1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিত্রকলা

৫ আগস্ট ২০১২

শিল্পকলা এবং প্রযুক্তি – আপাতদৃষ্টিতে এই শব্দ দুটির মধ্যে কোনো সংযোগ থাকার কথা নয়৷ কিন্তু জার্মানির কাসেল শহরে শুরু হওয়া আধুনিক ও সমসাময়িক চিত্রকলার অন্যতম প্রদর্শনী ‘ডকুমেন্টা’ জানান দিচ্ছে এক অন্য সত্য৷

Installation 'Leaves of Grass', des Künstlers Geoffrey Farmer bei der Ausstellung Documenta 13. Das Bild habe ich aufgenommen. Copyright: Carlos Albuquerque tags: documenta 13, leaves of grass, kassel, Greoffrey Farmer
Leaves of Grassছবি: DW

হ্যাঁ, এবারের ‘ডকুমেন্টা'-য় এই শিল্পকলা ও প্রযুক্তির এক অসাধারণ মিশ্রণ ধরা পড়েছে৷ আর এর পেছনে রয়েছে কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের অবদান৷ তাঁরা সমান্তরাল নয়, লম্বা-লম্বা লোহার পাতে মাটি ভরে পরিবেশবান্ধব উপায়ে বাগান তৈরির সন্ধান দিয়েছেন৷ যেমন জানালেন কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের প্রফেসর ইয়ুর্গেন হেস৷

তিনি জানান, ‘‘এই স্তম্ভগুলিতে একরকম কোপি লাগানো হয়েছে৷ লাগানো হয়েছে বিট'এর গাছও৷ আর সেগুলো এমনভাবে লাগানো হয়েছে, যাতে পুরোনো মাটিতেই আবার নতুন গাছ লাগানো যায়৷ অথবা নতুন গাছ না লাগিয়ে, আগের গাছের পাতা ছেঁটে দিয়ে সেখানেই নতুন পাতা গজানো যায়৷ এতে একই মাটি বহুবার ব্যবহার করা যায়৷ আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন গাছ চাষ করারও একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়৷''

এই চিত্রকলাটির নাম সময়/ব্যাংকছবি: Nils Klinger

অবাক করার বিষয় হলেও, এ ধরনের চাষ একদিকে যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করে, তেমনই দেখতেও খুব সুন্দর, একদম ‘ডিজাইনার বাগান'-এর মতো হয়৷ অর্থাৎ নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে কলার একটি সেতুবন্ধন ঘটে৷ ইয়ুর্গেন হেস'এর কথায়, ‘‘আমাদের পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ কোটি মানুষের বাস৷ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই সংখ্যা ৯০০ কোটির ঘর ছাড়িয়ে যাবে৷ অথচ তার সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো উপায় নেই৷ তাই একই জমিতে চাষাবাদের এহেন উপায় ভবিষ্যতের পক্ষে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠতে পারে৷''

আর ঠিক সেটাই করতে সচেষ্ট কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থিরা৷ পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা ছাড়াও এতে করে আমাদের পৃথিবীকে আরো সুন্দর করারও একটা প্রচেষ্টা লুকিয়ে আছে৷ স্বাভাবিকভাবেই, কাসেল শহরের এই গুটিকতক মানুষ চান যাতে বিশ্ববাসী এই উদ্ভাবনকে স্বাগত জানায় এবং কৃষির বিভিন্ন স্তরে তার সমন্বয় ঘটায়৷

ডকুমেন্টা‘তে একটি ঘড়িছবি: DW

উল্লেখ্য, প্রতি পাঁচ বছর পর পর জার্মানির কাসেল শহরে এই প্রদর্শনী হয়ে থাকে৷ অনেক নতুন শিল্পী সেখানে তাঁদের ‘ক্যারিসমা' দেখিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন৷ এই যেমন চীনা শিল্পী আই ওয়েওয়ে৷ ২০০৭ সালের ডকুমেন্টা'য় অংশ নিয়ে তিনি সবার প্রিয় হয়ে ওঠেন৷ তাই অনেকের কাছেই ১৯৫৫ সাল থেকে শুরু হওয়া ‘ডকুমেন্টা' চিত্রকলার অলিম্পিক নামে প্রসিদ্ধ৷

২০১২ সালের ‘ডকুমেন্টা'-র ভার পড়েছে ক্যারোলিন ক্রিস্টোভ-বাকারগিয়েভ'এর ওপর৷ যিনি এবারের ডকুমেন্টা'র জন্য মটো হিসেবে বেছে নিয়েছেন ‘কোল্যাপস অ্যান্ড রিকভারি', অর্থাৎ ‘ধ্বংস এবং পুনরুদ্ধার'৷ বলা বাহুল্য, বর্তমান বিশ্বে যে মারামারি, হানাহানি আর ধ্বংসযজ্ঞ চলছে, সেখানে এই সবুজায়ন প্রকল্প হয়ে উঠতে পারে এক পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের চাবিকাঠি৷

প্রতিবেদন: মিশায়েল প্রসিবিলা / ডিজি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ