1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবিবাহিত মা

১২ জুলাই ২০১৫

মামলা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অবধি উঠেছিল৷ পাঁচ বছরের ছেলেটির বাবা অপর এক মহিলার সঙ্গে বিবাহিত৷ প্রশ্ন ছিল: বাবার জ্ঞান ও অনুমতি ছাড়া মা সন্তানের অভিভাবকত্ব পেতে পারেন কিনা৷

Symbolbild Indien Alleinerziehende Mutter
ছবি: picture alliance/NurPhoto/R. Shukla

মহিলা খ্রিষ্টান, অবিবাহিত এবং একটি পাঁচ বছরের সন্তানের মা৷ তিনি চেয়েছিলেন, তাঁর ছেলেকে তাঁর যাবতীয় বিনিয়োগের একমাত্র উত্তরাধিকারী করতে – এবং সেই কারণে প্রথমে গার্ডিয়ান কোর্টে এবং পরে হাইকোর্টে সন্তানের একক ‘কাস্টডি' বা রক্ষণাবেক্ষণের আবেদন করেছিলেন৷ এমনকি ছেলেটির বাস্তবিক পিতার নাম প্রকাশেও তাঁর আপত্তি ছিল৷

উভয় আদালতে তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পর মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে৷ সেখানে দুই বিচারক, বিক্রমজিৎ সেন এবং অভয় মনোহর সাপ্রু-র বেঞ্চ রায় দিয়েছেন যে, সন্তানের পিতাকে কোনোরকম নোটিস ছাড়াই মাকে অভিভাবক বলে ঘোষণা করা চলতে পারে৷ বিচারকরা বলেছেন, তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিভাবকত্ব আইন বিবেচনা করে ‘‘একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের কল্যাণ''-কে একজন ‘‘উদাসীন পিতা''-র অধিকারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন৷ সবচেয়ে বড় কথা, সুপ্রিম কোর্ট ‘‘একক জননী অথবা অবিবাহিত মা''-কে শুধুমাত্র ‘এফিডেভিট'-এর ভিত্তিতে তাঁর সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষদের৷

‘‘আজকের সমাজে, যেখানে ক্রমেই আরো বেশি মহিলা তাদের সন্তানদের একাই মানুষ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তেমন একটি সমাজে আমরা একটি কর্মক্ষম পারিবারিক নিউক্লিয়াসের উপর একজন অনিচ্ছুক ও উদাসীন পিতাকে চাপিয়ে দেওয়ার কোনো অর্থ দেখি না'' – বলেছেন দুই বিচারকের বেঞ্চ৷ তবে শিশুটির তার নিজের জনকের নাম ও পরিচয় জানার অধিকারকে পূর্ণ স্বীকৃতি দিয়েছেন আদালত: মার কাছ থেকে বাবার নামধাম জেনে তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, যা-তে প্রয়োজনে শিলমোহর করা খুলে খামটি থেকে সে' তথ্য উদ্ধার করা যায়৷

ভারতের নারী অধিকারকর্মীরা স্বভাবতই সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে উৎফুল্ল৷ নিজে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং নারী অধিকার আন্দোলনকারী করুণা নন্দী আদালতের রায়ের পর একটি টুইটে বলেছেন: ‘‘দারুণ! অভিভাবকত্ব আইনকে স্ত্রী-পুরুষের সমানাধিকারের অনুবর্তী করার সময় এসেছিল৷''

এসি/ডিজি (পিটিআই, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ