1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্তান ‘হত্যার’ দায়ে বাবা-মায়ের কারাদণ্ড

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

১৩ বছরের মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নেয়া জরুরি ছিল৷ ‘ঈশ্বর সুস্থ করে দেবেন’ ভেবে বাবা-মা তাকে ঘরেই রেখে দেন৷ মেয়েটি বাঁচতে পারেনি৷ ‘অবহেলা করে হত্যা’র অভিযোগে ধার্মিক বাবা-মা-কে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অস্ট্রিয়ার আদালত৷

Österreich Prozess wegen Mordes durch Unterlassung gegen Eltern einer 13-Jährigen
ছবি: picture-alliance/Apa/H. Pfarrhofer

উজবেকিস্তানে জন্ম নেয়া ৩৯ বছর বয়সি এক জার্মান এবং তার ৩৫ বছর বয়সি জার্মান স্ত্রীর আট সন্তান৷ সন্তানদের নিয়ে আট বছর আগে তারা জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়ায় চলে যান৷ জানা গেছে, সন্তানদের স্কুলে না পাঠিয়ে ঘরে লেখাপড়া করাতে চান বলে অস্ট্রিয়ায় বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি৷

জার্মানিতে শিশুদের স্কুলে লেখাপড়া করা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু অস্ট্রিয়ায় বাবা-মা চাইলে সন্তানদের বাড়িতেও লেখাপড়া করাতে পারেন৷

অগ্নাশয়ের জটিল রোগে মারা যাওয়া মেয়েটি প্রথম অসুস্থ হয়েছিল ২০১৭ সালে৷ চিকিৎসা না করানোয় রোগ সারছিল না৷মেয়েটির আত্মীয়রা বিষয়টি তখন স্থানীয় শিশু সুরক্ষা সংস্থাকে জানান৷ কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বললে জার্মান দম্পতি আশ্বাস দেন শিগগিরই তারা তা করবেন৷ কিন্তু তারপর দুই বছর পার হলেও মেয়েটিকে ডাক্তার দেখানো হয়নি৷

২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মেয়েটির পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়৷বাবা-মা ভেবেছিলেন প্রথম ঋতুস্রাবের ব্যথা৷ এক পর্যায়েই মারা যায় মেয়েটি৷

বুধবার সন্তানকে ‘অবহেলা করে হত্যার’ অভিযোগে জার্মান দম্পতিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে অস্ট্রিয়ার ক্রেমস আন ডেয়ার ডোনাউ-এর আদালত৷

মামলার শুনানির সময় মেয়েটির বাবা দাবি করেন, মৃত্যুর আগে মেয়েকে তারা ডাক্তারের কাছে নিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু মেয়ে রাজি না হওয়ায় তিনি তার সুস্থতা কামনা করে উপবাস করেন৷ আদালতকে তিনি বলেন, ‘‘আমি ওর সঙ্গে কথা বলেছি, ওর মাথায় হাত বুলিয়েছি, পানি পান করতে দিয়েছি৷ আমার বিশ্বাস ছিল ঈশ্বর ওকে সুস্থ করে দেবেন৷’’   

ডেভিস ফনওড্রপ/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ