1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবার অসহায়ত্ব!

৩০ জুন ২০১৩

লক্ষ্য স্থির করার একটা সমস্যা আছে৷ কারণ তা পূরণ করতে গিয়ে জলাঞ্জলি দিতে হয় অনেক সুখ, অনেক সখ-আহ্লাদ৷ গেন্নাদি গলফকিনেরও সেই অবস্থা৷ আজ নামবেন মিডল ওয়েট বক্সিংয়ে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার লড়াইয়ে৷ অথচ মন কাঁদছে সন্তানের জন্য!

বক্সিংয়ে মিডল ওয়েট ক্যাটাগরির ডাব্লিউবিএ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গলফকিন শুধু নিজের ওজন শ্রেণিতে সেরা হয়েই সন্তুষ্ট নন৷
ছবি: picture-alliance/dpa

বক্সিংয়ে মিডল ওয়েট ক্যাটাগরির ডাব্লিউবিএ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গলফকিন শুধু নিজের ওজন শ্রেণিতে সেরা হয়েই সন্তুষ্ট নন৷ সবাই একদিন তাঁকে সব ওজন শ্রেণির সেরাদের সেরা মানবেন এ আশায় পরিবার ছেড়ে বলতে গেলে সারা বছরই পড়ে থাকেন বিদেশে, দিনের খুব বড় একটা সময় কাটিয়ে দেন বক্সিং রিংয়ে৷ তাই চার বছরের ছেলে ভাদিম থাকে জার্মানির স্টুটগার্টের বাড়িতে, বাবা তাকে দেখতে অস্থির, কিন্তু দেখা খুব একটা হয় না, মাঝে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বক্সিং৷ শনিবার গেন্নাদি গলফকিন হবেন ম্যাকলিনের মুখোমুখি৷ ম্যাচে গলফকিনেরই জেতার কথা৷ ক্যারিয়ারে ২৬টি লড়াইয়ের সবগুলোই জিতেছেন কাজাখস্তানের এই বক্সার৷ ২৬টির মধ্যে ২৩টিই নক আউট!

গেন্নাদি গলফকিনছবি: picture-alliance/dpa

এমন বক্সারের ক্ষমতা নিয়ে কারো মনে সংশয় থাকার কথা নয়৷ তবে সমালোচনা আছে৷ পৃথিবীর সব বিখ্যাত বক্সার যেখানে ক্লান্তি এড়াতে, শক্ত প্রতিপক্ষের জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে বছরে দু'বারের বেশি রিংয়েই নামেন না, গলফকিন সেখানে পাঁচ-ছয়বারও দাঁড়িয়ে যান প্রতিপক্ষের সামনে৷ ছোট-বড় কোনো প্রতিপক্ষকেই এড়ানোর সামান্যতম ইচ্ছা নেই৷ ডাক পেলে ক্যাসিনোতে গিয়েও শুরু করেন বক্সিং৷ গত মার্চে মন্টে কার্লোর এক ক্যাসিনোতে নেমেছিলেন এমনই এক লড়াইয়ে৷ জাপানের নবুহিরো ইসিতা একটু পরেই হয়ে গেলেন নকআউট৷ বিজয়োল্লাস করছেন গলফকিন৷ হঠাৎ দেখেন মোনাকোর প্রিন্স অ্যালবারট উঠে আসছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে! এমন সৌভাগ্য সব বক্সারের কি হয়?

এভাবে অকস্মাৎ বিশ্বের বিখ্যাত, সম্মানিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়া, দু'হাতে টাকা কামানো – সবই হচ্ছে, কিন্তু ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুব একটা পাচ্ছেন না ৩১ বছর বয়সি এই বক্সার৷ এ নিয়ে আফসোসেরও শেষ নেই৷ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় যখন শনিবারের লড়াইয়ের জন্য নিজেকে শানিয়ে নিতে ব্যস্ত, তাঁর প্রশিক্ষক আবেল সানচেজ তখন জানালেন বাবা হিসেবে গলফকিনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপের কথা, ‘‘ক্যারিয়ারে ওর সবচেয়ে খারাপ দিক হলো বাবা হিসেবে ছেলেকে প্রয়োজন এবং ইচ্ছে অনুযায়ী সময় দিতে না পারা৷ আমরা অনেক চেষ্টা করেও সেরকম সময় বের করতে পারছিনা৷ ও অবশ্য জানে, যে লক্ষ্য স্থির করেছে সেটা অর্জন করতে গেলে এমন ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে৷''

এসিবি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ