1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জিম্মিসংকট

১৮ জানুয়ারি ২০১৩

আলজেরিয়ায় এখনও অন্তত ২২ জন বিদেশিকে জিম্মি করে রেখেছে ইসলামি উগ্রপন্থীরা৷ ঘটনা এক দেশে, কিন্তু প্রতিক্রিয়া এশিয়া আর ইউরোপের অনেকগুলো দেশেই৷ যুক্তারাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সন্ত্রাসবাদীদের ঠাঁই নেই কোথাও৷

A member of the Algerian special forces, also known as the kouksoul, attends a training in Biskra, south of Algiers in this June 28, 2007 file photo. At least 22 foreign hostages were unaccounted for on January 18, 2013 and their al-Qaeda-linked captors threatened to attack other energy installations after Algerian forces stormed a desert gas complex to free hundreds of captives, resulting in dozens of deaths. With Western leaders clamouring for details of the assault they said Algeria had launched on Thursday without consulting them, a local source said the gas base was still surrounded by Algerian special forces and some hostages remained inside. REUTERS/ Louafi Larbi/Files (ALGERIA - Tags: POLITICS MILITARY CIVIL UNREST)
ছবি: Reuters

আলজেরিয়ার গ্যাস খনিতে একটি ইসলামি উগ্রবাদী গোষ্ঠী যাঁদের জিম্মি করেছিল, অর্থাৎ এখনও যাঁরা আটক আছেন, তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেউ আছেন কিনা জানা যায়নি৷ তবে এরই মাঝে জানা গেছে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের কথা৷ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেটা লন্ডনের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেছেন, সস্ত্রাসবাদীদের শুধু আলজেরিয়া নয়, উত্তর আফ্রিকা বা অন্য কোনো জায়গাতেও আশ্রয় নেই৷

সেনাবাহিনীল সতর্ক অবস্থানছবি: Reuters

মালিতে আটক ইসলামি জঙ্গিদের ছেড়ে দেয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকার সে দেশ থেকে ফরাসি সৈন্যদের ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার আলজেরিয়ার এক গ্যাস খনিতে শতাধিক লোককে জিম্মি করে আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতি একটি ইসলামি উগ্রপন্থী সংগঠন৷ তবে তাদের কোনো দাবিই মানা হয়নি৷ আলজেরিয়ার সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবারই হামলা শুরু করে৷ তাতে কয়েকটি পশ্চিমা দেশের বেশ কয়েকজন নাগরিকসহ ৩০ জন জিম্মি এবং কমপক্ষে ১১ জন উগ্রপন্থী মারা যায়৷ নিহতদের মধ্যে আট আলজেরীয়ও রয়েছেন৷ হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না৷

জিম্মিদের মধ্যে কেউ কেউ পালিয়েও এসেছেন৷ আয়ারল্যান্ডের এক প্রকৌশলী পালিয়ে এসে জানান, আলজেরীয় সেনাবাহিনী দুটো জিপ উড়িয়ে দিয়েছে – এ দৃশ্য তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন৷ জিপে জিম্মিদের বসিয়ে তাঁদের পাহারা দিচ্ছিল সশস্ত্র উগ্রপন্থীরা৷

এই গ্যাস খনিতে চলছে জিম্মিনাটকছবি: Reuters

আলজেরিয়ার এ ঘটনায় ফ্রান্স, ব্রিটেন, জাপানসহ অনেকগুলো দেশই উৎকণ্ঠিত৷ অনেক জিম্মির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না৷ জিম্মিরা যে সব দেশের নাগরিক সেই দেশগুলো বলছে, আলজেরীয় সরকার জঙ্গিদের ওপর হামলা চালানোর আগে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি৷ জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আলজেরিয়ার সরকার যা করেছে তা খুব দুঃখজনক৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর শুরু করেছিলেন তিনি৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফর করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী আবের৷ কিন্তু সব সফর বাতিল করে তিনি দেশে ফিরছেন৷

এদিকে, আলজেরীয় সরকার জানিয়েছে, জঙ্গিদের ব্যাপারে অতীতের মতোই কঠোর তারা, জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা, কোনো আপোশ সম্ভব নয়৷ সমঝোতার কোনো চেষ্টা না করার কারণও জানানো হয়েছে৷ আলজেরিয়া সরকার জানিয়েছে, উগ্রপন্থীরা জিম্মিদের নিয়ে অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়ার পর আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিল৷ কিন্তু সেটা মেনে নেয়া সম্ভব নয় বলেই হামলা চালানো হয়৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ