1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বহিরাগতদের স্বর্গ জার্মানি?

২০ জুন ২০১৩

ওইসিডি-র সর্বাধুনিক জরিপ অনুযায়ী জার্মানি যেভাবে বিদেশি-বহিরাগতদের টানছে, শিল্পোন্নত দেশগুলির মধ্যে আর কোনো দেশ একেবারেই সেইভাবে টানছে না৷ কিন্তু অবাক করার বিষয়, তাদের মধ্যে অনেকেরই স্বপ্নভঙ্গ হতে খুব বেশি দেরি হচ্ছে না৷

ছবি: picture-alliance/dpa

ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংগঠন ওইসিডি গত সপ্তাহে বার্লিনে যে রিপোর্ট পেশ করে, তার বিষয়বস্তু হলো ২০১১ সালে জার্মানিতে বহিরাগতদের আগমন৷ দেখা যাচ্ছে, সেই অভিবাসন ২০১১ সালে ২০১০ সালের তুলনায় লক্ষণীয়ভাবে বাড়ে, বিশেষত দক্ষিণ ইউরোপের সংকটপীড়িত দেশগুলি থেকে৷ আবার এ-ও দেখা যাচ্ছে যে, হবু অভিবাসীদের অনেকেই স্বল্পসময়ের মধ্যেই জার্মানি থেকে বাস তুলে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন৷

কোনো দেশে উদ্বাস্তু-বহিরাগতদের স্রোত বহু উপাদানের উপর নির্ভর করে, যার মধ্যে দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান থেকে শুরু করে তার অভিবাসন সংক্রান্ত নিয়মাবলী, অনেক কিছু পড়ে৷ কাজেই অভিবাসনের ক্ষেত্রে ২০১১ সালে জার্মানি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ব্রিটেন ও ইটালির পরেই পঞ্চম স্থানে ছিল, তার কিছুটা টিকার প্রয়োজন৷

বহিরাগতদের স্বর্গ জার্মানি?ছবি: picture-alliance/dpa

সংকট ও সমৃদ্ধি

২০১১ সালে জার্মানিতে আসেন প্রায় তিন লাখ বহিরাগত৷ কিন্তু ইউরোপের সংকটপীড়িত দেশগুলি থেকে যে দু'লাখ পঁচাত্তর হাজার মানুষ অন্যত্র জীবিকার সন্ধানে যান, তাদের এক-তৃতীয়াংশ ব্রিটেনে যান বটে, কিন্তু তার পরেই জার্মানিতে আসেন মোট ৭৮ হাজার ভাগ্যসন্ধানী৷ এই সব মানুষেরা আসেন দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলি এবং সেই সঙ্গে আইসল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে৷

কার্য-কারণ

২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে গ্রিস ও স্পেন থেকে জার্মানিতে অভিবাসনের পরিমাণ বাড়ে যথাক্রমে ৭৩ শতাংশ এবং ৫০ শতাংশ৷ পর্তুগাল ও ইটালি থেকে জার্মানিতে অভিবাসন বাড়ে গড়ে ৩৫ শতাংশ৷ কিন্তু কাহিনির এখানেই শেষ নয়: ওইসিডি-র সমীক্ষা থেকে দেখা যাচ্ছে যে সংকটপীড়িত দেশগুলি থেকে আগত অনেকেই কিছুদিনের মধ্যেই আবার জার্মানি পরিত্যাগ করেন৷ বিগত কয়েক বছরে গ্রিকদের অর্ধেক এবং স্পেনীয়দের দুই-তৃতীয়াংশ এক বছরের বেশি জার্মানিতে টিঁকতে পারেননি৷

জার্মান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো লুকোছাপা করা হয়নি যে, তারা উচ্চশিক্ষিত, বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহিরাগতদের এদেশে আনতে ইচ্ছুক, এমনকি উদগ্রীব৷ তার একটা কারণ সম্ভবত এই যে, বহির্বিশ্বে জার্মান কনস্যুলেটগুলিতে অভিবাসন সংক্রান্ত কোনো বিশেষজ্ঞ নেই৷ অপরদিকে জার্মানিতে তাদের সুদূর ভবিষ্যতে অবসরভাতা বেশি হবে কি কম হবে, তা নিয়ে বহিরাগতরা সূচনায় স্বভাবতই চিন্তিত নন, যেমন তারা চিন্তিত তারা কম বেকার ভাতা পাবেন বলে৷ কিন্তু সেটাও তাদের পুনরায় জার্মানি পরিত্যাগ করার মূল কারণ নয় বলে ধরে নেওয়া যায়৷

আসলে আন্তঃ-ইউরোপীয় অভিবাসনকে শুধু দু'টি দেশের মধ্যে আর্থ-সামাজিক ফারাক দিয়েই নয়, সাংস্কৃতিক পার্থক্য দিয়েও বিচার করতে হবে৷ ইউরোপ অ্যামেরিকা নয়৷ ইউরোপ আজও জাতিভিত্তিক৷ এখানে প্রতিটি দেশের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনধারা আছে৷ একদিকে যেমন পাওয়ার মতো জীবিকা, নিরাপত্তা, অন্যদিকে তেমন হারানোর মতোও অনেক কিছু আছে৷ আর বার্লিন থেকে এথেন্স অথবা মাদ্রিদ তো খুব বেশি দূরে নয়!

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ