আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বেশি বাধ্যবাধকতা৷ গঠন হওয়ার তিন বছরের মাথায় একের পর এক সদস্য হারাচ্ছে ‘পার্টনারশিপ ফর সাস্টেইনেবল টেক্সটাইলস’৷ কিন্তু এখনও জোটের উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্যের সমর্থন করে যাচ্ছে জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রণালয়৷
বিজ্ঞাপন
নিহত ১,১৩৫ আহত ২,৪৩৮ – চার বছর আগে রানা প্লাজা ধসে এতটাই ভয়াবহ ছিল হতাহতের সংখ্যা৷ এই ঘটনাই জার্মানিতে পোশাক ব্যবসায়ীদের জোট ‘পার্টনারশিপ ফর সাস্টেইনেবল টেক্সটাইলস’ গঠনে মূল ভূমিকা রাখে৷ ২০০৪ সালে জার্মানির উন্নয়ন সাহায্য মন্ত্রী ড. গ্যার্ড ম্যুলারের (ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন-সিডিইএ) উদ্যোগেই এই জোট গঠিত হয়৷
ম্যুলার তখন বলেছিলেন, ‘‘যাঁদের মানবাধিকার পদদলিত হচ্ছে, তাঁদের তৈরি কাপড় আমরা পড়বো না৷’’ জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়েবসাইটে বলা আছে – উৎপাদন থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত বিশ্বের পোশাকশিল্পের উন্নয়ন৷
কিন্তু পার্টনারশিপ গঠন হওয়ার মাত্র তিন বছরের মাথায় মোহমুক্তি ঘটছে অনেক সদস্যের! শুরুতে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামাজিক ও পরিবেশগত কিছু বাধ্যবাধকতা মানতে বাধ্য করার কথা ভাবছিল সরকার৷ কিন্তু এখন উলটো সরকারই মানতে বাধ্য হয়েছে যে, অনেক বড় প্রতিষ্ঠানই নির্দেশ মেনে পরিচালিত হতে চায় না৷
গোসলের পোশাকে যত ফ্যাশন
কখনো এক কাপড়, কখনো দুটো, কখনো টাঙ্কিনি থেকে বুরকিনি–আরো কত কত অভিনব পোশাক৷ গোসলের পোশাকে নতুনত্ব সময়ে সময়ে দিয়েছে নতুন মাত্রা৷
ছবি: ullstein bild - Zander & Labisch
গোসলের পোশাকের ধারা
অষ্টাদশ শতাব্দীতে নারী ও পুরুষদের জন্য গোসলের পৃথক পোশাক প্রথম দেখা যায়৷ পাতলা উল এবং কটনের কাপড়ে তৈরি পোশাক পরে মানুষ গোসল করতো৷ সেই পোশাকের পানি শোষণের ক্ষমতা ছিল অনেক৷ ওই সময় নারী ও পুরুষের পোশাকে যেমন ভিন্নতা ছিল, তেমনি গোসলের জন্য জায়গাও আলাদা ছিল৷
ছবি: picture alliance/IMAGNO
অগ্রগতি
বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পর্যটনের প্রসার শুরু হলে সাগরে সাঁতার ট্রিপ শুরু হয়৷ মৌসুমের শুরুতে সাগর থাকতো উন্মুক্ত৷ এ সময় সাঁতারের পোশাক কিছুটা টানটান হতে শুরু করে৷ ইলাস্টিকের পাতলা কাপড়ের প্রচলন শুরু হয়৷ রোদ থেকে বাঁচতে এখনকার হ্যাটের মতো ক্যাপের ব্যবহার শুরু হয়৷
ছবি: ullstein bild - Zander & Labisch
আধুনিকতা
বিংশ শতাব্দীতে এসে শেষ পর্যন্ত আধুনিকতায় প্রবেশ করে সাঁতারের পোশাক৷ ছোট বেল্ট, সোনালি বোতাম এই ধারার পোশাকে নারীসুলভ ভাব নিয়ে আসে৷ এ সময় সাঁতারের পোশাক ছোট হয়ে যায়৷ তখন প্লাস সাইজের পোশাক পাওয়া যেত না৷
ছবি: Getty Images
বিকিনির আত্মপ্রকাশ
কেবল চারটা ছোট ত্রিভুজে নতুন এক পোশাক আসে, যা বিস্ময়ের সাথে প্রত্যক্ষ করে বিশ্ব৷ এর নাম বিকিনি৷ ১৯৪৬ সালের ৫ জুলাই নৃত্যশিল্পী মিশেলিন বার্নারডিনি এই পোশাকে প্যারিসিয়ান পুলে ক্যামেরার সামনে আসেন৷ লুই রেয়ার্ড এর ডিজাইন করেন৷ তিনিও হয়ত জানতেন না যে, এটা নারীদের গোসলের পোশাকের স্টাইল চিরদিনের জন্য বদলে দেবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
একদিনে বদলে গেল দুনিয়া
অলিম্পিক সাঁতারু এস্থার উইলিয়ামস একটা ওয়াটার শো-তে অংশ নিতে গিয়ে হলিউডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অলিম্পিকে অংশ নিতে পারেননি৷ এটা তাঁকে আয়ের একটা পথ করে দেয়৷ ওই সময় তিনি ‘নেপচুন’স ডটার’ নামে একটা সিনেমায় অভিনয় করেন, যা ১৯৪৯ সালে মুক্তি পায়৷ এতে তিনি আকর্ষণীয় গোসল-সৌন্দর্য্যের জন্য তারকাখ্যাতি পান৷ তা পরে তাকে হলিউডের অন্যতম ধনী নারীতে পরিণত করে৷
ছবি: picture alliance/United Archives/IFTN
সাঁতারের পোশাকে সুন্দরী প্রতিযোগিতা
১৯৫০-এর দশকে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বেশ মডেস্ট একটা ভাব ছিল৷ হাই হিল জুতা পরা এই প্রতিযোগীদের সাঁতারের পোশাকে আসতে উৎসাহ দেয়া হতো৷ মিস জার্মানি পেট্রা শুরমান (বাম থেকে সপ্তম) ১৯৫৬ সালে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জ্যামিতিক প্রভাব
পপ আর্ট দৃশ্যপটে আসার পর জ্যামিতিক ধরণ ফ্যাশন জগতে প্রবেশ করতে শুরু করে৷ এটা ১৯৬০’র দশকের অন্যতম প্রধান স্টাইলে পরিণত হয়৷
ছবি: picture-alliance/H. Flesch
অগ্রাধিকারে মাথা
১৯৬০’র দশকে নারীদের সাঁতারের পোশাকে অগ্রাধিকারে থাকতো মাথা-ঢাকা৷ যেমনটা করেছিলেন ইটালিয়ান অভিনেত্রী জিনা লোলোব্রিজিডা৷
ছবি: picture alliance/United Archives/IFTN
সাঁতার পোশাক নিয়ে টিভি সিরিজ
আমেরিকান টিভি সিরিজ ‘বে-ওয়াচ’ লেখা হয়েছে সাঁতার পোশাকের ইতিহাস নিয়ে৷ এই সিরিজের তরুণীদের পরা পোশাক ৯০ দশকের প্রথমদিকে রাজত্ব করেছে৷
ছবি: Getty Images
দ্য বন্ড গার্লস
১৯৬২ সালে যখন উরসুলা অ্যান্ড্রেস সাগর থেকে ওঠেন, তখন তাঁর গায়ে ছিল দুটো আঁটোসাটো পোশাক৷ ওই সময় সিনেমামুখী ইহুদিরা একে বর্জন করেছিল৷ ৪০ বছর পর হালে বেরি একই পোশাক পরে পানি থেকে বের হয়ে আসেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/UPI/Fox
আদর্শ সীমারেখার সন্ধানে
সাঁতারের পোশাক ডিজাইনারদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, কত বেশি উপকরণ দিলে সেটা অতিরিক্ত হয়ে যাবে? বিকিনি এবং সাঁতার পোশাকের পার্থক্য সুনির্দিষ্ট করে বলাও কঠিন৷ ২০১১ সালে মিয়ামিতে ফ্যাশন সপ্তাহে এই পোশাক উপস্থাপন করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G.I. Rothstein
বুরকিনি কেবল মুসলিমদের জন্য নয়
এই ছবিটা অস্ট্রেলিয়ার সৈকত থেকে নেয়া হয়েছে৷ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে অনেক মানুষই গোসলের সময় রোদে পুড়তে চান না৷ সে কারণে মুসলিম এবং ভিন্নধর্মীরা সূর্য রশ্মি থেকে তাদের ত্বক বাঁচিয়ে চলেন৷ অন্যদিকে ফরাসি রিভিয়েরা এবং জার্মানির অনেক জায়গাতেও বুরকিনির অনুমোদন নেই৷ বুরকিনিতে নিষেধাজ্ঞা খুবই বিতর্কিত৷
ছবি: Privat
12 ছবি1 | 12
ফলশ্রুতিতে গঠিত হয় এই জোট৷ সেখানে নিজেদের নেয়া ব্যবস্থার একটি তালিকা নিয়মিত উপস্থাপনের কথাও বলা হয়৷ এর উদ্দেশ্য ছিল যেসব দেশে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য প্রস্তুত হচ্ছে, সেসব দেশের কর্মপরিবেশের উন্নতি করা৷
প্রত্যাহারে দুর্বল জোট
২০১৬ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করা কিছু জার্মান প্রতিষ্ঠান কিছু বিষয়ে একমত হয়৷ জোটের পরিচালনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৭ সালের মার্চের মধ্যে নিজেদের নেয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রোডম্যাপ দিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে৷ কিন্তু এই পরিকল্পনা অনুযায়ী না চলায় ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করা হয় জোট থেকে৷
জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসাদের মধ্যে ইউরোপের সুপারমার্কেট চেইন রেয়াল এবং ঐতিহ্যবাহী জার্মান পোশাক প্রস্তুতকারক ট্রিগেমাও ছিল৷ ২০১৭ সালের শুরুতে জোটের সদস্য ছিলো ১৯৮ সদস্য, যার মধ্যে ছিলো অ্যাডিডাস ও গ্যারি ওয়েবারের মতো জায়ান্ট কোম্পানিও৷ এখন জোটের সদস্য সংখ্যা ১৪৮৷
‘‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা’’, বলছিলেন জোটের সদস্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইনকোটার বার্নড্ট হিনৎসমান৷ ‘‘এই ধরনের জোটের মূল শক্তি বাজারে তার বিশাল ব্যাপ্তি৷ এর ফলে এই জোট ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া বা বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারতো৷ যারা জোট থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে, তাদের নিজেদের জিজ্ঞেস করা উচিত যে, তাদের সদস্যপদ কি মুখের কথা ছাড়া আর কিছুই না!’’
তারকাদের কারণে জনপ্রিয় ‘ছোট কালো পোশাক’
সন্ধ্যায় ও ককটেল পার্টিতে পরার পোশাক হিসেবে গত শতকের বিশের দশকে ‘লিটল ব্ল্যাক ড্রেস’ বা ছোট কালো পোশাকের আবির্ভাব হয়৷ পরে তারকারা একে জনপ্রিয় করে তোলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ADAGP Paris 200/Man Ray Trust
ইতিহাসের কথা
ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার ও ব্যবসায়ী কোকো শ্যানেল (ছবিতে যাঁকে দেখতে পাচ্ছেন) ১৯২৬ সালে ‘ভোগ’ পত্রিকার জন্য একটি ছবি তুলেছিলেন৷ সেখানে তিনি কালো রংয়ের হাঁটু পর্যন্ত লম্বা আঁটসাঁট একটি পোশাক পরেছিলেন৷ প্রথমে পাঠকরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিল না, কারণ তখনো মনে করা হতো, কালো পোশাক পরবে শুধু বিধবারা৷ উপরের ছবিটি অবশ্য ১৯৩৫ সালের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ADAGP Paris 200/Man Ray Trust
মেরিলিন মনরোও পরেছেন
শুরুর দিকে লিটল ব্ল্যাক ড্রেসকে অশ্লীল ও যৌন উত্তেজক মনে করা হতো৷ তাই পোশাকটি ততটা জনপ্রিয়তা পায়নি৷ কিন্তু এই বিষয়টি মেরিলিন মনরোকে এই পোশাক পরা থেকে বিরত রাখতে পারেনি৷ তিনি মুভিতে এবং বাস্তব জীবনে বিভিন্ন সময় এই পোশাক পরেছেন৷ ‘লিটল ব্ল্যাক ড্রেস’ পরা তাঁর উপরের ছবিটি ১৯৫৬ সালে তোলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/UPI
মনোযোগ সরাতে
ফরাসি শাঁসো সংগীত শিল্পী এডিথ পিয়াফ তাঁর ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রায়ই কালো পোশাক পরতেন৷ সেসময় তিনি বলতেন, তাঁর শুধু ঐ একটিই পোশাক আছে, আরেকটি কেনার পয়সাও তাঁর নেই৷ তবে অন্যরা মনে করতেন, এই পোশাক পরে পিয়াফ আসলে দর্শক শ্রোতাদের মনোযোগ তাঁর পারফরম্যান্সের দিকে নিয়ে যান৷
ছবি: Getty Images/Keystone/Hulton Archive
সুইমিং স্যুট
এই দৃশ্যটি কি চেনা লাগছে? ১৯৬০ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ‘লা ডলচে ভিটা’ মুভিতে আনিতা একব্যার্গকে রোমের বিখ্যাত ট্রেভি ঝর্ণায় দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
অবশেষে
গত শতকের ২০-এর দশকে আবির্ভাব হলেও ছোট কালো পোশাক যেন মানুষের মনে প্রবেশ করতে পারছিল না৷ তবে সেই বাধা দূর করেন অড্রে হেপবার্ন৷ উপরে যে ছবিটি দেখছেন সেটি ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানি’স’ মুভির একটি দৃশ্য৷ ঐ চলচ্চিত্রে হেপবার্নের কালো পোশাক পরে জমকালো ও রুচিশীল আবির্ভাব এই পোশাককে যেন মানুষের অন্তরে ঢুকিয়ে দিয়েছিল৷
ছবি: Getty Images/Keystone Features
প্রতিশোধ পোশাক!
ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস যেদিন ক্যামেলিয়া পার্কারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন সেদিন এক অনুষ্ঠানে এভাবেই উপস্থিত হয়েছিলেন ডায়ানা৷ এরপর থেকে ইতিহাসে পোশাকটি ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছে৷ পরদিন পত্রিকার প্রথম পাতায় ডায়ানার এই পোশাক নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল৷ আর চার্লস-ক্যামেলিয়ার সংবাদ চলে গিয়েছিল দ্বিতীয় পাতায়৷
ছবি: picture-alliance/empics/M. Keene
বয়স ৬৫, তাতে কী!
২০০৫ সালে কোপেনহেগেনে এক কনসার্টে এভাবেই উপস্থিত হয়েছিলেন পপ তারকা টিনা টার্নার৷ তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৫৷ কিন্তু তখনও কেমন ‘সেক্সি’ ছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Navntoft
বর্তমান হালচাল
কালো পোশাকের চল এখন ভালোই আছে৷ তাইতো গতমাসে শেষ হয়ে যাওয়া নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে একজন মডেল এই পোশাক পরে হাজির হয়েছিলেন৷
ছবি: Getty Images for New York Fashion Week: The Shows/N. Barnard
8 ছবি1 | 8
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা
ট্রিগেমার মালিক ও প্রধান নির্বাহী ভোল্ফগাং গ্রুপ অবশ্য এমন অভিযোগ মানতে নারাজ৷ ‘‘আমাকে একটা রোডম্যাপের খসড়া করতে বলা হয়েছিল যেখানে আমাকে বলতে হবে আমি শিশুশ্রম ব্যবহার করছি না এবং আমি জার্মানির সামাজিক আইন মেনে চলছি৷ আমার প্রতিষ্ঠান শুধু জার্মানিতেই উৎপাদন করে, ফলে আমার কাছে এই ধরনের প্রস্তাব অযৌক্তিক মনে হয়েছিল৷ এ কারণে দুই মাস আগে আমি নিজের নাম প্রত্যাহার করি৷’’
ট্রিগেমার তুলা ও সুতা আসে তুরস্ক ও গ্রিস থেকে৷ কিন্তু সেখানকার উৎপাদকরা পারিবারিক ব্যবসা চালান এবং নিয়মিত পরিদর্শনও হয়ে থাকে বলে দাবি গ্রুপের৷ বড় বড় প্রতিষ্ঠান নিজেদের জোট থেকে সরিয়ে নেয়ায় কঠোর নিয়মের কারণে ছোট প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ তার৷
বিপদে ছোট প্রতিষ্ঠান
বর্তমানে জোটের সদস্যদের দখলে আছে জার্মান পোশাক বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ৷ এই অবস্থায় যত বেশি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জোটে যোগ দেবে, সরবরাহকারী দেশগুলোর ওপর তত বেশি চাপ প্রয়োগ করা যাবে৷ কিন্তু প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার ভয়ে অনেক ছোট প্রতিষ্ঠানই জোটে আসছে না৷
খেলনা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সভ্যারগেনগ্র্যুন বলছে তারা জোটে থাকতে চাইলেও জোটের সব নীতিমালা মেনে চলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷ পোশাকশিল্পে আন্তর্জাতিক জায়ান্ট এইচ অ্যান্ড এম অবশ্য এখনও এই জোটের সদস্য৷
সরকার অবশ্য আশা করছে, জোট থেকে যারা চলে গেছে, তাদেরও পরবর্তী কোনো একটা সময়ে আবার ফিরিয়ে আনা যাবে৷