1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবা হলেন আসামী

ডাগমার ব্রাইটেনবাখ/এসিবি২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

নিজের তিনটি সন্তানকে ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি৷ সন্তানরা প্রাণে বেঁচেছে৷ তবে তাকে দাঁড়াতে হয়েছে কাঠগড়ায়৷ ছুড়ে ফেলে নিজের সন্তানদের জীবন বিপন্ন করার অভিযোগে এক সিরীয় শরণার্থীর বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে বন আদালতে৷

Bonn Prozess gegen syrischen Flüchtling Gerichtssaal
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Kaiser

অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১৪ সালে সিরিয়া থেকে তুরস্ক, বুলগেরিয়া এবং ফ্রান্স হয়ে সপরিবারে জার্মানিতে প্রবেশ করেন৷ তখন তার সঙ্গে ছিল স্ত্রী আর দুই সন্তান৷ জার্মানিতে আসার পর ওই দম্পতির আরেক সন্তান হয়৷ গত ফেব্রুয়ারিতে বন শহরের কাছের লোমার এলাকার এক শরণার্থী আশ্রয় শিবিরের দোতলা থেকে এক এক করে তিন সন্তানকেই ছুড়ে ফেলেছিলেন তিনি৷ সাত বছর ও পাঁচ বছর বয়সি দুই ছেলের মাথা ফেটে যায়৷ শরীরের কয়েকটি হাড়ও ভেঙেছিল তাদের৷ এক বছর বয়সি ছেলেটি সৌভাগ্যক্রমে বড় দুই ভাইয়ের ওপরেই পড়েছিল৷ তাই এখানে-ওখানে একটু কেটে যাওয়া ছাড়া ওর আর বড় কিছু হয়নি৷ সন্তানদের ছুড়ে ফেলে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে বন শহরের আদালতে মামলা করেছিলেন সিরীয় ওই শরণার্থীর স্ত্রী৷ মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার প্রথম শুনানির দিন৷

লোমারের এই বাড়িতে পরিবারটি এখন আর থাকেনাছবি: picture-alliance/dpa/J. Kleinert

শুনানির সময় গায়ের নীল জামা তুলে মুখ ঢেকে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি৷ তার আইনজীবী মার্টিন ক্রেটশনার জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল এখন কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত৷ আইনজীবী আরো জানান, স্ত্রীকে ‘শিক্ষা' দেয়ার জন্যই সেদিন তাঁর মক্কেল সন্তানদের ছুড়ে মেরেছিল৷

আসামীপক্ষের আইনজীবী ক্রেটশনার আরো জানান, তিন সন্তানের জননী জার্মানিতে এসে সিরিয়ার মতো সবকিছু মেনে নিতে চাননি বলেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত৷

৩৬ বছর বয়সি সিরীয় ওই শরণার্থী এর আগেও আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন৷ একবার স্ত্রীকে সসপ্যান দিয়ে পেটানোর অভিযোগে আদালত তাকে ১০ দিন পরিবার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্তু সেবার কয়েকদিন পর স্ত্রী-ই তাকে ফিরিয়ে নেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ