1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
স্বাস্থ্য

বেশি ধূমপায়ীদের দেশ বাংলাদেশ

৬ এপ্রিল ২০১৭

বিশ্বের যে দশটি দেশে সবচেয়ে বেশি ধূমপায়ী বাস করেন তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে৷ এছাড়া গত ২৫ বছরে বাংলাদেশে পুরুষ ধূমপায়ীর শতকরা হারে কোনো পরিবর্তন হয়নি৷

rauchende Frau
ছবি: Colourbox

চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে৷ কয়েকশত বিজ্ঞানীর তথ্য দিয়ে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজেস' শীর্ষক প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে৷

রিপোর্টে বলা হয়, সারা বিশ্বে ১০টি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য দায়ী ধূমপান৷ এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক সংখ্যকই চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা রাশিয়ার নাগরিক৷ ঐ চারটি দেশের ধূমপায়ী সংখ্যার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ফিলিপাইন্স, জাপান, ব্রাজিল আর জার্মানির ধূমপায়ীর সংখ্যা যোগ করলে, তা বিশ্বের মোট ধূমপায়ীর সংখ্যার প্রায় সাড়ে ৬৩ শতাংশ হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়৷

উচ্চকর, প্রচারণামূলক কর্মসূচি, সতর্কতামূলক বাণী প্রচার – এ সব কারণে কয়েকটি দেশে শতকরা হিসেবে ধূমপায়ীর হার কমেছে৷ যেমন ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল – এই ২৫ বছরে ব্রাজিলে পুরুষ ধূমপায়ীর সংখ্যা ২৯ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ এবং নারী ধূমপায়ীর সংখ্যা ১৯ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে৷ তবে বাংলাদেশে পুরুষ ধূমপায়ীর শতকরা হারে (৩৮ শতাংশ) কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ ইন্দোনেশিয়া (৪৭ শতাংশ) আর ফিলিপাইন্সেও (৩৫ শতাংশ) পরিবর্তন আসেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়৷

বিশ্বব্যাপী শতকরা হিসেবে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমলেও ধূমপানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি৷ প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সালে চারজন পুরুষের একজন ও ২০ জন নারীর মধ্যে একজন ধূমপান করেছে৷ ২৫ বছর আগে ১৯৯০ সালে তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন ও ১২ জন নারীর মধ্যে একজন ধূমপান করেছিলেন৷

তবে ২০১৫ সালে ধূমপানের কারণে ৬৪ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ ১৯৯০ সালের তুলনায় সংখ্যা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি৷ বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷

২০১৫ সালে ৯৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন ধূমপান করেছেন৷ ১৯৯০ সালে সংখ্যাটি ছিল ৮৭০ মিলিয়ন৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ