1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ম্যার্কেল-এর্দোয়ান

১২ ডিসেম্বর ২০১৬

ইস্তানবুলে বোমা হামলায় ৩৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও অন্যান্য জার্মান নেতারা ক্ষোভ, নিন্দা ও সমবেদনা জানিয়েছেন৷ ওদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং ম্যার্কেলের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে বলে খবর৷

ম্যার্কেল ও এর্দোয়ান
ছবি: picture alliance/AA/M. A. Ozcan

ম্যার্কেল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানকে তাঁর পক্ষ থেকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন৷ যাঁরা নিহত হয়েছেন তাঁদের স্বজনদের প্রতি শোকবার্তা পৌঁছে দেয়ারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি৷ বলেছেন তিনি তাঁদের প্রতি সমব্যথী, কেননা তাঁরা আপনজন হারিয়েছেন৷ এছাড়া আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷ ম্যার্কেলের মুখপাত্র উলরিকে ডেমের গণমাধ্যমকে এ কথা জানান৷ তিনি আরো জানান, ম্যার্কেল বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ রুখতে আরও শক্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার৷ ম্যার্কেল এবং এর্দোয়ান সন্ত্রাসবাদ দমনে একে অপরকে সহযোগিতা করার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন বলে জানান ডেমের৷

 

জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউক তুরস্কের এই ঘটনায় ব্যথিত হয়েছেন এবং তিনিও নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ‘‘আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, এই ঘটনায় আমরা সমব্যথী৷''

এদিকে শনিবারের জোড়া বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে কুর্দি গেরিলা দল পিকেকে-র শাখা কুর্দিস্তান ফ্রিডম হাওকস বা টিএকে৷ ঐ হামলায় ৩৮ জন নিহত ও ১৫৫ জন আহত হয়েছে৷ পিকেকে-র সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে কুর্দি সমর্থিত পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এইচডিপি-এর ১১৮ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ৷ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার জানিয়েছে, দলটির সদস্যদের খোঁজে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে৷ তুরস্কের ৫টি প্রদেশে ভোরবেলা অভিযান চালিয়ে এই ব্যক্তিদের আটক করা হয়৷

জার্মানি ও তুরস্কে সন্ত্রাসবাদ

জার্মানি ও তুরস্ক দুই দেশেই ২০১৬ তে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ তুরস্ক ইসলামি ও কুর্দি গেরিলাদের হামলার শিকার হয়েছে৷ অন্যদিকে, জুলাইতে জার্মানিতে দু'টি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ একটি সফল হলেও নিরাপত্তাবাহিনীর দক্ষতার কারণে অন্যটি ব্যর্থ হয়েছে৷ দু'টি হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট৷

এর্দোয়ান এবং ম্যার্কেল নিজেদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটনের ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন৷ শনিবারের বোমা হামলার পর এর্দোয়ান বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তারা৷''

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ