‘সন্ত্রাস দমনে আরো ব্যবস্থা নিতে হবে পাকিস্তানকে’
৩০ জুলাই ২০১০ভারত ও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এবিষয়ে একমত যে, সন্ত্রাস দক্ষিণ এশিয়ার একক বৃহত্তম বিপদ৷ এর মোকাবিলায় উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো জোরদার করা হবে৷ গত রাতে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রতিনিধি স্তরে শীর্ষ সম্মেলন শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলেন, পাকিস্তানি ভূখণ্ড যাতে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করা না হয়, সেজন্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে৷ উত্তরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেন, পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি পাকিস্তানের ভেতরে এবং বাইরে যেমন আফগানিস্তান, ভারত ও ব্রিটেনেও সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে৷ এর উত্সমুখ নির্মূল করতে পাকিস্তানকে আরো ব্যবস্থা নিতে হবে৷ সেই কাজে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে ব্রিটেন৷ এবিষয়ে পাকিস্তানি নেতৃত্বকে তিনি বুঝিয়ে বলবেন৷
আলোচনাকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বর্ণনা করে ড. সিং ভারত ও ব্রিটেনের জনগণের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ হবে দ্বিগুণ৷ অনুরূপ মনোভাব ব্যক্ত করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমার ভারত সফর, তার অগ্রগতিতে আমি সন্তুষ্ট৷ দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে এসেছে নতুন গতি৷ তারই ফলশ্রুতি হক জঙ্গিবিমান সরবরাহ চুক্তি৷ অসামরিক পরমাণু শক্তি নিয়ে আলোচনা এগিয়ে চলেছে৷ ভারতে পরিকাঠামো, বিমা, ব্যাঙ্কিং ও খুচরো ব্যবসায় ব্রিটেন বিশেষ আগ্রহী৷
সর্বোপরি, ভারত-ইইউ অবাধ বাণিজ্য চুক্তি ত্বরান্বিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর চাপ দেবে ব্রিটেন৷ নিরাপত্তার প্রশ্নে, দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতে কমনওয়েলথ গেমস, আঞ্চলিক ভিত্তিতে আফগানিস্তান এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পেতে ব্রিটেনের সাহায্যের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন৷
গতকাল ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ত কর্মসূচি৷ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা৷ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ৷ মিলিত হন পররাষ্ট্র মন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অন্যান্য শীর্ষ নেতার সঙ্গে৷ সই হয় সাংস্কৃতিক ও একাধিক বাণিজ্য চুক্তি৷
প্রতিবেদনঃ অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনাঃ ফাহমিদা সুলতানা