1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-পাকিস্তান

২৬ জুন ২০১২

দিল্লি পুলিশ আবু হামজাকে গ্রেপ্তার করার ঘটনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে৷ পুলিশের দাবি, জেরার মুখে মুম্বই হামলায় তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আবু হামজা৷

ছবি: picture-alliance/dpa

আগামী ১৮ই জুলাই ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক পিছিয়ে দেয়া হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণার কথামতো৷ বৈঠকের শীর্ষ আলোচ্য বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদ সমস্যা৷ কূটনৈতিক সূত্রের খবরে প্রকাশ, দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আবু হামজার গ্রেপ্তারে ঘটনার পর অস্বস্তিতে রয়েছে পাকিস্তান৷

ভারত সফরে এসে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ড. মনমোহন সিংকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ দিয়েছিলেন৷ আর প্রধানমন্ত্রী তা গ্রহণও করেছিলেন৷ কিন্তু এখন আবু হামজাকে জেরা করে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে মুম্বই সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানের পরোক্ষ হাত থাকার কথা উড়িয়ে দেয়া যায়না৷ সেক্ষেত্রে  প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তান সফর অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে৷

জেরার মুখে আবু হামজা ওরফে আবু জিন্দল ওরফে সৈয়দ জাবিউদ্দিন মুম্বই হামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা নাকি স্বীকার করেছে৷ বলেছে, মুম্বই কাণ্ডের সময় সে করাচি কন্ট্রোল রুম থেকে জঙ্গিদের নির্দেশ দিয়েছিল৷ পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা সেটা জানতো, এমনটাই দাবি দিল্লি পুলিশের৷ সেখান থেকে পাকিস্তানি পাশপোর্টে সে যায় সৌদি আরবে৷ গোয়েন্দা খবরের ভিত্তিতে অনেকদিন ধরেই তার ওপর নজর রাখছিল ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ বলা বাহুল্য, এইসব তথ্য পাকিস্তান অস্বীকার করেছে৷

মুম্বইসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আবু হামজাকে গ্রেপ্তার করার পর, পাকিস্তান সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে ভারতের সঙ্গে নতুন করে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে৷ নতুন দিল্লির পাকিস্তানি হাইকমিশন থেকে বলা হয়, দু'দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব পারস্পরিক স্বার্থে সন্ত্রাস দমনে সব রকম সহযোগিতায় সম্মত হয়েছেন৷ সন্ত্রাস উভয় দেশের এক অভিন্ন সমস্যা৷

আবু হামজার বয়স ৩০ বছর৷ মহারাষ্ট্রের ভিড এলাকার বাসিন্দা৷ এক সময় নিষিদ্ধ মৌলবাদী মুসলিম ছাত্র সংগঠন সিমি'তে যোগ দেয়৷ পরে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন ও সিমি'র মাধ্যমে পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার সংস্পর্শে আসে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ