বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর৷ তবে কমিশনার মাহবুব তালুকদার এটিকে ‘অংশগ্রহণমূলক’ বলতে রাজি নন৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর মো. আলমগীরকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইভিএম ও ব্যালট মিলিয়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে৷ শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো ছিল৷ প্রচুর ভোটার উপস্থিতি ছিল৷ দুয়েকটি জায়গায় দুষ্কৃতিকারীরা অপচেষ্টা করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে; এটা খুবই নগণ্য ঘটনা৷’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘সব মিলিয়ে এবার পৌরসভায় সুষ্ঠু ও একটা সুন্দর নির্বাচন হয়েছে৷’’
সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল চারটায়৷ ২৯টি পৌরসভায় ইভিএম এবং ৩১টি পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোট হয়েছে৷ অনেক জায়গায় ভোট বর্জন, অনিয়ম, গোলযোগ ও প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এসেছে৷ কুষ্টিয়ার কুলিয়ারচরে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি৷ পাবনার ঈশ্বরদীতে মারধর, কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং জোর করে নৌকায় সিল মারাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির প্রার্থী রফিকুল ইসলাম নয়ন৷ এছাড়া রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার বিএনপি প্রার্থী বিভিন্ন অভিযোগে ভোট বর্জনের কথা বলেছেন৷
কেন্দ্র দখল, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাগেরহাটের মোংলাপোর্ট পৌরসভার নির্বাচনে ভোট বর্জন করেন বিএনপি মেয়র প্রার্থী মো. জুলফিকার আলী৷
বরগুনায় পৌরসভা নির্বাচনের আগের রাতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর অস্থায়ী প্রচার কার্যালয়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠে৷
গোলযোগ ও সহিংসতার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সচিব বলেন, ‘‘৬০ পৌরসভার মধ্যে দুয়েকটি কেন্দ্রে হয়েছে, স্থগিতও করা হয়েছে৷ দুষ্কৃতকারীদের এ ধরনের অপচেষ্টা থাকে ভোটকে বিতর্কিত করার জন্য, কিন্তু তারা সফল হয়নি৷’’
তিনি জানান, বোয়ালমারীতে একটি কেন্দ্রে ব্যালটবাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অপেচষ্টা করলে কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে৷ কিশোরগঞ্জেও একটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করা হয়েছে৷
ইভিএমে সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য এসেছে আড়ানি পৌরসভায়, সর্বনিম্ন কুলিয়ারচরে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে৷এছাড়া ব্যালট পেপারে বোয়ালমারীতে ৭৫ শতাংশ ও দিনাজপুরে সর্বনিম্ন ১৫ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে৷ তবে পূর্ণাঙ্গ তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি৷
ঢাকার সাভার পৌরসভা নির্বাচনে বেশিরভাগ কেন্দ্রে বিএনপির কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন৷
একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে ১০ আসনে বিএনপি সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে
সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন তানভীর শাকিল জয়৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ৪৬৮ ভোট৷ ছবিঘরে দেখে নিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র কোন ১০ প্রার্থী সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
গোপালগঞ্জ-৩
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছিলেন দুই লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট৷ সেখানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র এসএম জিলানী পেয়েছিলেন মাত্র ১২৩ ভোট৷ গত নির্বাচনে কোনো আসনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পাওয়া এটাই সবচেয়ে কম ভোট৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath
সিরাজগঞ্জ-১ উপ-নির্বাচন
সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম করোনায় মারা যান৷ এই আসনে উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়৷ শাকিল এক লাখ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিম রেজা পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট৷
ছবি: DW/S. Kumar Dey
সিরাজগঞ্জ-১
সংগীতশিল্পী কনকচাঁপা কম ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে আছেন তিন নম্বরে৷ সিরাজগঞ্জ-১ আসনে উপ নির্বাচন না হলে তিনি দুই নম্বরেই থাকতেন৷ একই আসনে আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিম পেয়েছিলেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৪২৪ ভোট৷ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা পেয়েছিলেন ১,১১৮ ভোট৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
বরিশাল-১
বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ দুই লাখ ৫ হাজার ৫০২ ভোট পেয়েছিলেন৷ ধানের শীষের জহিরউদ্দিন স্বপন পেয়েছিলেন ১,৩০৫ ভোট৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগের এবি তাজুল ইসলাম দুই লাখ ৭৮ ভোট পেয়েছিলেন৷ নিকটতম বিএনপি মনোনীত ঐক্যজোট প্রার্থী ধানের শীষের আব্দুল খালেক পেয়েছিলেন ১,৩২৯ ভোট৷
ছবি: Reuters
শরীয়তপুর-২
শরীয়তপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের এ কে এম এনামুল হক শামীম পেয়েছিলেন দুই লাখ ৭৩ হাজার ১৭১ ভোট৷ বিএনপির মো. সফিকুর রহমান কিরণ পেয়েছিলেন ২,১১৩ ভোট৷
ছবি: picture-alliance/A.A./N. Kumar
চট্টগ্রাম-৬
চট্টগ্রাম-৬ আসনে আওয়ামী লীগের এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছিলেন দুই লাখ ৩০ হাজার ৪৭১ ভোট৷ নিকটতম বিএনপির জসিম উদ্দিন সিকদার পেয়েছিলেন ২,২৪৪ ভোট৷
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
মাদারীপুর-২
মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের শাজাহান খান পেয়েছিলেন তিন লাখ ১১ হাজার ৭৪০ ভোট৷ নিকটতম বিএনপি প্রার্থী মিল্টন বৈদ্য পেয়েছিলেন মাত্র ২,৫৮৮ ভোট৷
ছবি: bdnews24.com
শরীয়তপুর-৩
শরীয়তপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নাহিম রাজ্জাক ২ লাখ ৭ হাজার ২২৯ ভোট৷ নিকটতম বিএনপির হানিফ মিয়া পেয়েছিলেন ২,৭৩৫ ভোট৷
ছবি: DW/H.U. Rashid Swapan
মাদারীপুর-৩
মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সোবাহান গোলাপ দুই লাখ ৫২ হাজার ৬৪১ ভোট পেয়েছিলেন৷ বিএনপি প্রার্থী আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার পেয়েছিলেন মাত্র ৩,২৯৬ ভোট৷
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman
চট্টগ্রাম-৩
চট্টগ্রাম-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান মিতা এক লাখ ৬২ হাজার ৩৫৬ ভোট পেয়েছিলেন৷ নিকটতম বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা ৩,১২২ ভোট পান৷
ছবি: DW/M. Mamun
11 ছবি1 | 11
জয়ী হয়েছেন কাদের মির্জা
এই নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই কাদের মির্জা৷ নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় তিনি মেয়র পদে পুননির্বাচিত হয়েছেন৷ ইভিএমে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রবিউল আলম৷ নৌকা প্রতীকে কাদের মির্জা পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৩৮ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৭৭৮ ভোট৷
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তিনি বলেছেন, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে তিনি আগের মতোই কথা বলে যাবেন৷ নির্বাচনের আগে দলের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন৷
‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলা যায় না’
এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যায় না বলে অভিমত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের৷ ভোট চলাকালে সাভারের তিনটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন তিনি৷ বিকালে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘পৌরসভার নির্বাচনে ক্রমাগত সহিংসতা বেড়ে চলেছে৷ সহিংসতা ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে না৷ নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন না হলে এই সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ এ বিষয়ে সকলের ঐক্যমত্য আবশ্যক৷ যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে মানুষের জীবন অনেক বেশি মূল্যবান৷’’
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে আলোচিত এই কমিশনার বলেন, ‘‘তিনটি বুথে আমি তিন জন বিরোধী দলীয় প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট দেখতে পাই, কিন্তু অন্য কোথাও এজেন্ট ছিলেন না৷ এছাড়া সাভার পৌর এলাকায় আমি বিরোধী দলীয় প্রার্থীর কোনো পোস্টার দেখতে পাইনি৷ এমতাবস্থায়, এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলা যায় না৷ যে কোনো নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে তা সিদ্ধ হয় না৷’’
বিএনপির অভিযোগ
নির্বাচন চলাকালে দুপুরে বিএনপি অভিযোগ করেছে, পৌর নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোতে ধানের শীষের সমর্থক এমনকি প্রার্থীদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তারা গায়ের জোরে ভোটকেন্দ্র দখল করেছে৷ জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও তারা একই ধরনের কাজ করছে৷''
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিনেপি নেতা। বলেন, ‘‘ভোট কেন্দ্রের অবস্থা যে কী, তা আওয়ামী লীগের নেতারা কিছু কিছু মুখ খুলতে শুরু করেছে। আমি আর বলতে চাই না৷’’
জাতীয় নির্বাচনের মতো পৌরসভা নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ভোট কেন্দ্র দখল করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷
এফএস/এডিকে (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
বিভিন্ন দেশের নির্বাচনের মান কেমন?
২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৬৬ দেশে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের মান নিয়ে সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্ট’৷ ছবিঘরে থাকছে বিস্তারিত৷
ছবি: AFP/Getty Images
নির্বাচনি সততার ধারণা সূচক
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্ট’ ২০১৯ সালের মে মাসে ‘পারসেপশন অব ইলেক্টোরাল ইন্টেগ্রিটি’ বা নির্বাচনি সততার ধারণা সূচক প্রকাশ করেছে৷ এতে ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৬৬টি দেশে অনুষ্ঠিত ৩৩৭টি প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন কেমন হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়৷
ছবি: AFP/Getty Images
বিবেচনায় ১১ বিষয়
নির্বাচনি আইন, নির্বাচনের প্রক্রিয়া, আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার নিবন্ধন, দল নিবন্ধন, মিডিয়া কাভারেজ, প্রচারণার অর্থায়ন, ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া, ভোট গণনা, ফলাফল ও নির্বাচন কর্তৃপক্ষ- এই ১১টি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে৷
ছবি: ROBERTO SCHMIDT/AFP/Getty Images
একমাস পর
একটি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের এক মাস পর সেই দেশের বিশেষজ্ঞরা নির্বাচনের মান যাচাই করেন৷
ছবি: picture-alliance/abaca/A. Fazlagikj
সবচেয়ে ভালো নির্বাচন ডেনমার্কে
উপরে উল্লেখ করা ১১টি বিষয়ের নম্বর যোগ করে ০ থেকে ১০০-র মধ্যে স্কোর করা হয়৷ সবচেয়ে বেশি ৮৬ নম্বর পেয়ে ডেনমার্কের নির্বাচনের মান সবচেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Ritzau Scanpix/Uffe Weng
সবচেয়ে খারাপ চার দেশে
সিরিয়া, বুরুন্ডি, ইকুয়েটরিলায় গিনি ও ইথিওপিয়ার স্কোর সমান- ২৪৷
ছবি: picture-alliance /AP/Syrian Presidency
বাংলাদেশের অবস্থান
২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশে দুটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সূচকে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ৩৮ স্কোর করেছে৷ সে হিসেবে ১৬৬টি দেশের মধ্যে ২১টি দেশের চেয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনের মান ভালো৷ দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র আফগানিস্তানের (৩৪) চেয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনের মান ভালো৷ অন্যান্য দেশগুলোর স্কোর ভুটান (৬৬), ভারত (৫৯), নেপাল (৫৬), মালদ্বীপ (৫২), শ্রীলঙ্কা (৫২) ও পাকিস্তান (৪৭)৷
ছবি: Reuters
অন্যান্য
নির্বাচনি সততার ধারণা সূচকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দেশের অবস্থান- যুক্তরাষ্ট্র (৬১), জার্মানি (৮১) ও ব্রিটেন (৬৬)৷ সূচক নিয়ে পুরো রিপোর্ট পড়তে উপরে (+) চিহ্ন ক্লিক করুন৷