১৮৮০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা নথিবদ্ধ করা হচ্ছে৷ প্রাক-শিল্পায়নের যুগ থেকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ গড় বাৎসরিক তাপমাত্রায় ২০১৬ সাল ২০১৪ ও ২০১৫-কেও ছাড়িয়ে গেছে৷
বিজ্ঞাপন
মার্কিন ন্যাশনাল ওসিয়্যানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) জানিয়েছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস অবধি স্থল ও সমুদ্রের উপর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কিনা ২০১৫ সালের একই সময়কালের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ছয় ডিগ্রি বেশি৷
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষম ধান
বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে নানাভাবে৷ কৃষিও রয়েছে এর মধ্যে৷ তবে আশার কথা, এই প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: FARJANA K. GODHULY/AFP/Getty Images
বাংলাদেশেই উদ্ভব
বাংলাদেশের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়ছে নানাভাবে৷ কৃষিক্ষেত্রও এর মধ্যে রয়েছে৷ তবে আশার কথা, এই প্রভাব মোকাবিলায় সক্ষম কিছু ধানের জাত উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, ব্রি-র মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস৷
ছবি: N.Nanu/AFP/Getty Images
লবণাক্ততা
উপকূলীয় অঞ্চলে যেখানে জমিতে লবণের পরিমাণ বেশি সেখানে রোপা আমন মৌসুমে ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৫৩ ও ব্রি ধান৫৪ – এই চারটি জাত বেশ কার্যকর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বোরো ধান
লবণাক্ত পরিবেশে জন্মানোর জন্য বোরো ধানের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রি ধান৪৭ এবং ব্রি ধান৬১৷
ছবি: CC/Rishwanth Jayaraj
খরা
খরা মোকাবিলায় সক্ষম দুটো উন্নত জাত হলো ব্রি ধান৫৬ এবং ব্রি ধান৫৭ – দুটোই রোপা আমন ধানের জাত৷ ‘‘আরও কিছু নতুন জাত আমাদের হাতে আছে যেগুলো খরায় আরও ভালো করবে,’’ জানিয়েছেন ব্রি মহাপরিচালক৷
ছবি: AP
হঠাৎ বন্যা
ড. বিশ্বাস বলেন, রোপা আমন মৌসুমে আরেকটি পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন ধান লাগানোর পরে দেখা যায় যে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে হঠাৎ করেই পানির নীচে ডুবে যায়৷ ‘‘এই অবস্থা প্রায় সপ্তাহখানেক বা তারও বেশি সময় ধরে থাকে৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রয়েছে ব্রি ধান৫১ ও ব্রি ধান৫২৷’’
ছবি: N.Nanu/AFP/Getty Images
অতি ঠান্ডা, অতি গরম
এই পরিস্থিতির জন্য এখনো কোনো ভালো জাত নেই৷ তবে ব্রি মহাপরিচালক বলেছেন, ‘‘গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে এবং আমরা আশা করি, অদূর ভবিষ্যতে এমন ধানের জাত আমরা হাতে পেয়ে যাব৷’’
ছবি: DW/P. Mani Tewari
প্রচারণা
সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে কৃষকদের ব্রি উদ্ভাবিত এসব জাত সম্পর্কে জানানো হয়৷
ছবি: FARJANA K. GODHULY/AFP/Getty Images
7 ছবি1 | 7
ওয়ার্ল্ড মেটিরিওজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডাবলিউএমও) একই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে৷ তারা জানাচ্ছে, ২০১৬ সাল ইতিহাসে নথিবদ্ধ সবচেয়ে গরম বছর হতে চলেছে৷ জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা কিনা উনবিংশ শতাব্দির মাঝামাঝি শিল্পবিপ্লব শুরু হবার সময় থেকে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি৷ ডাবলিউএমও'র তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সাল অবধি বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷
সুমেরুর বরফ সরে যাচ্ছে
উত্তর মেরু অঞ্চলে বিশেষ করে তাপমাত্রা বাড়ছে, যার ফলে তুষারের আস্তরন নাটকীয়ভাবে কমে যাচ্ছে৷ এনওএএ'র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে সুমেরুতে জমির উপর গড় তাপমাত্রা ছিল বিংশ শতাব্দির সূচনার তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি৷ মার্কিন ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডাটা সেন্টার জানিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে সুমেরুর বরফের আস্তরণ ছিল গত ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম৷ ২০১৬-র নভেম্বরে সুমেরুর তুষার আস্তরণের পরিধি ছিল প্রায় ৯১ লাখ বর্গমিটার, যা কিনা ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল অবধি নভেম্বরের মাঝামাঝি সুমেরুর বরফের আস্তরণের তুলনায় প্রায় ২০ লাখ বর্গমিটার কম৷
সুমেরুর বরফ সূর্যকিরণ প্রতিফলন করতে পারছে না বলে সাগরের পানির তাপমাত্রা বাড়ছে৷ সুমেরু অঞ্চল ও বেরিং সাগরে ঝড়ের প্রকোপ বাড়ছে৷ আরো দক্ষিণে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের প্রচণ্ডতা৷
আবহাওয়ার দুর্যোগ আরো বাড়বে
প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার ৮ উপায়
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সারা বিশ্বেই আজ তাপমাত্রার এলোমেলো ভাব অনুভূত হচ্ছে৷ এই গরম, এই ঠান্ডা, তো এই বৃষ্টি! গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরমে তাপমাত্রার ওঠা-নামা শরীরের জন্য যখন অসহনীয় হয়ে উঠে, তখন সুস্থ থাকার কিছু উপায় জেনে নিন৷
ছবি: Fotolia/Eagle
খোলামেলা পোশাক
সুতি কাপড়ের হালকা পোশাক পরা উচিত কারণ সুতি কাপড় সূর্যের কিরণ থেকে রক্ষা করে এবং ঘামকে জমতে দেয় না৷ তবে ঘাড় এবং মাথা হালকা কাপড়ে ঢেকে রাখা ভালো যেন সূর্যের তাপ না লাগে৷ শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের পা যেহেতু সাধারণত ঠান্ডা থাকে তাই তাদেরকে সুতি মোজা পরানো দরকার৷ এই পরামর্শ জার্মানির ডা. আনেটে রোমেলের৷
ছবি: privat
এয়ারকন্ডিশনিং? হ্যাঁ, তবে ঠিকভাবে
বাইরে প্রচণ্ড গরম আর ঘরের ভেতরে অর্থাৎ অফিস বা বাড়িতে প্রচণ্ড ঠান্ডা, যার ফলাফল ‘ঠান্ডা লাগা’৷ আর এই পরিস্থিতিতে যদি পানি কম পান করা হয় তাহলে ফলাফল হতে পারে আরো খারাপ৷ কাজেই এক্ষেত্রে ডা. রোমেলের পরামর্শ, ‘‘বাহির ও ভেতরের তাপমাত্রার পার্থক্য যেন পাঁচ ছয় ডিগ্রির বেশি না হয়৷’’
ছবি: privat
ব্যায়াম করে ফিট থাকুন
সকালবেলায় খানিকটা হাঁটাহাঁটি বা সাইকেল চালানো খুবই ভালো৷ দুপুরবেলা বা যখন সূর্যের তাপ খুব বেশি থাকে তখন কোনো ধরণের ব্যায়াম করা উচিত নয়৷ দুপুরের রোদে ওজনের মাত্রা থাকে সবচেয়ে বেশি৷ সূর্যের তাপ এবং অতিরিক্ত মাত্রার ওজন – দুটো একসাথে হলে শরীরের উপর তা খুবই প্রভাব ফেলে৷ তবে এয়ারকন্ডিশনিং পরিবেশে হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Julian Stratenschulte
ভ্রমণ
ট্রেন বা গাড়িতে যাতায়াতের সময় খোলা জানালার বাতাস প্রথমে খুবই আরাম লাগে সেকথা ঠিক, তবে তা খুবই ভয়ংকর৷ কারণে এতে নাকের ঝিল্লি দিয়ে রক্ত চলাচলের সমস্যা সৃষ্টি করে৷ যার ফলে সহজে যে কোনো ভাইরাস ইনফেকশন হতে পারে৷ আর যদি জানালা খোলা রাখতেই হয় তাহলে হালকা সিল্ক বা সুতি ওড়না দিয়ে গলা এবং মাথা পেচিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. রোমেল৷
ছবি: AP
শান্ত থাকুন
হঠাৎ করে তাপমাত্রার ওঠা-নামার কারণে বিশেষ করে প্রবীণ এবং শিশুদের শরীরের ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে৷ মিউনিখের চিকিৎসক আলেক্সান্ডার শ্নাইডার বলেন,‘‘হঠাৎ করে তাপমাত্রা বেশি হলে সবকিছুই খুব আস্তে আস্তে করে শরীরকে অভ্যস্ত করতে হবে৷ কারণ বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে হঠাৎ করে বাইরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেক হার্টের রোগীদের সমস্যা বেড়ে গেছে এবং অনেক রোগী মারাও গেছে৷ তাই অতিরিক্ত গরমে অতিরিক্ত কোনো চাপ নয়!’’
ছবি: Fotolia/Eisenhans
সুস্থ থাকতে যথেষ্ট পানি পান করুন
ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে মিনারেল, বিশেষ করে লবন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি বেরিয়ে যায়৷ একজন মানুষের প্রয়োজন দিনে দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা৷ তাছাড়া তা নির্ভর করে কে কতটা শারিরিক পরিশ্রম করে বা এয়ারকন্ডিশনিং ঘরে থাকে কি না তার ওপর৷ সবচেয়ে ভালো হয় দুই বা তিনটি পানির বোতল টেবিলে রেখে দিন, তাহলে হিসেব রাখা সুবিধা হবে৷ বাড়ির প্রবীণরা যথেষ্ট পানি পান করছেন কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন৷
ছবি: Colourbox/Odilon Dimier/AltoPress/Maxppp
ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন
প্রচণ্ড গরমে অনেকের মাথা ঘোরে এবং বমিভাব হয়৷ এর প্রধান কারণ হলো পানি কম পান করায় ধমনির রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়৷ ফলে রক্তের চাপ থাকে অস্থির বা অস্থিতিশীল৷ ডা. রোমেলের ভাষায়, ‘‘একবারে বেশি পানি পান না করে বরং প্রতি আধঘণ্টা পরপর অল্প অল্প করে জল পান করুন৷ পানির সাথে লেবুর রস, পুদিনা পাতা বা আদা মেশানো যেতে পারে৷’’
ছবি: Fotolia/lensonfocus
গরম কালের খাবার
বাইরে তাপমাত্রা বেশি হলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার রুচি কমে যায়৷ তাছাড়া গরমে চর্বিজাতীয় বা অতিরিক্ত মসলা খেলে শরীরে আরো বেশি ঘাম হয়৷ তাই বেশি করে তরমুজ, বিভিন্ন ফল, শষা, টমেটো ইত্যাদি খাওয়া উচিত৷ কারণ এসবে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, আঁশ ও মিনারেল৷
ছবি: Fotolia/Eagle
8 ছবি1 | 8
তার অনেক কারণের মধ্যে একটি হলো, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি, যার ফলে উষ্ণায়নের গতিবেগ বাড়ছে৷ এনওএএ'র বিবৃতি অনুযায়ী, প্রাক-শিল্পায়ন যুগে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ২৮০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন); ২০১৫-য় সেটা দাঁড়িয়েছে ৪০০ পিপিএম-এ - যা কিনা আবার ২০১৪ সালের চেয়ে ২ দশমিক ২ পিপিএম বেশি৷
আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে বাতাসে যে পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড রয়েছে, তার ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা আগামী কয়েক দশক ধরে বাড়তেই থাকবে৷ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন এই হারে চলতে থাকলে, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে দেড় কিংবা দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সীমাবদ্ধ রাখার পরিকল্পনা অলীক হয়ে পড়বে৷
জার্মানির পট্সডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট রিসার্চের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, বিশ্বের তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বাড়লে সাগরের পানির উচ্চতা দুই থেকে তিন মিটার বাড়বে - ২৩০০ সালের মধ্যে৷ তার ফলে গ্রিনল্যান্ডের বরফের আস্তরণ গলতে পারে, যার ফলে ছোট ছোট দ্বীপ ও উপকূলের সব শহর-বন্দর ডুবে যাবে৷
দু' ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা বাড়লে উত্তর গোলার্ধের সব স্থায়ী বরফ গলে যাবে৷ এর ফলে সাগরের পানি আরো বাড়বে৷
বিশ্বের সবচেয়ে গরম জায়গা কোনটি? অথবা সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা? কিংবা সবচেয়ে শুকনো, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত, সবচেয়ে বেশি বরফ পড়ে, সবচেয়ে জোর বাতাস বয়, সবচেয়ে বেশি রোদ্দুর হয়, সবচেয়ে বেশি কুয়াশা ঘনায়?
ছবি: Imago/Bluegreen Pictures/D. Allisy
সবচেয়ে গরম
এখানে যারা ক্যালিফোর্নিয়ায় ডেথ ভ্যালির ছবি প্রত্যাশা করছিলেন, তাদের অবগতির জন্য বলতে হচ্ছে যে, দুনিয়ার সবচেয়ে গরম জায়গার খেতাব পাওয়া উচিৎ লিবিয়ার আল আজিজিয়া নামের স্থানটির, যেখানে ১৯২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ১৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৫৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷
ছবি: Imago/Xinhua/A. Salahuddien
সবচেয়ে ঠাণ্ডা
সবচেয়ে ঠাণ্ডা
রাশিয়ার ওইমিয়াকন-এ শীতে গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ মেরুবৃত্তের মাত্র ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইয়াকুটসক থেকে দু’দিন গাড়ি চালিয়ে তবে পৌঁছাতে হয় এই প্রত্যন্ত গ্রামটিতে৷
ছবি: Imago/ITAR-TASS
সবচেয়ে শুকনো
মেরু অঞ্চলগুলি বাদ দিলে, চিলির আটাকামা মরুভূমিকে বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক জায়গা বলে মনে করা হয়৷
না, চেরাপুঞ্জি নয়, তবে ভারতের ঐ মেঘালয় রাজ্যেই, চেরাপুঞ্জি থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে৷ জায়গাটির নাম মওসিনরাম৷ এখানকার গ্রামবাসীরা নাকি ঘাস দিয়ে তাদের কুটিরগুলোকে সাউন্ডপ্রুফ করেন, নয়তো বর্ষার মরশুমে বৃষ্টি পড়ার শব্দে কান পাতা যায় না৷ মওসিনরামে নাকি বছরে ৪৬৭ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টি পড়ে৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বলে, ১৯৮৫ সালে নাকি মসিনরামে এক হাজার ইঞ্চি বৃষ্টি পড়েছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Boro
সবচেয়ে বেশি তুষারপাত
জাপানের হাক্কোদা পর্বতমালার সবচেয়ে উঁচু চুড়োর কাছে অবস্থিত আওমোরি সিটিতে বছরে ৩১২ ইঞ্চি বরফ পড়ে৷ এত বেশি বরফ পড়ার কারণ হলো এই যে, এখানে বিপুল পরিমাণ মেঘ জমে আর কুয়াশা হয়, যাকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন বরফের দৈত্য৷
ছবি: Imago/Kyodo News
সবচেয়ে জোর বাতাস
বিশ্বে সবচেয়ে জোরে বাতাস বয় কুমেরুর কমনওয়েলথ বে অঞ্চলে, বলছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও ন্যাশনাল জিওগ্র্যাফিক অ্যাটলাসের অষ্টম সংস্করণ৷ কমনওয়েলথ বে একটি ৪৮ কিলোমিটার প্রস্থের উপসাগর৷ এখানে নিয়মিত ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বাতাস বয়৷ বছরে গড় বাতাসের গতি হলো ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Lewins
সবচেয়ে বেশি রোদ্দুর
মার্কিন মুলুকের অ্যারিজোনায় ইউমা হলো বিশ্বের সবচেয়ে রৌদ্রকরোজ্জ্বল শহর৷ এখানে প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা সূর্যালোক থাকে, বছরে ৪,০০০ ঘণ্টার বেশি সূর্যকিরণ৷ স্বভাবতই ইউমা গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ স্থান করে নিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/R. Cummins
সবচেয়ে বেশি কুয়াশা যেখানে
জায়গাটি হলো নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে গ্র্যান্ড ব্যাঙ্কস৷ জলের তলায় কম গভীরতায় এই মালভূমিগুলি থাকার ফলে এখানে দু’টি সামুদ্রিক স্রোতের মোলাকাত হয়: উত্তরের শীতল লাব্রাডর কারেন্ট ও দক্ষিণের অনেক বেশি উষ্ণ গাল্ফ স্ট্রিম, যার ফলে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি হয়৷