1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ সিইসির

২ মার্চ ২০২৩

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের নিরসন হবে বলে আশা করেন৷ তবে নির্বাচন কমিশনকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় নিতে রাজি নন তিনি৷

(ফাইল ছবি)ছবি: bdnews24

রাজনৈতিক দলগুলোকেই দূরত্ব ঘোচাতে সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন৷ আপনাদের মধ্যে যদি মত-পার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন৷ কারণ নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিয়ানা করতে পারবে না৷”

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনসিইসি৷ 

মাঝে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ থাকলেও এবার আবার সংশয় তৈরি হয়েছে বিএনপি ও সমমনাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানোর দাবির কারণে৷

বিএনপি বলে আসছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হলে কোনো নির্বাচনে তারা আর যাবে না৷ অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, ‘অসাংবিধানিক' তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরানোর কোনো সুযোগ নেই, তারা ক্ষমতায় থাকতেই নির্বাচন হবে৷ 

সব দলকে ভোটে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভদ্রভাবে, বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলবো, আপনারা যে কোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন৷ এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়৷”

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের এক বছরে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম হলেওসিইসির বিচারে সেটা ‘সন্তোষজনক'৷ সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলেও তিনি আশাবাদী৷

‘‘উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে৷ কারণ, মেয়াদ আছে মাত্র ১০ মাস৷ আর সত্যিকার অর্থে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি৷ ইউনিয়ন পরিষদে কিন্তু উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল৷ ইভিএমে ভোটে বলা হয় ধীরগতি, সেখানেও উপস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল৷ আমরা আশা করি, আগামীতে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে, সেখানে উপস্থিতি যথেষ্ট হবে, সেই আশাবাদ আমি ব্যক্ত করছি৷”

নির্বাচনে ইসির ভূমিকা তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘‘কেন্দ্রে যাওয়ার দায়িত্ব প্রথমত ভোটারের নিজের৷ রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যাতে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল একটা দায়িত্ব রয়েছে; তাদেরকে সে দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ নির্বাচন কমিশন, আমরা ভোটটা আয়োজন করব৷

‘‘আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করবো, বক্স সাপ্লাই করবো৷ আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সংস্থাগুলো আছে, তাদেরকে আমরা স্ট্রিক্টলি বলে থাকি, আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইন-শৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন৷ তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের; এককভাবে এই দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়৷”

ভোটার দিবসের এ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন৷

সকালে নির্বাচন ভবন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে আগারগাঁওয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নির্বাচন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়৷ দিবসটি উপলক্ষে বিকালে আলোচনা সভারও আয়োজন করেছে ইসি৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য