ইয়েমেন এবং সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার জন্য সৌদি আরবকে দুষেছেন হাসান রোহানি৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ওই দুই দেশে সৌদি আরব সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করছে বলেই ইরান-সৌদি সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে না৷
বিজ্ঞাপন
মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য দীর্ঘকাল ধরেই ইরান এবংসৌদি আরব পরস্পর বিরোধী অবস্থানে৷ সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বেশি স্পষ্ট হয়েছে ইয়েমেন এবং সিরিয়ায়৷ দু'টি দেশেই ইরান এবং সৌদি আরব বিবদমান দুই পক্ষের মতোই পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷
২০১৪ সালে ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধারা ইয়েমেনের রাজধানী সানা-র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়৷ তারপর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আদেন-এর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তারা৷ কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর সম্মিলিত বাহিনীর কারণে হুটিদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়৷ সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পাশে দাঁড়ায় ইরান৷ অন্যদিকে সৌদি আরব সিরিয়া সংকটের শুরু থেকেই বিদ্রোহীদের সার্বিক সমর্থন দিয়ে আসছে৷
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি আরব-বিশ্বে অশান্তির জন্য সৌদি আরবের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, ‘‘ইয়েমেনে তাদের (সৌদি আরব) হস্তক্ষেপ এবং ইয়েমেন ও সিরিয়ায় তাদের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন দেয়াই তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়৷''
মোসুলে লড়াইয়ের মাঝেই বেহালা বাজালেন তিনি
সেই লড়াইয়ের মাঝেই শান্তির সুর তুললেন এক বেহালা বাদক, যিনি একসময় সেই এলাকা ছেড়েছিলেন আইএস-এরই কারণে৷
ছবি: Reuters/M. Hamed
ধ্বংসের মাঝে শান্তির সুর
বোমা বিস্ফোরণে ধ্বংসপ্রাপ্ত মোসুলের এক প্রাচীন স্থাপনার মধ্যেই বুধবার এক ছোটখাট কনসার্টের আয়োজন করেন বেহালা বাদক আমিন মুকদাদ৷ অতীতে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর হাত থেকে বাঁচতে এলাকা ছেড়েছিলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/M. Hamed
গোপনে তৈরি সুর
মুকদাদ বুধবার বেহালায় যেসব সুর তুলেছিলেন, সেগুলোর অধিকাংশই ছিল আইএস-এর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে থাকার সময় ‘কম্পোজ’ করা৷ এমনকি বুধবার তিনি যখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন, তখন মোসুলের কিছু অংশ মার্কিন সমর্থিত ইরাকি বাহিনী এবং আইএস-এর মধ্যকার গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল৷
ছবি: Reuters/M. Hamed
‘দায়েশের সবকিছুই ভুল’
ইতোমধ্যে মোসুলের কিছু অংশ আইএস-মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ইরাকি বাহিনী৷ ফলে নিজের এলাকায় ফিরতে পেরেছেন মুকদাদ৷ তিনি বলেন, ‘‘এই জায়গা সবার, কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়৷ দায়েশ (ইরাকে আইএসকে এই নামে ডাকা হয়) কোনো ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে না, বরং এটি এমন এক মতাদর্শ যা মানুষের স্বাধীনতা দমন করে৷’’
ছবি: picture-alliance/Zuma Press
আইএস তার বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গিয়েছিল
২০১৪ সালে একদিন মুকদাদের বাড়িতে হানা দেয় আইএস জঙ্গিরা৷ সেসময় তাঁর বাদ্যযন্ত্রগুলো নিয়ে যায় তারা, কেননা আইএস মনে করে সুন্নি ইসলামে সংগীত হারাম বিষয়৷ সেই ঘটনার পর নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মসুল ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান মুকদাদ৷ এরপর বুধবার প্রথমবারের মতো নিজের এলাকায় ফেরেন তিনি৷
ছবি: Reuters/M. Hamed
মসজিদে বেহাল বাজানো
মুকদাদ বুধবার কনসার্টের জন্য বেছে নেনন ‘টম্ব অফ জোনস’ বা নবী ইউনিসের মসজিদকে৷ বোমার আঘাতে সেই মসজিদের অধিকাংশই ধসে গেছে৷ কিন্তু আমিন মুকদাদের কাছে এই মসজিদ হচ্ছে ঐক্যের প্রতীক৷ তাই সেখানেই বেহালা বাজান তিনি৷
ছবি: Reuters/M. Hamed
কড়া নিরাপত্তা
মুকদাদের কনসার্টে অল্প কিছু মানুষ জড়ো হলেও, নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ আসলে মোসুলে এখনো আইএস-এর উপস্থিতি রয়েছে৷ তাই যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি৷
ছবি: Reuters/M. Hamed
6 ছবি1 | 6
ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করার একটা উপায়ই দেখছেন রোহানি৷ উপায়টির কথা তিনি জানিয়েছেন পরামর্শ দেয়ার ভঙ্গিতে৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘ইরানের উচিত সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করা৷''
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত আনবিক চুক্তি নিয়েও কথা বলেছেন রোহানি৷ সম্প্রতি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি যে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় রোহানি বলেন, ‘‘বিশ্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার খুব পরিষ্কার, আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হলো নিয়ম-কানুন, কখনোই যুক্তরাষ্ট্র নয়৷'' ইরানের সামরিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইএইএ পরিদর্শনের এই অনুরোধে সম্মতি প্রকাশ করবে বলে আমার মনে হয় না৷ আর তারা সম্মতি দিলেও আমরা দেবো না৷''
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে আইএইএ প্রধান ইউকিয়া আমানোর সঙ্গে দেখা করে ইরানের সামরিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন সম্পর্কে আলোচনা করেন নিকি হ্যালি৷ রোহানির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হ্যালি বলেছেন, ‘‘আনবিক চুক্তিকে ব্যবহার করে সারা বিশ্বকে জিম্মি করে রাখা উচিত নয়৷''
যুদ্ধের মাঠে সেল্ফি
যুদ্ধ মানেই ধ্বংসলীলা৷ বিপক্ষকে ঘায়েল করতে যেখানে প্রতিমুহূর্তে চলে অস্ত্র আর কৌশলে এগিয়ে থাকার লড়াই৷ সেখানে বসেই যেন ক্ষণিকের নিশ্চিন্ত ভাবে যোদ্ধারা মেতে উঠে সেল্ফিতে৷
ছবি: Reuters/E. De Castro
যুদ্ধযাত্রার পূর্বে লিবিয়ার বিশেষ বাহিনী
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি লিবিয়ার বেনগাজিতে প্রবেশের পূর্বে লিবিয়ান সেনাবাহিনীর বিশেষ ফোর্সের সদস্যরা সেল্ফি তুলছেন৷ গত ৫ জুলাই ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/E. Omran Al-Fetori
সেনাধ্যক্ষের সাথে সেল্ফি
ইরাকের পূর্ব মোসুলে আইএস বিরোধী অভিযানকালে লে. জে. আবদেলওয়াহাব আল সাদী সাথে সাধারণ মানুষ সেল্ফি তুলছেন৷ গত ৯ জানুয়ারি ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/K. Al-Remehi
ব়্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের সেল্ফি
ইরাকের সরকারি বাহিনীর সাথে আইএস-এর সংঘাতে পূর্ব মোসুলের একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের সামনে সেল্ফি তুলছেন দেশটির ব়্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের সেল্ফি৷
ছবি: Reuters/A. Al-Marjani
কুর্দিদের সঙ্গে যোগ দেয়া আরব সৈন্যদের সেল্ফি
কুর্দি পেশমের্গা সেনাদের সাথে যোগ দেয়া একদল আরব সৈন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষে সেল্ফি তুলছে৷ ইরাকের ডুহোক প্রদেশ থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
মোসুলে ইরাকি বাহিনী
তখনও মোসুলের এক অংশে রয়েছে আইএস-এর রাজত্ব৷ উদ্ধারে চলছে সরকারি বাহিনীর তৎপরতা৷ এ সময় পশ্চিম মোসুলের একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে বসে সেল্ফি তুলছেন ইরাকি সৈন্যরা৷ গত ৫ জুন এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/E. De Castro
মোসুল জয়ের পর
আইএস-এর হাত থেকে ইরাকের প্রাচীন নগরী মোসুল পুনরুদ্ধার করার পর গ্র্যান্ড আল-নূরী মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে সেল্ফি তুলছেন দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিসের সদস্যরা৷
ছবি: Reuters/E. De Castro
ধ্বংসের মাঝে নির্মাণের প্রত্যয়
সিরিয়ার দিরা প্রদেশের সাইদা শহরে বিদ্রোহী অধ্যুষিত একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সেল্ফি তুলছেন ‘ইউ ডেস্ট্রয় অ্যান্ড উই রিবিল্ড ব্রিগ্রেড’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা৷
ছবি: Reuters/A. Al-Faqir
রাশিয়ান কমান্ডারের সাথে সিরিয়ান নারীর সেল্ফি
এক রাশিয়ান কমান্ডারের সঙ্গে সেলফি তুলছেন এক সিরিয়ান নারী৷ মধ্য সিরিয়ার হোমস শহরের ওয়ায়ের জেলা থেকে গত ২১ মে এই ছবি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki
বিধ্বস্ত মসজিদে সেল্ফি
সিরিয়ার আলেপ্পোর একটি বিধ্বস্ত মসজিদের ভেতরে একদল মানুষ সেল্ফি তুলছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki
ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সেল্ফি
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আল-বাবের নিকটবর্তী কোয়াবাসিন শহরে আইএস বিরোধী অভিযানকালে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির এক যোদ্ধা৷
ছবি: Reuters/K. Ashawi
10 ছবি1 | 10
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, আল জাজিরা)
প্রিয় পাঠক, আপনিও কি মনে করেন, সৌদি আরব সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে? আপনার মতামত জানান নীচের ঘরে...