1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দুটি চ্যালেঞ্জের কথা জানালেন ম্যার্কেল

৮ নভেম্বর ২০২১

প্রায় ১৬ বছর চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ আর কদিন পর নতুন চ্যান্সেলর দায়িত্ব নেবেন৷ ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দুটি বড় চ্যালেঞ্জ, হতাশা, আফগানিস্তান, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি৷

DW Interview mit Bundeskanzlerin Angela Merkel +++ SPERRFRIST 7.11. 18h ++++
ছবি: R. Oberhammer/DW

বার্লিনের চ্যান্সেলর কার্যালয়ে ডিডাব্লিউ নিউজের প্রধান মাক্স হফমানকে দেয়া সাক্ষাৎকারের বেশিরভাগ সময় ম্যার্কেল নির্ভার ছিলেন৷ গত অক্টোবরে শেষবারের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন ম্যার্কেল৷ সেখানে তাকে ‘কম্প্রোমাইজ মেশিন’ নাম দেয়া হয়েছিল৷ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই আমি মেশিন নই, আমি মানুষ৷’’

চ্যালেঞ্জ

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোন কোন সময় তিনি বড় সমস্যায় পড়েছিলেন জানতে চাইলে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘দুটি ঘটনা আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে৷ প্রথম, (২০১৫ সালে) অনেক বেশি শরণার্থীর আগমন, যেটাকে আমি আসলে ‘সংকট' নামে ডাকতে পছন্দ করি না - কারণ মানুষ মানুষই৷ আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনা মহামারি৷’’

আফগানিস্তান

ম্যার্কেল বলেন আফগানিস্তান নিয়ে তার অন্যরকম প্রত্যাশা ছিল৷ ‘‘আমরা অবশ্যই খুবই দুঃখিত যে আমরা আফগানিস্তানে যা অর্জন করতে চেয়েছিলাম তা পারিনি৷ যেমন আমরা এমন একটা টেকসই রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম যেখানে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারবে, নারীরা তাদের ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন এবং শান্তিটা স্থায়ী হবে,’’ বলেন তিনি৷ সাক্ষাৎকারের এই পর্যায়ে ম্যার্কেলকে কিছুটা গম্ভীর দেখা গেছে৷ তবে ‘‘এর দায় শুধুমাত্র জার্মানির একার নয়৷ আফগানরাও তাদের যা করার কথা ছিল, করেনি৷ এটা খুবই নিন্দনীয় একটা ব্যাপার,’’ বলেন ম্যার্কেল৷

ছবি: R. Oberhammer/DW

গর্ব  হতাশা

বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখা, কয়লা থেকে জার্মানির সরে আসাসহ নানা বিষয় নিয়ে ম্যার্কেল গর্বিত৷ তবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আরও বেশি কিছু করতে না পারায় তিনি সন্তুষ্ট নন বলেও জানিয়েছেন৷ ম্যার্কেল বলেন, জার্মানির রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন যে এখানে কোনো আইন পাস করতে চাইলে আগে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সবসময় বেশিরভাগ মানুষের সমর্থন প্রয়োজন হয়৷ এই বিষয়টা আমি জলবায়ু অ্যাক্টিভিস্টদের সবসময় বলেছি৷ তারা আমাকে বলে ‘আপনাকে এখনই এটা করতে হবে,’ তখন আমি তাদের বলি, ‘কিন্তু আমাকেতো আগে মেজরিটি পেতে হবে৷’ অনেক প্রত্যাশা ছিল, অনেক ভয়ও আছে৷ আমি সবসময় চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারপরও আজ আমি বলতে পারছি না যে, ফলাফল সন্তোষজনক৷’’

বন্ধুদের মিস করবেন

‘‘আমি এমানুয়েল মাক্রোঁকে (ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট) মিস করবো৷ আমি আমার সঙ্গে কাজ করা অন্য দেশের অনেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মিস করবো কারণ তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমার অনেক ভালো লেগেছে৷ আন্তর্জাতিক রাজনীতি মানে হচ্ছে আপনি আরেকজনের সঙ্গে অনেক কথা বলেন, অন্যের জুতা পরে মাইলখানেক হাঁটার চেষ্টা করেন৷’’

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে আলোচনার সময় তিনি খোলা মন নিয়ে অংশ নিতেন বলে জানান ম্যার্কেল৷ এমনকি যেসব নেতার মূল্যবোধের সঙ্গে তার মিল হতো না তাদের কথাও মনোযোগ দিয়ে শুনতেন বলে জানান ম্যার্কেল৷ ‘‘কারও বিশ্ব সম্পর্কে অন্যরকম ভাবনা থাকলেও আপনার তার কথা শোনা উচিত৷ কারণ আমরা যদি একজন আরেকজনের কথা না শুনি তাহলে আমরা কোনো সমাধান পাব না,’’ বলেন তিনি৷

ভবিষ্যৎ ভাবনা

চ্যান্সেলর হওয়ায় এতদিন তাকে বিভিন্ন অ্যাজেন্ডা নিয়ে সজাগ থাকতে হয়েছে জানিয়ে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘এখন থেকে আমি আমার ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারবো৷ তবে সেটা কী হবে তা এখন থেকে কয়েক মাস পর স্পষ্ট হবে৷’’ তবে পড়া আর ঘুমানো যে তার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকবে সেটা জানিয়েছেন ম্যার্কেল৷

মাক্স হফমান, এলিজাবেথ শুমাখার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ