সন্দেশখালি থেকে লাইভ করার সময় সাংবাদিক গ্রেপ্তার
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পান সন্দেশখালি থেকে লাইভ করছিলেন। সেসময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। জোর করে টোটোতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের কাছে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না বলে অভিযোগ।
পরে সন্তুকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। পুলিশ দশদিনের হেফাজত চেয়েছিল। বিচারক তিনদিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন, সন্তু জোর করে তার ঘরে ঢুকে ছবি তুলতে থাকেন। তিনি আলুথালু বেশে ছিলেন। মানা করার পরেও শোনেননি। সন্তুর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ এনেছে পুলিশ। ওই সব অভিযোগে জামিন পাওয়া যায় না।
সন্তুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করেছে একাধিক সংগঠন। এডিটরস গিল্ড বলেছে, তারা এই ঘটনার নিন্দা করে। এইভাবে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনা উদ্বেগজনক।
কলকাতা প্রেস ক্লাব এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সন্তুকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে। কলকাতা জার্নালিস্টস ক্লাবও প্রতিবাদ করেছে।
বাংলা টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দ বলেছে, তারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অবিলম্বে সন্তুকে মুক্তির দাবি জানাচ্ছে। কোনোরকম তদন্ত না করে কী করে এইভাবে একজন সাংবাদিককে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রেপ্তার করা হলো?
প্রচুর সাংবাদিক সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে এই গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ করেছেন। রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ''সাংবাদিকদের ভয় দেখাতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।'' সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ''যেভাবে জবরদস্তি করে সন্তুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা গণতন্ত্র ধ্বংসের সামিল। সাংবাদিকের উপর এই আক্রমণ সমর্থন করা যায় না।''
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, ''প্রশাসন অভিযোগ পেয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের যা করার তাই করেছে।''
তবে পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও সাংবাদিকদের বিতর্কিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছুদিন আগে এক টিভি সাংবাদিকের বাড়িতে ভোররাতে গিয়ে দরজা ভেঙে পুলিশ ওই সাংবাদিক ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছিল।
দ্য ওয়্যারের রিপোর্ট বলছে, ভারতে ২০১০ থেকে ২০২৩-এর অক্টোবর পর্যন্ত শুধু বেআইনি কার্যকলাপ আইনে ১৬ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতজন তখনো জেলে বন্দি ছিলেন।
জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)