1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সঠিক, সুস্থ জীবনযাপন ব্যাহত করতে পারে উচ্চ রক্তচাপ

২০ নভেম্বর ২০১১

মহামারি আকারে যেন ছড়িয়ে পড়ছে উচ্চ রক্তচাপ৷ বর্তমানে সারা বিশ্বে কমপক্ষে ১৫০ কোটি মানুষ এ সমস্যায় ভুগছে৷ কিন্তু উচ্চ রক্তচাপের সেই অর্থে সংকটজনক কোনো লক্ষণ না থাকায় – একে গুরুত্ব দিচ্ছেন না অনেকেই! কী হচ্ছে তার ফল?

Patient is being observed by doctor - measuring blood pressure 1018693 Alx - Fotolia 2006
ফাইল ছবিছবি: Fotolia/Alx

উচ্চ রক্তচাপ কোনো রোগ নয়, বরং অন্য কিছু রোগের উপসর্গ মাত্র৷ তারপরও উচ্চ রক্তচাপ যদি কোনো ব্যক্তির শরীরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে, তবে তা হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ৷ জার্মানির ম্যুনস্টার হাসপাতালের অন্যতম হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হান্স-ইয়র্গ হিপ্পে জানান, ‘‘অন্যান্য রোগের মতো উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিশেষ কোনো অঙ্গে হয় না৷ অথচ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, হাইপারটেনসিভ এনসেফালোপ্যাথি, প্যারালাইসিস, হৃৎপিন্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক, করোনারি হার্ট ডিজিজ, রেনাল ফেইলর, চোখের রেটিনায় জটিলতা – এসব কিছুই উচ্চ রক্তচাপের কারণে হতে পারে৷'' মজার বিষয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ সমস্যাকে হাল্কাভাবে নেওয়ার কারণেই দেখা দেয় জটিলতা৷

এর কারণ, উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণগুলিকে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে খুব সাধারণ৷ এই যেমন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা বা দেখতে অসুবিধা হওয়া, রাতে ঘুমাতে না পারা, মেজাজ খারাপ থাকা৷

ডাক্তারদের পরিভাষায়, রক্তচাপ বা ‘ব্লাড প্রেশার' হচ্ছে রক্ত কর্তৃক ধমনির অর্থাৎ আর্টারির গায়ে প্রয়োগ করা চাপ৷ সহজ করে বলতে গেলে, শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার ওপরে অবস্থান করে, তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে৷ একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে যখন ‘সিস্টোলিক' রক্তচাপ ১৪০ মি.মি. পারদ চাপের ও ‘ডায়াস্টোলিক' রক্তচাপ ৯০ মি.মি. পারদ চাপের বেশি হয় – তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে চিহ্নিত করা হয়৷ সাধারণত, দুটি কারণে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে...

ছবি: AP

প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপ

উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৯০-৯৫ শতাংশ রোগীদের ক্ষেত্রে এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না৷ একে ‘প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপ' বলে৷ জেনেটিক কারণ অথবা পারিবারিক উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস, স্থূল ও মেদবহুল শরীর, ধূমপান, বেশি লবণ খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান করা এর কারণ হতে পারে৷

সেকেন্ডারি উচ্চ রক্তচাপ

অন্য কোনো রোগের উপস্থিতির কারণে এটা হয়ে থাকে৷ এর মধ্যে কিডনিজনিত রোগ, হরমোনগ্রন্থিজনিত রোগ, রক্তনালীর জন্মগত ত্রুটি, গর্ভধারণজনিত জটিলতা এবং দীর্ঘ দিন বিশেষ কোনো ওষুধ সেবন করা – যেমন লবণযুক্ত কোনো ওষুধ, জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি, স্টেরয়েড ইত্যাদি৷

জার্মান হার্ট ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র হ্যারিব্যার্ট ব্র্যুক বলেন, ‘‘সময় থাকতে এই সমস্যা ধরা গেলে এবং তা নিয়ন্ত্রণে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে, যে কোনো মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে সক্ষম হবেন৷ এমনকি সেক্ষেত্রে, ওষুধেরও কোনো প্রয়োজন পড়বে না৷'' তাই ব্র্যুক'এর কথায়, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধের উপায়গুলি হলো – ওজন কম রাখা, দিনে অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটা, খেলাধুলা, সাঁতার কাটা বা অন্য শারীরিক পরিশ্রমের অভ্যাস করা, ধুমপান থেকে বিরত থাকা, কাঁচা লবণ না খাওয়া এবং দুশ্চিন্তা পরিহার করা৷

অর্থাৎ, সুস্থ জীবনযাপনই উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধের মোক্ষম ওষুধ৷ অবশ্য তার জন্য সবচেয়ে আগে প্রয়োজন সচেতনতার৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ