সামরিক সরকার গ্রেপ্তার করছে সাংবাদিকদের। দিচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। চাপ আছে বিরোধী পক্ষ থেকেও। এমন চাপের মুখেও কাজ করে যাচ্ছেন মিয়ানমারের অনেক সাংবাদিক।
বিজ্ঞাপন
গত ১ ফেব্রায়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারপর থেকে চলছে বিরোধীদের মত দমন। একই সাথে অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে সেনাশাসক।
মিয়ানমার: এখনই অভুক্ত ১৩ লাখ, ছয় মাসে বেড়ে হবে ৪০ লাখ
মিয়ানমারে সাধারণ মানুষ খাবার পাচ্ছেন না। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখনই ১৩ লাখ মানুষ অভুক্ত। ছয় মাসে তা বেড়ে হবে প্রায় ৪০ লাখ।
ছবি: YE AUNG THU/AFP
জাতিসংঘের হিসাব
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম মিয়ানমারের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে। এখনই ১৩ লাখ অভুক্ত মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে হচ্ছে। ছয় মাসের মধ্যে অভুক্ত মানুষের সংখ্যাটা ৩০ থেকে ৪০ লাখ হতে পারে বলে তারা জানিয়েছে।
ছবি: imago images/Cavan Images
কেন এই অবস্থা
করোনা, সেনা অভ্যুত্থান ও দারিদ্রের কারণে এই অবস্থা বলে জাতিসংঘের ওই সংস্থা জানিয়েছে। আড়াই লাখ মানুষ গৃহহীন। দেশের প্রধান শহর ইয়াঙ্গনের গরিব মানুষরা কেউ একবেলা খাচ্ছেন, কেউ সারাদিনে খুব সামান্য খাবার জোগাড় করতে পারছেন। করোনা ও অভ্যুত্থানের জেরে প্রচুর মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। ছবিতে ফেলে দেয়া খাবারের খোঁজ চলছে।
ছবি: AFP/Getty Images
মাত্রাছাড়া দাম
জিনিসের দামও মাত্রাছাড়া জায়গায় চলে গেছে। ফলে গরিব মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
ছবি: dpa/AP/picture alliance
লম্বা লাইন
মিয়ানমারে ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা লাইন। সামান্য পুঁজি থেকে কিছুটা তুলে খাবার কেনার রশদ জোগাড় করার অপেক্ষায় মানুষ।
ছবি: AFP/Getty Images
অর্থ চাই
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম জানিয়েছে, মিয়ানমারের অভুক্ত মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য তাদের আট কোটি ৮০ লাখ ইউরো চাই। তাদের আবেদন, এই মানবিক সংকট থেকে মিয়ানমারকে বাঁচাতে গোটা বিশ্ব এগিয়ে আসুক।
ছবি: YE AUNG THU/AFP
সেনা শাসনের প্রতিবাদ
গত ফেব্রুয়ারি থেকে সেনা শাসনের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। তারপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৭৩৮ জন মারা গেছেন। তিন হাজার ৩০০ মানুষ জেলে। অ্যামেরিকা সহ বিশ্বের অনেক দেশ দাবি তুলেছে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সু চি-কে মুক্তি দিতে হবে। সেনাকে শাসনভার ছাড়তে হবে। সেনা শাসন, বিক্ষোভ, সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলেছে।
ছবি: Min Htet San
6 ছবি1 | 6
একে একে ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে। ফেসবুকের উপর এমন নিয়ন্ত্রণ অবাধ তথ্যপ্রবাহের বড় অন্তরায়, কেননা দেশটির অর্ধেক লোক তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটিই ব্যবহার করে। কিন্তু মিয়ানমারে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞা। রাত একটা থেকে সকাল ৯টা র্পযন্ত থাকে এ নিয়ন্ত্রণ। আর গত ১৫ মার্চ থেকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ। যদিও গত কয়েকদিন ধরে রাতের এ নিষেধাজ্ঞা আর দেওয়া হচ্ছে না, তবে দেশটির অধিকাংশ মানুষ সেনা নিয়ন্ত্রিত মাধ্যম থেকেই সংবাদ পেয়ে থাকে।
রাষ্ট্রীয়গণমাধ্যমেরআধিপত্য
তথ্য প্রদানের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এমআরটিভি। চ্যানেলটিতে নিয়মিত বিক্ষোভের ছবি দেখিয়ে বিক্ষোভকারীদের 'দেশের শত্রু' বলা হচ্ছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার প্রতিনিয়ত সামরিক শাসনের প্রয়োজনীয়তা ও এর পক্ষে সাফাই গেয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তথ্য পাওয়ার অন্যান্য মাধ্যম, অর্থাৎ বেসকারি সংবাদমাধ্যমগুলোকে করা হয়েছে নিষিদ্ধ। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিয়ে তাদের কেউ কেউ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জানানোর চেষ্টা করছে।
আত্মগোপনেসাংবাদিকরা
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য মতে, সেনাশাসকের হাতে এ মুর্হূতে ৪৮জন সাংবাদিক আটক আছেন। তাছাড়া ২৩ জন সাংবাদিককে আটকে পর মুক্তি দেওয়া হয়। জানা যায়, সম্প্রতি দেশটির পেনাল কোডে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের 'বিবৃতি, গুজব, বা প্রতিবেদন যা মানুষের মধ্যে ভয় ছড়িয়ে দিতে পারে বা মানুষকে সহিংস কাজে উসকানি দিতে পারে কিংবা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পারে তা অপরাধযোগ্য বলে বিবেচিত।' আটক সাংবাদিকদের অধিকাংশকেই পেনাল কোডের এ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে ডয়চে ভেলে সেখানকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে কথা বলেছে। জানা গেছে, গ্রেপ্তার এড়াতে সাংবাদিকরা নিজেদের ঘরে অবস্থান করছেন না। এমনকি নিজেদের নামও প্রকাশ করছেন না।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজোট মিয়ানমারের আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠী
মিয়ানমারের আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো একজোট হয়ে লড়াই শুরু করছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে৷ দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ৫শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে৷ বিস্তারিত ছবিঘরে৷
ছবি: Karen Teacher Working Group/REUTERS
চুক্তি ভঙ্গ
রেস্টোরেশন কাউন্সিল অফ শান স্টেট আরসিএসএস এবং কেএনইউ এর নেতারা জানিয়েছেন, সামরিক জান্তার তাদের সাথে অস্ত্রবিরতির চুক্তি ভেঙে তাদের এলাকায় হামলা শুরু করেছে৷ আদিবাসী সশস্ত্র গোষ্ঠীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তারা৷
ছবি: Soe Zeya Tun/REUTERS
মতবিরোধ
আদিবাসী নেতারা এটাও বলছেন ৭০ বছর ধরে এই দলগুলো কোন একটি বিষয়ে একমত হতে পারে না৷ আর এ কারণেই প্রত্যেকে আলাদাভাবে যুদ্ধ করে যাচ্ছে৷
ছবি: Karen Teacher Working Group/REUTERS
পালাচ্ছে কারেন রাজ্যের মানুষ
২৮ মার্চে তোলা এই ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে আদিবাসীদের রাজ্য কারেনের মানুষরা একটি স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন৷ স্থানটি কোথায় তাদের নিরাপত্তার কারণে তা জানানো হয়নি৷
ছবি: Karen Teacher Working Group/REUTERS
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলা
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিমান হামলা থেকে বাঁচতে কারেন রাজ্যের একটি স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন কারেন জাতিগোষ্ঠীর অনেক মানুষ৷ ফেসবুক থেকে ছবিটি সংগ্রহ করেছে রয়টার্স৷
ছবি: Free Burma Rangers/REUTERS
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে আদিবাসী শসস্ত্র গোষ্ঠীগুলো৷ এর মধ্যে অন্যতম কারেন্নি ন্যাশনাল পোগ্রেসিভ পার্টি৷ এর জাতিগোষ্ঠীর যোদ্ধারা থাই সীমান্তে একজোট হয়ে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে৷ বেশ কয়েক বছর ধরে তারা জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের জঙ্গলে থেকে৷
ছবি: Monika Griebeler
থাইল্যান্ড সীমান্তে শরণার্থীদের ভিড়
কারেন গোষ্ঠীর মানুষ থাইল্যান্ডের মাই হং সোন নদীর সীমান্তে জড়ো হয়েছেন, নিজেদের শেষ সম্বলটুকু নিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিচ্ছেন তারা৷
ছবি: Karen Teacher Working Group/REUTERS
থাইল্যান্ডের গ্রামে আহতরা
থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তের থাই প্রদেশ মাই হং সোন এর মাই সাম লিপ গ্রামে চিকিৎসা নিচ্ছেন মিয়ানমারের সহিংসতায় আহত মানুষ৷
ছবি: Soe Zeya Tun/REUTERS
কারেন ন্যাশনাল পার্টি
মিয়ানমারের আদিবাসী গোষ্ঠীর অন্যতম শক্তিশালী একটি দল হল কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন কেএনইউ৷ দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের কারেন রাজ্যের এই দলটি জানিয়েছে মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের রক্ষায় তাদের যোদ্ধাদের রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে৷
ছবি: Karen Teacher Working Group/REUTERS
জান্তার ঘাঁটিতে হামলা
সামরিক জান্তার বিভিন্ন ঘাঁটিতে তাদের সেনারা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা৷ উত্তরে একই ধরনের হামলা চালিয়েছে কোচিন ইনডেপেন্ডেন্স পার্টি৷
ছবি: Soe Zeya Tun/REUTERS
গেরিলা দলগুলোর হামলা
৩১ মার্চ আরাকার আর্মিসহ তিনটি অন্য গেরিলাদল পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে৷ তাদের আন্দোলনকে ‘বসন্ত বিপ্লব’ আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ার করেছে সামরিকবাহিনী হত্যা বন্ধ না করলে তারা সরাসরি যুদ্ধ শুরু করবে৷
ছবি: Soe Zeya Tun/REUTERS
জাতীয় ঐক্যমতের সরকার
সু চি’র দলের পার্লামেন্ট সদস্য, যারা আত্মগোপনে আছেন তারা পহেলা এপ্রিল জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন৷ সেখানে আদিবাসী গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা৷ অনলাইনে তারা এইসব জাতিগোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে৷
ছবি: Karen Teacher Working Group/REUTERS
কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী গঠন
বেসামরিক সরকারের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র ড. সাসা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত, যেখানে নৃগোষ্ঠী এবং বেসামরিক নেতারা মিলে একটি কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন, যে সেনাবাহিনী বর্তমান সামরিক জান্তার বিকল্প হবে, একে তারা নাম দিয়েছেন ‘তাতমাদো’৷ তাদের মতে, এ ধরনের কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীই পারবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/N. C. Niang
সেনা সংখ্যা
ব্রিটিশ নিরাপত্তা বিশ্লেষক অ্যান্টনি ডেভিস জানিয়েছেন, মিয়ানমারে আদিবাসীদের মধ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭৫ হাজার৷ অন্যদিকে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে সদস্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ৷
ছবি: Karen Teacher Working Group/REUTERS
নিহত পাঁচশর বেশি মানুষ
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সংঘাতে নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৫০০ ছাড়িয়েছে৷
ছবি: Soe Zeya Tun/REUTERS
14 ছবি1 | 14
''এখন র্পযন্ত ভালোই আছি," জানালেন আত্মগোপনে থাকা সাংবাদিকদের একজন। আরো কয়েকজন সহকর্মীর সাথে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় আশ্রয় খুঁজেন তিনি। "আমরা নিজেদের কাজ নিয়ে কথা বলি। দলবদ্ধভাবে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ," জানালেন আরেকজন। "কিন্তু অনেক সাংবাদিক বন্ধু সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকা ত্যাগ করেছে এবং গোপনে পরিচালিত মিডিয়ার বা র্নিবাসিত মিডিয়ার সহযোগিতা নিয়েছেন।"
সেলফ-সেন্সরশিপেরমুখেআন্ডারগ্রাউন্ডমিডিয়া
গণমাধ্যমগুলোর ওপর যে শুধুমাত্র সেনাশাসকের চাপ, বিষয়টি তা নয়। গোপনে পরিচালিত স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর অধিকাংশই নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখতে পারছে না। সংবাদমাধ্যমগুলোর চলমান অবস্থার বিষয়ে একজন সাংবাদিক জানান, স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর সবারই কোনো না কোনো অ্যাজেন্ডা আছে। "আমি এ মুহূর্তে কিছু না লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ, সব ধরনের কথাই ভুলভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে।"
আর এমন মেরুকরণের জন্য শুধুমাত্র সেনা সমর্থকরা বা বিরোধীরাই কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু দেশটিতে এমন অনেকেই আছেন, যারা সেনা সমর্থক নন কিংবা বিক্ষোভকারীও নন। মিয়ানমারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা আশা করছেন যে, পরিস্থিতি খুব দ্রুতই স্থিতিশীল হয়ে আসবে, দেশের ব্যাংকগুলো আবার খুলবে আর লোকজন কাজে যেতে পারবে।