর শো চলাকালীনই জানিয়ে দেন, আইনানুগ সমস্যা না থাকলে ওই শিশুটিকে তিনি নিতে চান। সিরিয়ার সরকার অবশ্য জানিয়েছে, আপাতত শিশুটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলাই প্রথম কাজ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত অন্তত কয়েক হাজার আবেদন পেয়েছেন তারা। সকলেই ওই শিশুকে দত্তক নিতে চান।
তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়াও ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত তিনহাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্কের চেয়ে সিরিয়ায় উদ্ধার কাজে বেশি সময় লাগছে বলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য।