‘সবগুলো প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়েছে’
১ মার্চ ২০২৪‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে আগুনের ঘটনা কেন নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, ঝুঁকিপূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ নকশার ভবনগুলোর সঠিক তদারকি ও দুর্নীতির দায় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করতে অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ৷
আগুনে পুড়ে মানুষের মৃত্যু অথবা সড়ক দুর্ঘটনায় নিয়মিত মানুষের প্রাণহানি হলেও প্রশাসনের ও কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয় না৷ সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘‘আমার কাছে মনে হয় এটা অন্তহীনভাবে চলবে বাংলাদেশে৷ আরকেটা ঘটনা ঘটলে আমরা বেইলি রোডের ঘটনার কথা আমরা ভুলে যাব৷ নীতির মধ্যেই গলদ৷''
এই অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানীর দায় কোনভাবেই কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে তিনি বলেন, ‘‘আরও আগুন আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, আরও মৃত্যু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷ এই দায় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না৷''
অনুষ্ঠানে আগত অপর অতিথি যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক নাভিন মুর্শিদ বলেন, ‘‘কাঠামো পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুর পরিবর্তন হয় না৷''
তবে এই অধ্যাপক এসব ঘটনার পেছনে জনগণেরও দায় আছে বলে মনে করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি আমাদের একটা দায় আছে৷ এধরনের উন্নয়ন আমরা কেন মেনে নিবো?''
অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ না করার বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে সম্পাদক ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘‘মানুষ এখন আর আন্দোলন করে না৷ মানুষ মনেই করে কারো কিছু হবে না৷''
‘‘আগুনে পুড়ে, সড়ক দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষ মারা যায়৷ সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে কারও কিছু যায় আসে না৷ সে কারণে এইখানে কোন পরিবর্তন আসে না,'' বলেন তিনি৷
নাভিন মুর্শিদও একমত পোষণ করে বলেন, ‘‘আমাদের যেই ধরনের উন্নয়ন হচ্ছে আজকে, সেখানে আমরা তো এটাই চাই৷''
রমজান মাসের আগেই দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও বাজার ব্যবস্থার অনিয়ম এর কারণে নিত্যপণ্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে বলে ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘‘কোনকিছুই পরিবর্তন হবে না৷ দ্রব্যমূল্য কমানোর ক্ষেত্রে কিছু জায়গায় হাত দেয়া হচ্ছে না৷ খেলোয়াড় আর রেফারি একই দলের, মাঝখানে গোল খায় জনগণ৷''
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে নাভিন মুর্শিদ বলেন, ‘‘অ্যামেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কটা সব সময় টানাপোড়নের৷ সামগ্রিকভাবে আমরা অ্যামেরিকাকে একটু ভয়ের চোখেই দেখি৷ অ্যামেরিকার প্রভাব আমরা যেমন চাইনা, ভারতের প্রভাবও আমরা চাই না৷''
এসএইচ/এআই