1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অপরাধী গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২০ এপ্রিল ২০১৬

ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যার একমাস হয়ে গেলেও, কোনো অপরাধী গ্রেপ্তার হয়নি৷ তবে তদন্তের এক পর্যায়ে সিআইডি জানায় যে, তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে একাধিক ব্যক্তি অংশ নেয়৷

#JusticeForTanu
ছবি: Twitter

গত ২০শে মার্চ রাতে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলকায় তনুর লাশ পাওয়া যায়৷ তনুর লাশ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ভিতরের জঙ্গলে পাওয়া গেলেও, সেখানে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়নি৷ প্রথমে লাশ কুমিল্লা সিএমএইচ-এ নেয়া হয়, তারপর লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়৷ প্রথম দফা ময়নাতদন্তে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না হওয়ায়, লাশ তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত করা হয়৷ দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো দেয়া হয়নি৷ আর প্রথম দফায় তো হত্যাকাণ্ডের কারণই নির্ধারণ করা যায়নি৷

ইয়ার হোসেন

This browser does not support the audio element.

সিআইডি মামলার তদন্তে এ পর্যন্ত কয়েকজন সেনা সদস্য এবং এক সেনা কর্মকর্তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ময়নাতন্তকারী চিকিৎসকদের৷ এছাড়া তনুর বাবাসহ পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷

একমাসের মাথায় তদন্তকারী সংস্থা কুমিল্লা সিআইডি-র বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম জানান, ‘‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়৷ এই হত্যাকাণ্ডে অন্তত তিন-চারজন অংশ নিয়েছিল৷'' তবে তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হননি সিআইডি-র এই কর্মকর্তা৷

বলা বাহুল্য, তনুর বাবা ইয়ার হোসেন এই তদন্ত নিয়ে চরম হতাশ৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ধর্ষিত তনুর লাশ পাওয়া গেছে ক্যান্টনমেন্টর ভিতরে৷ যা ঘটেছে ওখানেই ঘটেছে৷ আমি আমার সন্দেহের কথা সুনির্দিষ্টভাবে সিাআইডি-কে জানিয়েছি৷ অথচ তারপরও কেন অপরাধীদের আটক করা হচ্ছে না, তা আল্লাহ-ই জানেন৷''

ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে গরিবের কোনো বিচার নাই৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্টের খবর নাই৷ একমাস হয়ে গেল আসামি গ্রেপ্তারের খবরও নাই৷ এখন আমি আর কী করতে পারি? বিচার তাই আল্লাহ-র হাতে ছেড়ে দিয়েছি৷''

তনুর বাবা আরও বলেন, ‘‘আমি জানি না বিচার পাব কিনা৷ আপনারাই বা লিখে কী করবেন!''

তনুর বাবা ইয়ার হোসেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেটে সিভিল চাকরি করেন৷ ঘটনার রাতে তনু তাঁদের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেই আরেকটি বাসায় ছাত্র পড়াতে গিয়েছিলেন৷ সেই রাতেই ক্যান্টমনেন্টের ভিতরে তাঁর লাশ পাওয়া যায়৷

তনু হত্যাকাণ্ডের পর বিচারের দাবিতে সারাদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হলেও, এখন আর কিছু নেই বললেই চলে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনলাইন ব্যবহারকারীদেরও তনু হত্যার বিচার দাবিতে এখন আর তেমন সক্রিয় দেখা যায় না৷ আশঙ্কা, হয়ত এভাবেই তনু হত্যার ঘটনাটাও ধামাচাপা পড়ে যাবে৷

তনু হিজাব পরতেন৷ তারপরও তাঁকে ধর্ষণের করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এতে কি বোঝা গেল না যে, তথাকথিত শালীন পোশাক পরলেও নারীরা নিরাপদ নয়? আপনার মতামত জানতে চাই৷ তাই লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ