1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি আরবের সমালোচনায় ইরান

৩১ আগস্ট ২০১৭

ইয়েমেন এবং সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়ার জন্য সৌদি আরবকে দুষেছেন হাসান রোহানি৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ওই দুই দেশে সৌদি আরব সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করছে বলেই ইরান-সৌদি সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে না৷

Iran Hassan Rohani
ছবি: Getty Images/AFP/A. Kenare

মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর জন্য দীর্ঘকাল ধরেই ইরান এবংসৌদি আরব পরস্পর বিরোধী অবস্থানে৷ সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি বেশি স্পষ্ট হয়েছে ইয়েমেন এবং সিরিয়ায়৷ দু'টি দেশেই ইরান এবং সৌদি আরব বিবদমান দুই পক্ষের মতোই পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে৷

২০১৪ সালে ইরান-সমর্থিত হুতি যোদ্ধারা ইয়েমেনের রাজধানী সানা-র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়৷ তারপর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আদেন-এর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল তারা৷ কিন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বে আরব দেশগুলোর সম্মিলিত বাহিনীর কারণে হুটিদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়৷ সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পাশে দাঁড়ায় ইরান৷ অন্যদিকে সৌদি আরব সিরিয়া সংকটের শুরু থেকেই বিদ্রোহীদের সার্বিক সমর্থন দিয়ে আসছে৷

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি আরব-বিশ্বে অশান্তির জন্য সৌদি আরবের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছেন, ‘‘ইয়েমেনে তাদের (সৌদি আরব) হস্তক্ষেপ এবং ইয়েমেন ও সিরিয়ায় তাদের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন দেয়াই তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের পথে প্রধান অন্তরায়৷''

ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করার একটা উপায়ই দেখছেন রোহানি৷ উপায়টির কথা তিনি জানিয়েছেন পরামর্শ দেয়ার ভঙ্গিতে৷ ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘ইরানের উচিত সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করা৷''

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত আনবিক চুক্তি নিয়েও কথা বলেছেন রোহানি৷ সম্প্রতি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি যে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় রোহানি বলেন, ‘‘বিশ্বের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার খুব পরিষ্কার, আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-র সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হলো নিয়ম-কানুন, কখনোই যুক্তরাষ্ট্র নয়৷'' ইরানের সামরিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে  তিনি বলেন, ‘‘আইএইএ পরিদর্শনের এই অনুরোধে সম্মতি প্রকাশ করবে বলে আমার মনে হয় না৷ আর তারা সম্মতি দিলেও আমরা দেবো না৷''

সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে আইএইএ প্রধান ইউকিয়া আমানোর সঙ্গে দেখা করে ইরানের সামরিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন সম্পর্কে আলোচনা করেন নিকি হ্যালি৷ রোহানির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হ্যালি বলেছেন, ‘‘আনবিক চুক্তিকে ব্যবহার করে সারা বিশ্বকে জিম্মি করে রাখা উচিত নয়৷''

এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, আল জাজিরা)   

প্রিয় পাঠক, আপনিও কি মনে করেন, সৌদি আরব সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে? আপনার মতামত জানান নীচের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ